
অমিত হাসান রবিন: সদ্য শেষ হওয়া মার্কিন নির্বাচনকে ঘিরে এখন উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। ইলেক্ট্রোরাল ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচীত হয়েছেন ডোনাল ট্রাম্প। সেটা যেন কোন ভাবেই মানতে পারছে না বেশিরভাগ যুক্তরাষ্ট্রবাসী।
দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটেই নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু জনগণের আরেকটি অংশ কোনভাবেই ট্রাম্পকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে চান না।
গত কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছে তারা। ‘ট্রাম্প আমার প্রেসিডেন্ট নন’এমন স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। অনেক স্থানে বিক্ষোভ রূপ নিয়েছে সংঘর্ষেও।
ট্রাম্প বিরোধী শিবিররা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টানোর কোন সুযোগ আছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছে । আর আমেরিকার আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যেই অবশ্য এমন একটি সুযোগ আছে।
এদের নাগরিকরা কার্যত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরোক্ষভাবে ভোট দিয়ে থাকেন। তারা ভোট দিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ নির্বাচন করেন। এ প্রতিনিধিরাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন। প্রত্যেকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা ও আয়তনের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইলেক্টোরাল প্রতিনিধি নির্বাচন করেন নাগরিকেরা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর তারা পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে একত্রিত হবেন।
তাছাড়া ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াসহ ৫০ অঙ্গরাজ্য মিলিয়ে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ সংখ্যা ৫১৮। এর মধ্যে জয়ের জন্য দরকার ২৭০টির সমর্থন। সেখানে ২৯০টি পেয়ে বিজয়ী হয়েছে ট্রাম্প, হিলারি পেয়েছেন ২২৮।
তবে পপুলার ভোটে এগিয়ে আছেন হিলারি। তিনি পেয়েছেন ৬ কোটি ২৭ লাখ ৪ হাজার ৯৭৪ এবং ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৯ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩৮টি ভোট। ভোট কম পেলেও ফ্লোরিডার মতো অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোট বেশি পাওয়ার কারণেই জিতে গেছেন ট্রাম্প।
তাই ১৯ ডিসেম্বরের দিকে চোখ সবার।এই দিন ইলেক্টররা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে হিলারিকে সমর্থন দিলেই ঘটবে অন্য কিছু ।
তারা বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেয়ার উপযুক্ত নন। অধিকাংশ আমেরিকান জনগণ ট্রাম্পের অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো স্বভাব, আবেগপ্রবণতা, রগচটা, মিথ্যা বলা স্বভাব, নারী কেলেংকারী ও রাজনীতিতে অনভিজ্ঞতার কারণে তাকে দেশটির জন্য বিপদজনক মনে করছেন।
গত ৮ নভেম্বর নির্বাচনে মোট ভোট সংগৃহিত হয়েছে ১৩০ মিলিয়ন। যার ৬০.৪ মিলিয়ন ভোট পেয়েছে হিলারি ক্লিনটন এবং ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ডোনাল ট্রাম্প। সুতরাং যদি সরাসরি জনগণের ভোটের উপর নির্বাচিত করা হতো তাহলে নির্বাচিত হতেন সাবেক ফার্ট লেডি এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
মার্কিন নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন ব্যবস্থায় প্রতিটি রাষ্ট্র ও তার কংগ্রেসসম্পর্কিত বিষয় মূলত ভোটারদের উপরই নির্ভর করে।উল্লেখ করে বলা হয় যেমন ক্যালিফোর্নিয়া মত একটি বড় রাজ্যেই রয়েছে ৫৫টি ইলেক্ট্রোরাল ভোট এবং নিউ হ্যাম্পশায়ারে রয়েছে মাত্র ৪টি ভোট।
প্রতিবেদনটিতে কথা ওঠে, ভোট গণনার পদ্ধতি নিয়েও। উল্লেখ করা হয় বড় বড় রাজ্য গুলো যে ভোট গণনা করা হয়েছে সেখানে ভোটের সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করা হয়।
“কলেজ সিস্টেমে প্রতিটি ভোট অবশ্যই সমান ভাবে গণনা করা হয় না উল্লেখ করে ম্যাক এ্যাডাম বলেন, কমপক্ষে অর্ধ ডজন রাজ্যে পরিষ্কার ভাবে ভোট গণনা করলে ভোট আরও বাড়বে”।
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠলেও বর্তমানে সব কিছুর সামনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প বিরোধী আন্দলোন এবং ১৯ ডিসেম্বরের ভোট। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাসে মুল আনুষ্ঠানিক ভোটের পরে এই ভোট ছিলো শুধু মাত্র সৌজন্য মুলক। কিন্তু এবার এই ভোটই হয়ে দাড়িয়েছে নির্বাচন পরবর্তি মূল কেন্দ্রবিন্দু।
আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভক্তি

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর ‘গ্যালে ফেস গ্রিন’ উদ্যানের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের জেরে দিন দশেক আগে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পর আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান ধরে রাখা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারীদের এই বিভক্তির মধ্যে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে রবিবার জানান, গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশে ফেরার সঠিক সময় এখনো হয়নি। তিনি দেশে ফিরলে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়বে।
আন্তর্জাতিক
স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যাওয়ার পরদিন স্বামীর মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার রিসোর্ট থেকে সৌরভ সিকদার (৩৪) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলাতলীর ডলফিন মোড় এলাকার ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ সিকদার কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মাস্টার হাসান শহীদের ছেলে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন বলেন, গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) সৌরভ সিকদার তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই রিসোর্টে ওঠেন। পরে সোমবার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সৌরভের মরদেহ দড়ি ছিঁড়ে রিসোর্টের রুমে পড়ে যায়। এ সময় তার স্ত্রীও ওই কক্ষে ছিলেন। পরে তার চিৎকারে রিসোর্টের লোকজন এসে সৌরভের দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান, পরিদর্শক সেলিম। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও আক্রান্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৪ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ জনের। এ ছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫০৬ জন।
রোববার (৩১ জুলাই) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৮ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ জনের। এ ছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬০ হাজার ৩০৫ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ২২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৫১ জনের।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৯৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৬২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৯৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ১২১ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ২৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। তাইওয়ানে মারা গেছেন ৬০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৫০১ জন।
একইসময়ে ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৪৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৪৮ জন। নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১৩৫ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬২ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক
ফের করোনায় আক্রান্ত বাইডেন

মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) হোয়াইট হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বাইডেন। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে চারবার করোনা পরীক্ষা করান তিনি। চারবারেই ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
বাইডেনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, নতুন করে বাইডেনের চিকিৎসা নিতে হবে না। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এদিকে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বাইডেনের উইলমিংটন ও মিশিগান সফর বাতিল করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
আন্তর্জাতিক
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিলো চীন

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ফোনকলে তাইওয়ানের বিষয়ে একে অপরকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছেন, দ্বীপটির মর্যাদা পরিবর্তনে যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি যোগ করেন, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হয়নি।
বেইজিং জানায়, শি বাইডেনকে এক-চীন নীতি মেনে চলতে আহ্বান জানান এবং তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যে আগুন নিয়ে খেলবে সে পুড়ে যাবে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, পেলোসি সফরের কোনো ঘোষণা দেননি। তবে চীন সতর্ক করে বলেছে, 'গুরুতর পরিণতি' হবে যদি তিনি এই ধরনের সফরে যান।
পেলোসি এ সফরে গেলে তিনি হবেন ১৯৯৭ সালের পর থেকে তাইওয়ান সফরকারী সবচেয়ে উচ্চ পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ।
বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবারের ফোন কলের সময় বাইডেন ও শি একটি মুখোমুখি বৈঠকের ব্যবস্থা করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
২০১৫ সালে বাইডেন যখন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন চীনা নেতা শি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি সাক্ষাৎ করেননি।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তারা মনে করে, তাইওয়ান অবশ্যই দেশের একটি অংশ হয়ে উঠবে। এজন্য শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করে না তারা।
এক-চীন নীতির অধীনে, ওয়াশিংটন তাইপেকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপটিতে অস্ত্র বিক্রি করে, যাতে এটি আত্মরক্ষা করতে পারে।
সূত্র : বিবিসি