
চালের দাম নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ মজুত ঠেকাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিযান চালিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আভিযানিক টিম। এ সময় অভিযানের খবর পেয়ে চাল ব্যবসায়ীদের অনেকে দোকানপাট ফেলে পালিয়ে যান।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মর্জিনা আক্তার।
তিনি জানান, কারওরান বাজারে বিভিন্ন চালের আড়তে ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ও মজুতে গরমিল দেখা গেছে। যে দোকানে যাচ্ছি, কোনোটিরই লাইসেন্স ঠিকভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। চালের মজুতের হিসেবেও গরমিল আছে। অভিযান শুরু করার পর অনেক ব্যবসায়ী দোকান ফেলে চলে গেছেন বলেও জানান মন্ত্রণালয়ের এ কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, এ অভিযানে আড়ত মালিকরা কোনো ধরনের সহযোগিতা করছে না। যে ব্যবসায়ীরা দোকান ফেলে পালিয়ে গেছেন তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর চালের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে প্রশাসন। এর ধারাবাহিকতায় অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের গঠিত আটটি দল মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে।
ট্যাগ: চাল
রাজধানী
সোহেল চৌধুরী হত্যা: ২৪ বছর পর প্রধান আসামি আশিষ চৌধুরী গ্রেফতার, আটক দুই নারী

দীর্ঘ ২ যুগ আগে চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় ওই বাসা থেকে দুইজন নারীকে আটক করে র্যাব।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আশিষ রায় চৌধুরীকে গ্রেফতারের বিষয়টি অভিযানে থাকা র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তার বাসায় সার্চ করা হচ্ছে। অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে সেগুলো জব্দ করা হবে।
র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাতে রাজধানী গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামের একটি বাসা ঘিরে রাখা হয়। ওই বাসায় চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার পলাতক ও চার্জশিটভুক্ত এক নম্বর আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়।
এরপর সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ওই বাসায় তাকে পাওয়া যায়। সেখানে এখনো অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।
ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় ভেতরে ঢুকতে তাকে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান খুনের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।
আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী। ওই একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তার স্ত্রী দিতিও
রাজধানী
রমজানের শুরুতেই যানজটে নাকাল ঢাকাবাসী

রমজানের প্রথমদিন সকাল থেকেই রাজধানীতে যানজট দেখা গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী সর্বস্তরের মানুষ। বিশেষ করে অফিসগামী মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে মনে করছেন, একদিকে রমজান, অন্যদিকে স্কুল কলেজ খোলা রয়েছে এজন্য হয়তো যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আজ রবিবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, সাইন্সল্যাব এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, গুলিস্তান, ফার্মগেট, গুলশান মোড়, বনানী, বাড্ডা, লিংকরোড, কুড়িল বিশ্বরোড, উত্তরাসহ পুরো নগরীতেই যান চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে।
স্বল্প দুরত্বের পথ অতিক্রম করতে দীর্ঘ সময় সিগনালে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। যার কবলে পড়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পথচারীরা।
উত্তরার পথচারী নজরুল মিয়া বলেন, আজ রাজধানীতে অসহনীয় যানজট। একদিকে রোজা অন্যদিকে যানজটে সব মিলিয়ে নাকাল অবস্থা।
শাহবাগ থেকে মিরপুরের পথযাত্রী মিলন মিয়া বলেন, রমজানের দিনেও রাস্তায় যানজট। একদিকে রোজা অন্যদিকে যানজট। আর ঢাকা ভালো লাগেনা এবার ঈদে বাড়িতে গেলে আর ঢাকায় আসব না।
বাংলামোটর থেকে বাড্ডার পথচারী জাকির হোসেন বলেন, ভেবেছিলাম রমজানে একটু যানজট কম হবে এখন দেখি প্রচন্ড যানজট।
মালিবাগে কথা হয় মোহাম্মদপুরের যাত্রী নয়ন হোসেনের সঙ্গে তিনি বলেন, এমনিতেই মালিবাগে যানজট থাকে। ভেবেছি রমজান একটু যানজট কম হবে কিন্তু রমজানের শুরুতেই রাস্তায় যানজট লেগে আছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর মোড়ে মোড়ে যানবাহনের চাপ সমালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক সদস্যদের। জ্যামে আটকা পড়ে বিরক্ত যাত্রীরা। তারা বিভিন্নভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা অপেক্ষায় রয়েছেন কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডে কথা হয় অফিসগামী যাত্রীদের সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, আজ প্রথম রমজান রাস্তায় ব্যাপক যানজট হতে পারে এজন্য সকাল সকাল বের হয়েছে।
নিউমার্কেটে কথা হয় অফিসগামী যাত্রী আহমেদের সঙ্গে তিনি বলেন, রোজা রেখেছি তাড়াতাড়ি যাতে অফিসে যেতে পারি এজন্য আগেভাগেই বের হয়েছি।
এদিকে, একাধিক যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যানজটের কারণে একদিকে তারা যেমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন অন্যদিকে তারা অফিস কর্মঘন্টা সংকটে পড়ছেন। অফিসগামী মানুষের অভিযোগ, যানজটের কারণে প্রতিদিন অফিসে যেতে দেরি হওয়ায় অফিসের বস অথবা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়।
অনেকের দাবি, সাধারণত আধঘন্টা অফিস ডিউটি হলেও রমজানে অফিসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে তার পরেও যানজটের কারণে অতিরিক্ত অফিস করতে হচ্ছে। অফিসগামী যাত্রীরা বলেন, যদি যানজটের কবলে পড়তে না হতো সঠিক মত অফিসে যাওয়া যেত তাহলে এই অতিরিক্ত চাপ নিতে হতো না।
এদিকে, ট্রাফিক পুলিশ বলছে, দুপুরের পর অথবা সন্ধ্যা নাগাদ ইফতারের আগেই স্বাভাবিক হয়ে আসবে যানজট পরিস্থিতি। তাদের দাবি প্রতি রমজানে রাজধানীতে কিছুটা যানজট তৈরি হয়। এবং সেটা ইফতারের আগেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
জানতে চাইলে শাহবাগে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ইমাম হোসেন বলেন, আজ প্রথম রমজান অনেক অফিস টাইমের পরিবর্তন হয়েছে। এবং মানুষ আগে ভাগে ঘর থেকে বের হয়েছে এজন্য হয়তো একটু যানজট বেশি মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে শাহবাগে বড় রাস্তা ছিল এখন মেট্রোরেলের কারণে রাস্তার লেন ছোট হয়েছে এজন্য এ এলাকায় একটু বেশি যানজট দেখা যাচ্ছে।
গুলিস্তান মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, গুলিস্তানে অফিস টাইমে সব সময় যানজট থাকে। তার কারণ হলো ঠিক মতো রাস্তার লেন যদি না চলে তাহলে এ যানজট দেখা দেয়। তাছাড়া আজ প্রথম রমজান রাস্তায় একটু যানজট বেশি বলে মনে হচ্ছে।
রাজধানী
রাজধানীর নতুন ৩ রুটে চলবে আরও ২২৫ বাস

রাজধানীর নতুন তিনটি রুটে আরও ২২৫টি বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। এ বিষয়ে প্রস্তুতিমূলক সব কাজ আগামী ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে কমিটির ২২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির আহ্বায়ক ও ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, নতুন তিনটি রুটের মধ্যে ২২ নম্বর রুটে ৫০টি, ২৩ নম্বর রুটে ১০০টি ও ২৬ নম্বর রুটে ৭৫টি বাস—সব মিলিয়ে নতুন করে ২২৫টি বাস নামানো হবে।
উল্লিখিত ২২ নম্বর রুটের আওতায় রয়েছে ঘাটারচর থেকে বছিলা, মোহাম্মদপুর টাউন হল, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ হয়ে সুলতানা কামাল সেতু পর্যন্ত; ২৩ নম্বর রুটের আওতায় থাকছে বছিলা থেকে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ, শ্যামলী, কমলাপুর হয়ে কাঁচপুর পর্যন্ত আর ২৬ নম্বর রুট ধরা হয়েছে ঘাটারচর থেকে পলাশী মোড়, পোস্তগোলা হয়ে কদমতলী পর্যন্ত।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর রুটে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ নামের বাস সেবা চালু করে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি। তখন ৫০টি বাস দিয়ে এ রুটে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় ঢাকা সিটির দুই মেয়র (আতিকুল ইসলাম ও ফজলে নূর তাপস) বলেছিলেন, বাস চালুর পরবর্তী দুই মাসের মাথায় এ রুটে আরও ৫০টি বাস নামানো হবে। এরপর প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও দ্বিতীয় দফায় ৫০টি বাস এখনো নামানো হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসি মেয়র তাপস সাংবাদিকদের জানান, আগামী একমাসের মধ্যে আরও ২০টি বাস এ রুটে নামানো হবে। এছাড়া একই সময়ে আরও ৫০টি বাস নামানোর জন্য বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
সভা শেষে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সদস্য ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নতুন তিনটি রুটে বাস নামানোর অংশ হিসেবে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বাসগুলো চূড়ান্ত করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, যাত্রীছাউনি নির্মাণসহ আনুষাঙ্গিক কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোচ্ছেন। এসব কাজ শেষ হলে দিন-তারিখ ঠিক করে তিন রুটে নতুন ২৫০টি বাস নামানো হবে।
রাজধানী
সিএনজিতে সর্বোচ্চ মামলা ৫০০ টাকা করার দাবি

সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের ক্ষেত্রে যে কোন মামলার (ম্যানুয়াল বা পস-মেশিন) আর্থিক জরিমানার হার ৫০০ টাকার বেশি না করাসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। শনিবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা মহানগর এলাকায় বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী পেশাদার চালকদের মধ্যে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চট্টগ্রাম মহানগর এলাকার জন্য ৪ হাজার অটোরিকশার নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা; প্রাইভেট অটোরিকশায় 'ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন' বন্ধ করা; সিএনজি অটোরিক্সার ভাড়া প্রথম দুই কিলোমিটার ৮০ টাকা, পরবর্তী কিলোমিটার প্রতি ৩০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট ৪ টাকা করে গেজেট প্রকাশ করা; বিআরটিএর খেয়ালখুশিমতো মোটরযানের অপরিকল্পিত রেজিস্ট্রেশন প্রদান বন্ধ করা; সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজিচালকদের নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসার খরচ ঝামেলা মুক্তভাবে দ্রুত পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা; সিএনজি অটোরিকশা মালিকদের নিজ নিজ অটোরিকশা চালকদের ছবি সংযুক্তসহ পূর্ণ বিবরণ সম্বলিত প্রত্যয়ন পত্র দেওয়া; মোটরসাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করা এবং মালিকের অতিরিক্ত জমা নেওয়া বন্ধ করা।
মানববন্ধনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওমর ফারুক চৌধুরী, আহ্বায়ক মুহা. শাহ আলম, সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসেনসহ ৩৫/৪০ সিএনজি অটোরিকশা চালক উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী
কাপ্তানবাজারে ঘাতক সেই বাসচালক আটক

রাজধানীর গুলিস্তানের কাপ্তানবাজার মোড়ে ব্রেক ফেল করা একটি বাসের চাপায় দুই পথচারীর মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক বাসটির চালক ও তার সহকারীকে আটক করেছে র্যাব।
শনিবার রাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। চালকের নাম রকিব। তাকে রাজধানীর ভাটারা থেকে আটক করা হয়। আর তার সহকারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এলিট ফোর্স র্যাবের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, দুর্ঘটনার পর বাসটির চালক ও তার সহকারী সেখান থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে যান। পরে পৃথক অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
শনিবার সকালে মেঘলা পরিবহনের বাসের চাপায় দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। আহত হন অন্তত ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় শনিবার কাপ্তানবাজার এলাকায় লোকসমাগম বেশি ছিল। ভোরে কাপ্তানবাজারের কসাইপট্টিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানপাট দেখতে ভিড় করেছিলেন অনেকে। নয়টার দিকে কাপ্তানবাজার মোড়ে কয়েকজন দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় মেঘলা পরিবহনের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে তাদের ওপর উঠিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। তারা হলেন মো. বাদশা ও মো. ফরিদ। আহত হন অন্তত ১০ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ব্রেক ফেল করায় বাসটি ফ্লাইওভারের সিঁড়ির পাশে ঘষা লাগতে লাগতে চলে আসে। বাসটির গতি দেখে দাঁড়িয়ে থাকা অনেকে দ্রুত সরে যেতে সক্ষম হলেও ১০ জন বাসটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ওই সড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এদিকে সন্ধ্যায় নিহত ফরিদের ভাই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এতে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে।