
গত শুক্রবার বিকেল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় কমবেশি বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। আর এর প্রভাবে আর ৩-৪ দিন সারাদেশে হালকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের উপর দিয়ে মাঝারী ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বরস্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
প্রচ্ছদ
মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ
বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এর ফলে তার ফাঁসি হতে পারে যে কোনো দিন। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নাকোচের চিঠি কারাগারে পৌঁছেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকতা। তিনি বলেছেন, ফাঁসি কিভাবে এবং কোথায় সম্পন্ন হবে, তা বিকালে জানা যাবে। কারা প্রশাসনের এই শীর্ষ কর্মকতা আগের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকরের সময়ও উপস্থিত ছিলেন। [ads]
জানা যায়, আদালত থেকে আসা মৃত্যু পরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের কাছে দেয়। সেটি পাওয়ার পর রাতেই মানবিক বিবেচনায় রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান খুনি আব্দুল মাজেদ। এর প্রেক্ষিতে রাতেই সেই আবেদন রাষ্টপতির কাছে প্রেরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতি তার সেই প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হওয়ার পর এখন শুধু ফাঁসির অপেক্ষা আব্দুল মাজেদের।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, আবদুল মাজেদকে কবে ফাঁসি দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তার ফাঁসির পথে আর কোনো বাধা নেই। এ বিষয়ে আজ বিকালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে।
এর আগে, সোমবার দিবাগত রাতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে পেশ করার পর তার মামলার সমস্ত নথি দেখে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেফতারের পর মাজেদ জানান, তিনি ২৪-২৫ বছর ধরে ভারতের কলকাতায় অবস্থান করছিলেন। সেখান থেকে তিনি নিজেই বাংলাদেশে এসেছেন। তবে কবে এসেছেন সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)। এসময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কাউন্টার টেরোরিজম। আদালত শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বুধবার বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী। সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি নিয়ে ওই কোর্টের ছুটির আদেশ বাতিল করা হয়। এরপর বিচারক মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন। লাল কাপড়ে মোড়ানো এই মৃত্যু পরোয়ানা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া পরোয়ানার একটি কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়। মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানোর পর তা খুনি মাজেদকে পড়ে শোনায় কারা কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক ছয় আত্ম-স্বীকৃত খুনির মধ্যে তিনি অন্যতম। পলাতক বাকি পাঁচ খুনিরা হলো আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এম রাশেদ চৌধুরী, এসএইচএমবি নূর চৌধুরীও রিসালদার মোসলেম উদ্দিন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৩৪ বছর পর এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর। খুব ধীরে দীর্ঘ বারো বছরে নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে আইনের প্রতিটি ধাপ স্বচ্ছতার সঙ্গে অতিক্রম করে সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে স্বঘোষিত খুনিদের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে কারাবন্দি পাঁচ আসামির ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি দিবাগত রাতে ফাঁসি কার্যকর হয়। তারা হলেন সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মুহিউদ্দিন আহমেদ, বজলুল হুদা ও এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য পাঁচ আসামি এখনো পলাতক। তারা হলেন—খন্দকার আবদুর রশিদ, শরীফুল হক ডালিম, এ এম রাশেদ চৌধুরী, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও মোসলেম উদ্দিন। এদের মধ্যে লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশিদ (বরখাস্ত) লিবিয়া ও বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন। বেশিরভাগ সময় লিবিয়াতে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। লে. কর্নেল (অব.) শরীফুল হক ডালিম (বরখাস্ত) পাকিস্তানে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তান থেকে হংকংয়ে তার যাতায়াত রয়েছে বলে একাধিক সূত্রে প্রকাশ। লে. কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী (বরখাস্ত) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে, লে. কর্নেল (অব.) এন এইচ এমবি নূর চৌধুরী (বরখাস্ত) কানাডায় রয়েছেন। আরো একজন ভারতে কারাগারে আটক বলে অনেকে ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যার নাম রিসালদার মোসলেম উদ্দিন।
প্রচ্ছদ
লাশের বন্যা বইবে যুক্তরাষ্ট্রে?

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধু মঙ্গলবারেই ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮২ জনে দাঁড়ালো। চীন, ইতালির পরেই করোনায় বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করেছে, ইউরোপের পর করোনাভাইরাসের বিস্তারের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। ডব্লিউএইচও মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়তে দেখছি। এ থেকে আশঙ্কা করা যায় যুক্তরাষ্ট্র করোনা বিস্তারের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। [ads]
ইতিমধ্যে দেশটির প্রতিটি রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। প্রতিক্ষণে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দেশটিতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮৬৭ জন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এরপর বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
প্রচ্ছদ
জাপানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প: সুনামির সতর্কতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের হনসু প্রদেশের পূর্ব উপকূলে আজ বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় তিনটায় ভূমিকম্প অনুভুত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৪। জাপানের পূর্ব-দক্ষিন-পূর্বে নামি অঞ্চলে মাটির মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি।
এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থার বরাত দিয়ে সেন্দাইয়ে ১.৪ মিটার উচ্চতার সুনামি শনাক্তের কথা জানিয়েছে। ফুকুশিমার পারমাণবিক চুল্লিতেও পড়েছে ভূমিকম্প ও সুনামির প্রভাব। তবে ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যায়নি।
রিকটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.৪ ছিল বলে জানিয়েছে তারা। এদিকে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৯ বলে জানিয়েছে। পর ৫.৮ এবং ৪.৮ মাত্রার ২টি আফটার শক অনুভূত হওয়ার খবর দিয়েছে।
জাপানের মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সির বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ বলছে, এরইমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি আঘাত দেখা গেছে। ফুকুশিমার পারমাণবিক চুল্লির কাছাকাছি প্রথম আঘাতটি ছিল জাপানের স্থানীয় সময় সাল সাড়ে ছয়টার দিকে। সেন্দাইয়ে আঘাত হানা ১.৪ মিটার উচ্চতার সুনামিকেই এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ বলছে জাপানের মেট্রোলজিক্যাল এজেন্সি। জাপানের স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে ওই আঘাত অনুভূত হয়। ইউএসজিএস আভাস দিয়েছে, সুনামির মাত্রা ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ভূমিকম্পের পরপরই ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে। সুনামির আঘাতের পর আরও বেড়ে গেছে শঙ্কা।
এরআগে বার্তা সংস্থা এএফপি ও এপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির ১০ কিলোমিটার গভীর উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি এলাকায় তিন মিটার বা ১০ ফুটের কাছাকাছি জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানতে পারে। ঘটনার পরপরই ফুকুশিমাসহ পূর্ব উপকূলে সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই ওই অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
প্রচ্ছদ
মিতব্যয়ী হতে হবে বিদ্যুৎ ব্যবহারেঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ডেস্ক রিপোর্ট ।। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম আট লেনবিশিষ্ট মহাসড়কসহ পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার গণভবন থেকে তিনি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। আমাদের সময় ডট কম
অপর তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীন ছয়টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন এবং ধীরগতির যান চলাচলের জন্য যাত্রাবাড়ী থেকে মাওয়া এবং পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পৃথক সার্ভিস লেনসহ চার লেন প্রকল্পের (পদ্মা সেতু সংযোগ সড়ক) আপগ্রেডেশন কাজ।
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ ব্যয়ের দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আশা করি, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই একটু মিতব্যয়ী হবেন, সাশ্রয়ী হবেন। তাতে বিলও আপনাকে কম দিতে হবে।’
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের অধীনে ৫৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দেওয়ার এই কাজ হয়েছে, যার গ্রাহক সংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০ জন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আশা করছেন, ২০১৮ সালের মধ্যেই ৯৫ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুতায়ন করতে পারবেন তারা। এছাড়া পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আশা করছেন, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মোট ৪৬৫ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন হয়ে যাবে।
২০২১ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬-১৭ হাজার মেগাওয়াট ছাড়ানোর আশাও করছেন তিনি।
প্রচ্ছদ
স্থানীয় মাছের বিভিন্ন জাত সংরক্ষণ ও চাষে জনগণকে আগ্রহী হতে হবে

দেশীয় জাতের মাছের বিভিন্ন প্রজাতি সংরক্ষণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের জলজ পরিবেশ ও জীববৈজিত্র্য সুরক্ষায় স্থানীয় মাছের বিভিন্ন জাত সংরক্ষণ ও চাষে জনগণকে আগ্রহী হতে হবে।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৬ পালন উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, স্থানীয় জাতের মাছের উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং কিছু জাতের মাছ বিলোপ হতে যাচ্ছে। এজন্য জীববৈচিত্র্য বজায় রাখতে অবশ্যই আমাদের স্থানীয় জাতের মাছের বিভিন্ন প্রজাতি আবাদ ও সুরক্ষায় জনগণকে আগ্রহী করে তোলার পদক্ষেপ নিতে হবে।
মৎস্য খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মৎস্য উৎপাদন ও সংরক্ষণে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আইন যথাযথ বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন এবং জনগণকে বিশেষ করে মাছ উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের এসব আইন সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি মাছ উৎপাদন জোরদারে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সকল স্টেকহোল্ডার এবং স্বেচ্ছাকৃত ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি কার্যক্রম গ্রহণের ওপর জোর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘দেশের বিপুল জলজ সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা এবং মাছ উৎপাদন জোরদারের দায়িত্ব শুধুমাত্র সরকারের একার নয়।’
আবদুল হামিদ বলেন, মৎস্যখাত প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদার ৬০ ভাগ পূরণ করছে অধিকন্তু দেশের জনসংখ্যার ১১ শতাংশ এই খাতে জীবিকা নির্বাহ করছে।