
রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা সীমান্তের পদ্মা নদী দিয়ে ভেসে আসছে ফেনসিডিল। আর এ কাজে চোরাকারবারিরা ব্যবহার করছে কনডম। এমনি ভাবে অভিনব কায়দায় ফেনসিডিল পাচার কালে-দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে বাঘা থানা পুলিশ।
এ অভিযানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি’র) ভুমিকা বর্তমানে নিরব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় লোকজন।
বাঘা সীমান্ত এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে চলতি রমজানে ফেনসিডিল চোরাচালান পুর্বের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। কতিপয় চোরাকারবারি এসব কাছে কখনো মাঝি (জেলেদের) ব্যবহার করছে। আবার কখনো-বা নিজেরা (বিজিবিকে) ম্যনেজ করে বিভিন্ন কায়দায় ফেনসিডিল পাচার করছে। আর এই সব পাচার হয়ে আসা ফেনসিডিল চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘার বড় ছয়ঘটি এলাকা দিয়ে কনডমের মধ্যে প্রবেশ করানো ৩০ বোতল ফেনসিডিল আটক করে বাঘা থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, এই অভিযানে তারা একটি নম্বর বিহীন মোটর সাইকেলসহ ফেনসিডিল বহনের জন্য একটি টিনের ঢোপ জব্দ করেন। সেই সাথে আটক করেন দুই চোরাকারবারিকে ।
এদের একজনের নাম রনি আহাম্মেদ (৩৫) পিতা জয়নুল আবেদিন সাং পাবনা শিবরামপুর এবং অপরজন মাজেদুল হক (৩৬) পিতা শামসুল হক বাচ্চু বাড়ি পাবনার শিংড়া এলাকায় বলে নিশ্চিত করেছেন বাঘা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস.আই) তারেক ।
তবে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী মাহামুদ জানিয়েছেন, উদ্দারকৃত ফেনসিডিল গুলোর লেবেল নষ্ট না হওয়ার সার্থে কনডমের মধ্যে ঢুকিয়ে পদ্মা নদী দিয়ে ভাসিয়ে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ফেনসিডিল রোধ তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এটা সীমান্ত এলাকা। এ জন্য বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড (বিজিবি-কে) সক্রীয় হওয়ার দাবি জানান তিনি।
বিশেষ সংবাদ
নাগরপুরে অবৈধভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রির রমরমা ব্যবসা

মো. জসিউর রহমান (লুকন), নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে অবৈধভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রির রমরমা ব্যবসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর বাজারের বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলায় সরকার অনুমোদিত বিস্ফোরকের লাইসেন্স (এসিড ক্রয়) এর লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১টি। যারা কাজের জন্য বৈধভাবে এসিড ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু একটি অসাধু মহল কর্তৃপক্ষের নজরদারী এড়িয়ে হাজার হাজার লিটার দাহ্য এসিড ক্রয়-বিক্রয় এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেকেই।
গত ২২ আগস্ট, রবিবার, বিকেলে উপজেলার নাগরপুর বাজারে বেআইনী ভাবে এইসব এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জড়িতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূণীমা জুয়েলার্সের এসিড ব্যবহারের লাইসেন্স থাকলেও সকলেই কোন না কোন ভাবে ক্রয় করে এ বিস্ফোরক পদার্থ।
টাঙ্গাইল জেলার কেমিক্যাল ব্যবসায়ী পাথরাইলের মা বাসন্তী জুয়েলার্সে এর জুরান রায়ের ছেলে চৈতন্য রায়, গত রবিবার নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে সালফার এসিড বিক্রিয়া এক পর্যায়ে উপজেলার মামুদনগরের হিরা লাল কর্মকারের ছেলে মনোরঞ্জন কর্মকার ও একই দোকানের আলিম এর কাছে ৫০ লিটারের ২টি গ্যালন সালফার বিক্রি করেন। পরে তারা এ ক্রয়-বিক্রয়ে বিষয়টি সম্পূর্ণ বৈধ দাবি করে।
এসিড কেনা-বেচার লাইসেন্স এর কথা জিজ্ঞেস করলে, নানা রকম তালবাহান করে বলেন, এই এসিড পূর্নীমা জুয়েলার্সের স্বপন কুমার মন্ডলের কাছে বিক্রি করা। তবে ওই মূহুর্তে এসিড গুলো মনোরঞ্জন কর্মকারের দোকানে দেখা যায়। কথার একপর্যায়ে চৈতন্য রায় বলেন, ভাই আমার এসিড বিক্রির বৈধ লাইসেন্স আছে। তবে মনোরঞ্জন লাইসেন্সের আবেদন করেছে শুনেছি। ওদের কাছে বিক্রি করা আমার অন্যায় হয়েছে। ওরা ছাড়াও সকল ব্যাটারী ব্যবসায়ীও এসব এসিড আমার কাছ থেকে ক্রয় করে থাকে। এভাবে ব্যবসা না করলে তো আমি বিক্রি করার মত তেমন কোন লোক পাবো না।
এ ব্যাপারে পূর্ণিমা জুয়েলার্সের প্রোপাইটার স্বপন কুমার মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে তো ৫০ লিটার সালফার এসিড দিয়ে সে টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে চৈতন্য দা। আমার কেনা এসিড আমার কাছেই আছে। ওনার বাকি এসিডের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমাকে তো আর কোন এসিড আজ দেয়ার কথা না এগুলোর ব্যবহার করা শেষ হলে পরে প্রয়োজনমতো আমি কিনে নিব। তিনি আরো বলেন, বৈধভাবে এসিড ক্রয় ও ব্যবহারের লাইসেন্স রয়েছে আমাদের টাংগাইল জেলায় আমার সহ সর্বমোট ২ টি। আমি ভাই আর সরকারি নিয়ম মেনে সুনামের সাথে বৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। অসৎ এসব ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কে বা কারা জড়িত এ বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই।
রবিবার বিকেলের সালফিউরিক এসিড কেনার বিষয়টি মনোরঞ্জন কর্মকার অস্বীকার করে বলেন, এসিড গুলো আমার দেকানের রেখেছে, এগুলো নিয়ে যাবে। আমার এগুলো কেনার লাইসেন্স নেই। তবে, লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি।
এ বিষয়ে অপর এক এসিড ক্রেতা আলিম বলেন, আমি ভাই মনোরঞ্জন দা এর দোকানের কর্মচারী। আমি এসব এর কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার ফায়ারসার্ভিস কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, সালফিউরিক এসিড অতি দাহ্য পদার্থ। আমাদের উপজেলার স্বর্ণকার এস ব্যবহার করে। তবে আমার জানামতে, উপজেলায় ২ টি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এসব দাহ্য পদার্থও ক্রয় বিক্রয়ের লাইসেন্স এর বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো তথ্য নেই।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই জাহান বলেন, অবৈধ কার্য্যক্রের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেআইনি ভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এলাকার সচেতন মহলের বলেন, অবৈধভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রয় না হলে, ব্যাটারী ব্যবসায়ী, স্বর্ণকার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে কিভাবে এসব মারাত্মক বিপদজনক দাহ্য এসিড পায়। কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যে কোন সময় ঢাকার জুস কারখানার মত বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে নাগরপুরও।
বিশেষ সংবাদ
ব্রিজ-ডাইভারসনের অভাবে নাগরপুর-সলিমাবাদ-চৌহালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের নারগপুর উপজেলার কাঠুরী চৌরাস্তায় ব্রিজ ও ডাইভারসনের অভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রায় নাগরপুর-সলিমাবাদ-চৌহালীর সাথে।
সরেজমিনে, UZHQ- সলিমাবাদ RHD রাস্তায় ৫৪ মি:চেইনইেৎ ১৫ মি: দীর্ঘ আরসিসি গাডার ব্রীজটির প্রক্কলিত মূল্য ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৪ হাজার ৫ শত ৬৪ টাক। কিন্ত চুক্তি মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার ৯ শত ৫৭ টাকা ৯৬ পয়সা ধার্য্য করে টাঙ্গাইলের আমঘাট রোডের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ ১৫ নবেম্বর ২০২০ সালে কাজটি শেষ করার চুক্তিতে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে।
পরে, টাঙ্গাইল- ৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ তা অনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ভোধন করেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পেয়েই কোন ডাইভারশন নির্মান না করেই, ঐ স্থানের পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে বিক্রি করে দেয়। এলাকাবাসীর চাপের মুখে তারা কিছু মাটি ফেলে।
তবে, নাগরপুর উপজেলার সহকারী প্রোকৌশলী মো. ময়নুল এর সাথে কথা বলে জানাযায়, কাজ চলাকালীন সময়ের জন্য একটি ৪০ মিটার ইট সোলিং এর ডাইভারসন তৈরী করে কাজটি শুরু কথা।
কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে বাঁশে সাকো ছাড়া কিছুই দৃশ্যমান হয়নি। উলেখ্য, এলাকাবাসী ও ভাড়ায় চালিত মোরসাইকেলের চালকেরা চাঁদা উঠিয়ে সাকোটি নির্মান করেছে।
এ বিষয়ে সড়ক ব্যবহারকারী আবু বকর বলেন, আমরা অসুস্থ রোগী নিয়ে সময় সময় চিন্তায় থাকি, বিকল্প রাস্তা না করেই পুরাতন ব্রিজটি ভেঙ্গে ফেলায়, আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে আছি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান চাই আমরা।
অপর পথচারী জুয়েল বলেন, কাজটির আগামী ২ মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো শুরুই হয়নি। তার উপর কোন বিকল্প রাস্তা নেই, ফলে সময়, টাকা, পরিশ্রম দুইগুনেরও বেশি লাগছে।
পরিবহন শ্রমিকরা সকলে এক বাক্যে বলেন, ব্রিজটির কাজ শেষ না হওয়া এবং ডাইভারসন না থাকায়, আমাদের আয় কমে গেছে, যাত্রীদের খরচ বেড়েছে। মালামাল, রোগী নিয়ে বিরম্বনার শেষ নেই। দ্রুত ডাইভারশন করে যথা সময়ে ব্রিজের কাজটি শেষ হলে সকলে মঙ্গল হয়।
টাঙ্গাইলের আমঘাট রোডের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজের মিন্টু এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুটি সরাতেই আমাদের ৩ মাস সময় লেগেছে। আমরা ডাইভারশন করার জন্য মাটি ফেলে ছিলাম কিন্তু বন্যায় ক্ষতি হয়েছে। গত ১ বছর সময়ে এর বাইরে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি আর কোন কাজ করেছে বলে তিনি ইল্লেখ করতে পারেননি।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার নির্বাহী প্রোকৌশলী মাহাবুব বলেন, আমরা ঠিকাদারকে কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছি। বর্তমানে বন্যার কারনে পাইলিং করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাছাড়াও বন্যার আগে নির্ধারিত পাথর না পাওয়া এবং যথা সময়ে পাইলিং করতে না পারায় কাজটি পিছিয়ে গেছে। তবে, আশাকরি দ্রুতই কাজটি শেষ হবে।
বিশেষ সংবাদ
সব রোজা রেখেছে শ্রীপুরের ৮ বছরের এতিম শিশু ইব্রাহিম!

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর): এক হতদরিদ্র পরিবারের সদস্য সে। এখন বয়স মাত্র ৮ বছর। পৃথিবীর কিছুই যখন বুঝতে পারেনা এমন বয়সে (২ বছর) মায়ের মৃত্যু। ভূমিহীন বাবা দিনমজুর হিসেবে মানুষের বাড়ী কাজ করে। নানার বাড়িতে টিনের ছাপড়ায় তাদের বসবাস। দরিদ্রতার চরম সীমায় থেকেও আল্লাহর হুকুম ভুলে যায়নি শিশুটি। নামাজ পড়ার সাথে সাথে গত বছরের ৩০ রোজাও রেখেছিল। এবারও এখন পর্যন্ত সবকয়টি (২৯) টি রোজা রেখেছে গাজীপুরের শ্রীপুরের এতিম শিশু মোঃ ইব্রাহিম।
মোঃ ইব্রাহিম (৮) উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাইটালবাড়ী গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। সবকয়টি রোজা রেখে ইতিমধ্যে সে এলাকায় বিস্ময় শিশু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
ইব্রাহিম জানায়, রোজা রেখে তার দারুণ ভালো লাগছে। সব রোজা রাখতে পেরে সে খুব খুশি। কিছুটা কষ্ট হয়েছে। ক্ষুধা লেগেছে। তবু পবিত্র মাহে রমজান দারুণভাবে উপভোগ করছে ও। ওর কাছে সাহরি ও ইফতার খাওয়া অনেক আনন্দের বিষয়।
৩০ রোজা শেষ করে ঈদের নামাজ পড়বে বলেও জানান ইব্রাহিম । এজন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছে সে। [ads]
স্থানীয় হৃদয় খান জানান, আলহামদুলিল্লাহ। এই এতিম ছেলেটি এ পর্যন্ত সবকয়টি রোজা রেখেছে। সবাই দোয়া করবেন শিশুটির জন্য। আমাদের গ্রামে একজন গরীব দিন মুজুর ঘরে জন্ম তার। খুব অল্প বয়সে মা-কে হারায় সে। খুব কষ্ট হয় তাকে দেখলে। সে খুবই ভদ্র ও হাসিখুশি ।
শিশুর চাচা জহিরুল ইসলাম জানান, সাধ্য অনুযায়ী আমরা মাঝে মধ্যে তার খোঁজ খবর নিয়ে থাকি। তাদের থাকার জন্য ঘরের খুবই অভাব। সরকারি ভাবে তার পরিবারের জন্য কিছু করতে পারলে উপকৃত হতো।
শিশুটির বাবা আব্দুল মিয়া জানান, গত বছর প্রথম রোজা রাখতে শুরু করেছে এবং প্রথমবারই সবকটি রোজা রেখেছিল মা হারা ইব্রাহিম। এ বছরও ২৯টি রোজা হয়েছে। বাকি রোজাগুলোও (৩০টি) রাখবে বলে জানিয়েছে সে। ছোট মানুষ হওয়ায় আমি না করলেও মানেনা সে। সকলে তার জন্য দোয়া করবেন। [ads]
শ্রীপুর পাকা জামে মসজিদের পেশ ঈমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মামুনুর রশীদ জানান, হাদিসে রয়েছে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের শিশুর বয়স যখন ৭বছর হয় তখন থেকেই তাদেরকে নামাজের জন্য আদেশ করো এবং তার বিছানা আলাদা করে দাও। আর অন্যান্য ইবাদতের জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করো। সে ক্ষেত্রে শিশু ইব্রাহিমকে রোজা রাখতে উৎসাহ দেওয়াটা রাসুল (সাঃ) হাদিসেরই অন্তভুক্ত। তাই- শিশু ইব্রাহিম যেন রাসুলের আদর্শ নিয়ে বড় হতে পারে সেজন্য আল্লাহর দরবারে তার জন্য দেয়া করি।
বিশেষ সংবাদ
স্বপ্নে করোনার ওষুধ পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ধরা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বপ্নে পাওয়া করোনা ভাইরাসের ওষুধ আবিষ্কারের দাবিদার শাহিন মিয়া (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সাথে ওই ব্যক্তির সহকারি তার পিতা জসিম উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা নান্দাইল উপজেলার খামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৭ মার্চ) শাহিন মিয়া খামারগাঁও গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ পড়ার আগে মুসল্লিদের সামনে হাজির হয়ে তার ওষুধ আবিষ্কারের কথা বলেন। এ সময় তিনি দাবি করেন, তার আবিষ্কার করা ওষুধ মুসলমানরা খেলে করোনা ভালো হয়ে যাবে। আর অন্য ধর্মের কেউ খেলে নিশ্চিত মৃত্যু হবে।
তিনি রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে একটি চানাচুর কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। সেখানে কাজ করার সময় স্বপ্ন দেখে বাড়িতে আসার পর ওষুধটি বানাতে সক্ষম হয় বলেও দাবি করেন। এ নিয়ে তিনি সরকারে সাথে চুক্তি করার অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। এ ঘোষণার পর থেকেই শাহিনের বাড়িতে লোকজনের ভীড় বাড়তে থাকে।
বিষয়টি জানতে পেরে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিম সুজন ঘটনাস্থলে যান। এসময় শাহীন মিয়া তার ওষুধ আবিষ্কার ও মসজিদে গিয়ে ওষুধের প্রচারণা চালানোর কথা স্বীকার করে। পরে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে শাহীনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও তার পিতাকে জরিমানা করে।
নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ জানান, ভন্ড কবিরাজ শাহিনকে রাতেই ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিশেষ সংবাদ
করোনা রোগীর ফুসফুসের পরিণতি!

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোগীর ফুসফুসে মারাত্মক আঘাত হানে। ফলে রোগীর শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এমনকি হতে পারে মৃত্যু!
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৮০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের হালকা লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়। আবার অনেকের মাঝে এসব উপসর্গ নাও দেখা যেতে পারে। মাত্র ২০ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে নেয়া লাগে। এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের অবস্থা হতে পারে গুরুতর। ছয় শতাংশ রোগীর অবস্থা হয় সংকটাপন্ন এবং তারা হারিয়ে ফেলতে পারেন ফুসফুসের কার্যক্ষমতা।
কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার ফুসফুসের অবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায়, তার একটি থ্রিডি ভিডিও প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের বক্ষ সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. কেইথ মর্টম্যান। পঞ্চাশোর্ধ্ব ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে ছবিগুলো তোলা হয়।[ads]
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, ছবিগুলো তোলার কয়েক দিন আগেও আগে ওই ব্যক্তির ফুসফুস একদম ঠিক ছিল। ডা. মর্টম্যান বলেছেন, রোগ (করোনাভাইরাস) তার ফুসফুসের বিরাট অংশ জুড়ে বিস্তার করেছে। ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, ঘাসের মেঘে (টিস্যুগুলো দেখতে ঘাসের মতো দেখাচ্ছে) ছেয়ে গেছে তার ফুসফুস। (হালকা হলদেটে) সবুজ ঘাসের মতো দেখতে এগুলো আসলে নষ্ট টিস্যু।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানা যায়, 'ওই ব্যক্তি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হওয়ার পর অন্য একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়। সেখানে তার সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি ও একটু শ্বাসকষ্ট ছাড়া অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে ওই হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এতেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি (জিডব্লিউইউ) হাসপাতালে।'