
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। সরকারের কাছে এই সংকটের সময় এ খাতকে স্বস্তি দিতে আগামী পাঁচ বছর উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৩ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ দাবি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এটি আমাদের আন্তরিক অনুরোধ, যদি রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর আগামী পাঁচ বছর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে থাকতে পারে, তবে এই সংকটের সময় এই খাত স্বস্তিতে থাকবে। শিল্প যদি টিকে থাকে, তাহলে রাজস্ব আসবে এবং নতুন কর্মসংস্থান হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি ও সহ-সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম এবং পর্ষদের পরিচালকবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিজিএমইএর পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী।
বর্তমান শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ উৎসে কর রাখার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিবেচনা করবেন বলে আশা প্রকাশ করে ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত আরএমজি সেক্টরের অগ্রযাত্রাকে যেকোনো উপায়ে মসৃণ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদায়ী অর্থবছরে (২০২১-২২) ৮৭ টাকা ও ডলারের বিনিময় হার বিবেচনা করে রপ্তানি আয় ৪১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৩ দশমিক ৫৬ লাখ কোটি টাকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের অনুমান অনুসারে ১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা উৎসে কর হিসাবে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফারুক হাসান জানান, রপ্তানি আয় আগামী অর্থবছরে (২০২২-২৩) বিনিময় হার ৯২ বিবেচনা করে ৪৫ বিলিয়ন বা প্রায় ৪ দশমিক ১৪ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় উৎসে কর হিসাবে ২ হাজার ৭০ কোটি টাকা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক অগ্রগতি বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা যদি রপ্তানি বাড়াতে পারি, তাহলে করের হার না বাড়িয়েও রাজস্ব আদায় বাড়ানো সম্ভব হবে। যদি তা হয়, তাহলে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি উপকৃত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া বিজিএমইএ সভাপতি নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের পাশাপাশি, নন-কটন আরএমজি পণ্য রপ্তানিতে ১০ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক বিদেশ থেকে আসা অপ্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদকে অর্থনীতির মূলধারায় আনতে সরকারের কর ক্ষমার পদক্ষেপকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, সারা বিশ্ব এখন বৈদেশিক মুদ্রার চাপে রয়েছে বিধায় আরএমজি আইটেমের চাহিদা কমছে এবং চাহিদা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, যদি এই ধরনের বিদেশী মুদ্রা এই ধরনের বিধানের মাধ্যমে আসে, তবে এটি ভালো। আমরা সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্তের পাশে থাকবো বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃত্রিম ফাইবার উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করা হচ্ছে এবং আগামী বছর থেকে এ ধরনের পণ্য রপ্তানি বাড়বে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই এর সুফল পাবেন।
পোশাক শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বিজিএমইএ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় আলোচনার পর শিল্পের সক্ষমতা ও সংশ্লিষ্ট সব বিষয় বিবেচনা করে শ্রমিকদের জন্য নতুন মজুরি বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফারুক বলেন, অনেক কারখানা তাদের ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে শ্রমিকদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করছে এবং এই ধরনের কভারেজ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে আসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে তার দৃঢ় ও গতিশীল নেতৃত্বের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহামারী চলাকালীন প্রণোদনা দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা রক্ষা করেছেন।
এছাড়া তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের আগামী অর্থবছরের (২০২২-২৩) জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা রাখা একটি ‘সাহসী পদক্ষেপ’।
বিজিএমইএ সভাপতি উল্লেখ করেন, নতুন বাজেটে কর্পোরেট কর হার হ্রাস শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানমুখী অর্থনৈতিক উন্নয়নের রূপকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, সীতাকুন্ডুর বিএম ডিপোতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে আরএমজি শিল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা। কারণ এতে আর্থিক ক্ষতি অপেক্ষা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বেশি। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অফ-ডক অডিট করার এবং সবকিছুকে কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিজিএমইএ সভাপতি পোশাক কূটনীতির অংশ হিসেবে ২৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত তাদের ইউরোপ সফরের ফলাফলও তুলে ধরেন। সূত্র : বাসস
ট্যাগ: বিজিএমইএ
অর্থ-বাণিজ্য
জুলাইয়ে এলো রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স

চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম মাসে অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত জুলাইয়ে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মাসটিতে দেশে আসা প্রবাসী আয় ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার (২.০৯ বিলিয়ন) ডলার। বর্তমান বিনিময় মূল্য এক ডলার সমান ৯৪ দশমিক ৭০ টাকা ধরে বাংলাদেশি অর্থে যা দাঁড়ায় ১৯ হাজার ৭৯২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এই অঙ্ক গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
সোমবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে চলতি বছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। গত অর্থবছরের জুলাইয়ে এসেছিল ১৮৭ কোটি ডলার।
এ ছাড়া গত অর্থবছরের (২০২১-২২) শেষ মাস অর্থাৎ জুনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৮৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। সুতরাং এক মাস ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রবাসী আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। গত বছরে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অথচ ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরে প্রবাসী আয় কমে গেছে ৩ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিচ্ছে।
জুলাই মাসে রেমিট্যান্স বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রেমিট্যান্সের প্রণোদনা বাড়াচ্ছে সরকার। দেশে এখন ডলারের রেটও বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাছাড়া জুলাইয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পরিবারের জন্য অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এতে রেমিট্যান্স বেড়েছে।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অর্থ-বাণিজ্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মী প্রবেশে কড়াকড়ি

বিভিন্ন অর্থনীতিক কর্মকাণ্ডের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গণমাধ্যমকর্মী প্রবেশে বিধিনিষেধ চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক। যার কারণে ক্ষুব্ধ অর্থনীতি বিষয়ক সংবাদকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১৬ সালে। তখন ফজলে কবির নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর গভর্নর ভবনের তৃতীয় তলায় গণমাধ্যমকর্মী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিছুদিন পরে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সাংবাদ সম্মেলন করেন গভর্নর ফজলে কবির।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে দুপুর ২টার আগে গণমাধ্যমকর্মীরা গভর্নর ভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করলেও তবে কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্তের ক্ষুব্ধ হয়েছে সংবাদকর্মীরা। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব ধরনের কর্মসূচি বয়কটের কথা ভাবছেন।
অর্থ-বাণিজ্য
সংকট মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি

দেশে ডলার সংকট কাটাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিনে দিনে ডলার সংকটের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর দাম। মঙ্গলবার এর রেকর্ড ছুঁয়েছে। খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১১ টাকা দরে। তবে ব্যাংকগুলোতে এর দাম ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই যখন অবস্থা ঠিক তখনই ডলার মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর কাছে মোট ৫০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন অর্থাৎ পাঁচ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এসব ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি করা হয়েছে আন্তঃ ব্যাংক চ্যানেলে। এতে কিছুটা কমেছে খোলাবাজারের দাম। বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ১০৮ থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়।
এদিকে, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৪ টাকায় ডলার সরবরাহ করবে আর আপনি (খোলাবাজার এবং কিছু ব্যাংক) ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি করবেন- এটাতো হতে পারে না। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, শৃঙ্খলার জায়গাটা শক্ত নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এর পরপরেই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলারের কারসাজি ঠেকাতে একাধিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং তা কার্যকরে তৎপর হয়। গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে একাধিক টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করে।
বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ডলারের দামে অস্থিরতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো এক্সচেঞ্জ হাউজ কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া অনেক এক্সচেঞ্জ হাউজ লাইসেন্স ছাড়াই ডলারের ব্যবসা করছে। এসব অবৈধ এক্সেচেঞ্জের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়িয়ে যেসব এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ব্যাংক মুনাফা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টিম মাঠে আছে। কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেলে লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে সাফ জানিয়ে দেন।
অর্থ-বাণিজ্য
স্বর্ণের দাম অনেক বাড়ল

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বেড়েছে। এক লাফে প্রায় তিন হাজার টাকা দাম বেড়েছে। তেজাবী স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়। শুধু তাই নয় সব ধরনের স্বর্ণের দামই বেড়েছে। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) থেকে এ নতুন মূল্য কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এর আগে ২৭ জুলাই স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছিল।
এর আগে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরপর কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
নতুন মূল্য তালিকায় সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৭৪১ টাকা বেড়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮১ হাজার ২৯৮ টাকা গিয়ে দাঁড়াবে।
সবচেয়ে নিম্নমানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে এক হাজার ৯২৫ টাকা থেকে দুই হাজার ৭৪১ টাকা পর্যন্ত।
নতুন দাম অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম দুই হাজার ৫৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৫৬৬ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ৯২৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬ হাজার ৪৮৫ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে দুই হাজার ৪৫০ টাকা বাড়িয়ে ৫৫ হাজার ১৭১ টাকা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ জুলাই স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৮৪ টাকা থেকে এক হাজার ৩৪১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। সে সময় অপরিবর্তিত রাখা হয় সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার কারণে গত ১৭ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছিল। ভালো স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমানো হয়।
অর্থ-বাণিজ্য
ব্যাংকগুলোকে গাড়ি কিনতে নিষেধাজ্ঞা

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যয় কমাতে ব্যাংকের সব ধরনের যানবাহন কেনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বাকি ছয় মাস এবং ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত ব্যয় স্থগিত বা কমানোর লক্ষ্যে নতুন বা প্রতিস্থাপন হিসেবে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন, ভ্রমণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মনিহারি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। সাশ্রয় করা অর্থ অন্য কোনো খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় করা যাবে না।
এ ছাড়া ব্যয় কমানোর তথ্য ও দলিলাদি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পরিদর্শনকালে নিরীক্ষার নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহ করতে হবে।বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যয় কমাতে ব্যাংকের সব ধরনের যানবাহন কেনায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৭ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালের বাকি ছয় মাস এবং ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাস পর্যন্ত ব্যয় স্থগিত বা কমানোর লক্ষ্যে নতুন বা প্রতিস্থাপন হিসেবে সব ধরনের যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন, ভ্রমণ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য মনিহারি খাতে বরাদ্দ করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। সাশ্রয় করা অর্থ অন্য কোনো খাতে বরাদ্দ বা ব্যয় করা যাবে না।
এ ছাড়া ব্যয় কমানোর তথ্য ও দলিলাদি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পরিদর্শনকালে নিরীক্ষার নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শকদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরবরাহ করতে হবে।