banglanewspaper

ডেস্ক রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ঈদের পরও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে প্রচারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যানার-ফেস্টুন রাতের আঁধারে উধাও করে দিচ্ছেন বলেও কিছু কিছু স্থানে খবর পাওয়া গেছে।

তবে আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্পস্ট বলেছেন, দ্বন্দ্ব-বিভেদকারীকে নমিনেশন দেওয়া হবে না। এদিকে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার আর ২০১৪ সালের মতো কারো দায়িত্ব নিতে পারবেন না। তাই, নিজের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করেই দলের মনোনয়ন পেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ৪ টি দেশি-বিদেশী সংস্থা দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং বর্তমান সংসদ সদস্যদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি করাচ্ছেন

সর্বশেষ ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৩১ টিতে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। যাদের অনেকেরই জনপ্রিয়তা ছিল না। ছিল না, নেতাকর্মীদের সাথে ন্যুন্যতম যোগাযোগ। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে এদের মাঝে বেশীর ভাগ এমপি। এদের মধ্যে থেকেই মন্ত্রী বেছে নেওয়া হয়। এখন শুরু হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তোড়জোড়। আর আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে ইতিমধ্যেই কিছু সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, যার একটি হলো, গত নির্বাচনে দল থেকে নির্বাচিত ২৩১ এমপির মধ্যে ৭৩ জনকে মনোনয়ন না দেওয়া ও অপরদিকে এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী এগিয়ে আছে ১০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে পৌচেছে।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়ন বঞ্চিত হতে চলা ৭৩ এমপির মধ্যে অনেকেই বেশ প্রভাবশালী। আবার কয়েকজন আছেন বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী।

সাম্প্রদায়িকতা, দুর্নীতি, বিতর্ক, জনপ্রিয়তা হারানোর মতো কারণে অনেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত হতে যাচ্ছেন। আবার অনেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন না বয়সের কারণে। এছাড়া নির্দিষ্ট আসনে অন্য কাউকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়ায়ও অনেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য দলের হলেও আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করেছেন অনেকে। আবার অনেকে স্বতন্ত্রভাবে (অনেকে আওয়ামী লীগেরই বিদ্রোহী প্রাথী) নির্বাচিত হলেও পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এসব এমপিদেরও কেউ কেউ এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না।
বয়সের কারণে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না। অর্থমন্ত্রীর সিলেট-১ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন তাঁরই ছোট ভাই আবুল কালাম আবদুল মোমেন।

এছাড়া বয়সের কারণে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না শরীয়তপুর-২ আসনের সাংসদ শওকত আলী। ওই আসনে এবার এনামুল হক শামীম মনোনয়ন পেতে পারেন। একই কারণে মনোনয়ন পাচ্ছেন না ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি রমেশ চন্দ্র সেন। ২০০৮ সালে তিনি পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও-২ আসন থেকে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না এমপি মো. দবিরুল ইসলাম। স্থানীয়ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ ওঠায় দল থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ ও স্থানীয় বিরোধের কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি মো. মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাট-২ আসনের এমপি নুরুজ্জামান আহমেদ এবং গাইবান্ধা-৩ আসনের এমপি ইউনুস আলী সরকার।

জনপ্রিয়তা হারানোয় মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সামছুল আলম দুদু।

রাজশাহী-১ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী। ২০০৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারেরই প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত রিয়াল এস্টেট ব্যবসায়ী রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুল হক মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের ছেলে সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের এমপি তানভীর ইমাম। তবে এবছর মনোনয়ন পাচ্ছেন না তিনি।
ছেলে শিরহান শরীফ তমালের গ্রেপ্তার হওয়াসহ নানা কারণেই বিতর্কিত ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। পাবনা-৪ আসনের এই এমপি এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন না।

টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা হত্যা মামলার আসামি। স্বাভাবতই এবার মনোনয়ন বঞ্চিত থাকছেন তিনি।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিমন্ত্রী ছিলেন মো. রেজাউল করিম হীরা। জামালপুর-৫ আসানের এই সাংসদ এবার মনোনয়ন বঞ্চিতই থাকছেন।

জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আরিফ খান জয়। বর্তমানে তিনি নেত্রকোনা-২ আসনের এমপি এবং ক্রীড়া উপমন্ত্রী। তবে এবার মনোনয়ন বঞ্চিতই থাকতে হবে তাঁকে।

রাজবাড়ী ২ আসনের সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিমের স্থলে মনোনয়ন পেতে পারেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা শেখ সোহেল রানা টিপু।

আওয়ামীগের বিদ্রোহী হয়ে স্বতন্ত্র প্রাথী হিসেবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বচনে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাজী মো. সেলিম। এবার হয়তো মনোনয়ন পেতেনে। তবে অসুস্থতার জন্যই তিনি মনোননয় বঞ্চিত হচ্ছেন।

সাংসদ এ কে এম রহমতুল্লাহ্ অবশ্য মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন ভিন্ন কারণে। তাঁর ঢাকা-১১ আসনের এবার অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। ওই আসনে ফারুক খান মনোনয়ন পেতে পারেন বলে কানাঘুষা চলছে।

সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার বয়সের কারণে রাজনীতিতে তেমন সময়ই দেন না। তার বিরুদ্ধে মনিপুর স্কুল নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। মূলতঃ মোহনা টেলিভিশনে বসেই তিনি সময় পার করেন। নেতা কর্মীদের সাথে নেই ন্যুন্যতম যোগাযোগ। তার আসন ঢাকা ১৫ তে মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রিয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু। স্থানীয় জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হলে তার মনোনয়ন পাওয়া এক প্রকার নিশ্চিত।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ। নরসিংদী-৫ আসনের এই সাংসদ মনোনয়ন বঞ্চিতই থাকতে পারেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে বিতর্কিত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সাংসদ এবং মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক। আগামী সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন না তিনি।

কুমিল্লা-৯ আসনের সংসদ সদস্য মো. তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধেও রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। বিশেষ করে আওয়ামীলীগের ভিতর থেকেও তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ভূমিকার অভিযোগ তুলেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ভূঁইয়া। তিনি অভিযোগ করেন, তাজুলের  বাবা এবং তার আপন মামা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানী বাহিনীকে সহযোগীতা করেছেন এবং মনোহরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর-বাড়ী পোড়ানোসহ বিভিন্ন নির্যাতন পরিচালনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন।

সংসদ সদস্য তাজুল ইসলামের আপন ছোট ভাই নজরুল ইসলাম জামায়াতের রোকন সদস্য। এই আসনে কে প্রার্থী হচ্ছে তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা দেলোয়ার হোসেন ফারুক তরুণ প্রজন্মের কাছে অত্যাধিক জনপ্রিয়। এছাড়াও এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে তার অংশগ্রহণের কারণে সাধারণ মানুষের সাথেও রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তরুণ প্রজন্মের এমপিদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে তার মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে গুঞ্জনকে সত্য বলেই আপাতত মনে হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে বিতর্কিত হয়েছেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের সাংসদ এম আবদুল লতিফ। আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত থাকছেন তিনি।
কক্সবাজার-৪ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি। ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত। এবারের সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে আরও অনেকেই মনোনয়ন পাচ্ছেন না। এরা হলেন আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১), মো. হাবিবর রহমান (বগুড়া-৫), মোহা. গোলাম রাব্বানী (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১) মো. আব্দুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), মো. শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২) মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২), গাজী ম.ম. আমজাদ হোসেন মিলন (সিরাজগঞ্জ-৩), আ. মজিদ মন্ডল (সিরাজগঞ্জ-৫), মো. গোলাম ফারুক খন্দ. প্রিন্স (পাবনা-৫), ফরহাদ হোসেন (মেহেরপুর-১) আবদুর রউফ (কুষ্টিয়া-৪), সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) (চুয়াডাংগা-১), মো. নবী নেওয়াজ (ঝিনাইদহ-৩ ), মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার)(ঝিনাইদহ-৪), শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), রণজিত কুমার রায় (যশোর-৪), এ টি এম আব্দুল ওয়াহাব (মাগুরা-১), মো. কবিরুল হক (নড়াইল-১), মো. মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪), মুহাম্মদ মিজানুর রহমান (খুলনা-২), মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), শওকত হাচানুর রহমান (রিমন) (বরগুনা-২), মো. মাহবুবুর রহমান (পটুয়াখালী-৪), আলী আজম (ভোলা-২), তালুকদার মো. ইউনুস (বরিশাল-২), বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ (বরিশাল-৫), বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১), অনুপম শাহজাহান জয় (টাংগাইল-৮), মো. ফরিদুল হক খান (জামালপুর-২), এ. কে. এম. ফজলুল হক (শেরপুর-৩), জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১ ), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (ময়মনসিংহ-৩), মো. মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), ডাঃ মোহাম্মদ আমানউল্লাহ (ময়মনসিংহ-১১), রেবেকা মোমিন (নেত্রকোনা-৪), মো. সোহরাব উদ্দিন (কিশোরগঞ্জ-২), মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ (ঢাকা-১৬), মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (নরসিংদী-১), বি, এম, মোজাম্মেল হক (শরীয়তপুর-১), মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫), মো. আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), বেগম আয়েশা ফেরদাউস (নোয়াখালী-৬), এ. কে. এম শাহজাহান কামাল (লক্ষ্মীপুর-৩), মো. আবদুল্লাহ (লক্ষ্মীপুর-৪), মাহফুজুর রহমান (চট্টগ্রাম-৩), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন (চট্টগ্রাম-১৫), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২) প্রমুখ। (তথ্য সূত্র-বিডিহটনিউজ)

গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ১০০ সম্ভাব্য প্রার্থী যাদের নাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারা : এমপিদের মধ্যে রয়েছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের জগলুল হায়দার, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (দিনাজপুর-২), নরুজ্জামান আহমেদ ( লালমনিরহাট-২), ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী (রংপুর-৬), জুনায়েদ আহমেদ পলক (নাটোর-৩), মাহবুবুল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩), আনোয়ার আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), নুরুন্নবী শাওন (ভোলা-৩), ড. আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬), নাইমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ-১), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪), ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), নাহিম রাজ্জাক (শরিয়তপুর-৩), আনিসুল হক (বি.বাড়িয়া-৪), সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য তারানা হালিম, নূরজাহান বেগম মুক্তা, সাবিরনা আক্তার তুহিন, ফজিলাতুননেসা বাপ্পী, সানজিদা খানম, মেহেজাবিন খালেদ।

অন্যান্যদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছেন শফী আহমেদ (নেত্রকোণা-৪), ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন (চট্টগ্রাম-১৪), এ এইচ এম মাসুদ দুলাল (নারায়ণগঞ্জ-৩), বিশ্বনাথ সরকার বিটু (রংপুর-২), অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর-৩), ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন (গাইবান্ধা-৫), সাখাওয়াত হোসেন শফিক (বগুড়া-৭), ইঞ্জিনিয়ার আকতারুল আলম (নওগাঁ-২), মাহমুদ রেজা (নওগাঁ-২), কোহেলি কুদ্দুস মুক্তি (নাটোর-৪), কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে মো. মিজানুর রহমান বিটু, অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু (পাবনা-৩), রফিকুল ইসলাম লিটন (পাবনা-৩), অ্যাডভোকেট এ বি এম আহসানুল হক আহসান (যশোর-৩), কামরুল হাসান বারী (যশোর-৫), সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১), পংকজ সাহা (মাগুরা-১), ড. ওয়াহিদুর রহমান টিপু (মাগুরা-২), শ্যামল দাস টিটু (নড়াইল-১), নিজাম উদ্দিন খান নিলু (নড়াইল), বদিউজ্জামান সোহাগ (বাগেরহাট-৪), আকতারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬), আব্দুল মালেক (পটুয়াখালী-২), জিয়াউল হক জুয়েল (পটুয়াখালী-২), শাহে আলম (বরিশাল-২), মনিরুজ্জামান মনির (ঝালকাঠি-১), এস এম মশিউর রহমান শিহাব (বরগুনা-১), মারুফা আক্তার পপি (জামালপুর), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোনা-৩), আলমগীর হাসান (নেত্রকোনা-৩), অজয় কর খোকন (কিশোরগঞ্জ-৫), গোলাম সরোয়ার কবীর (মুন্সীগঞ্জ-১), ইঞ্জিনিয়ার কাজী আবদুল ওয়াহিদ (মুন্সীগঞ্জ-২), ফয়সাল বিপ্লব (মুন্সীগঞ্জ-৩), পনিরুজ্জামান তরুন (ঢাকা-১), ড. আওলাদ হোসেন (ঢাকা-৪), অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু কাউসার (ঢাকা-৮), গোলাম রব্বানী চিনু (ঢাকা-১৩), ইকবাল হোসেন সবুজ (গাজীপুর-৩), অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবীর কাউসার (নরসিংদী-৫), শেখ সোহেল রানা টিপু (রাজবাড়ী-১), ড. আবদুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩), আনোয়ার হোসেন (মাদারীপুর-৩), দেলোয়ার হোসেন (মাদারীপুর-৩), ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), এ কে এম আজম খান (পিরোজপুর-১), এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), বাহাদুর বেপারী (শরীয়তপুর-৩), মঈন উদ্দিন মঈন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), মো: আলামিনুল হক আলামিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), সুজিত রায় নন্দী (চাঁদপুর-৩), মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন (চট্টগ্রাম-৬), মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), মঞ্জুরুল আলম শাহীন ও জহিরউদ্দীন মাহমুদ লিপটন (ফেনী-৩), সাইফুদ্দীন নাসির (ফেনী-২), এম এ মমিন পাটোয়ারী (লক্ষ্মীপুর-১), নাফিউল ইসলাম নাফা (নীলফামারী-৪ ), রবিউল ইসলাম রবি (ঠাকুরগাঁও-৩) প্রমুখ। 

সূত্র: বাংলাদেশ সময়

ট্যাগ:

জাতীয়
‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেলো বাংলাদেশ

banglanewspaper

অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ডি-৮ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছে। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান স্মরণে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

সোমবার (১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ড. ফাতিহ এরবাকান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।

জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও ডি-৮-এর দায়িত্ব পালনকারী তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও চিঠি তুলে দেন।

ট্যাগ:

জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি : প্রধানমন্ত্রী

banglanewspaper

বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার শোকের মাস উপলক্ষে কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা ছিল জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা। মানুষের ভালোবাসার টানে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ তাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার জীবনে ক্ষমতার কোনো লোভ ছিল না। তিনি দেশের মানুষের জন্য আত্মত্যাগের নজির রেখে গেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শত কষ্টের পরও বঙ্গবন্ধু কোথাও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। পূর্ব বাংলার মানুষের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারেননি। ক্ষমতা, পদ-পদবীর লোভের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বিএনপির সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এক নম্বরে ছিল। বিএনপির আমলে ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। এখন তাদের কাছ থেকে নীতি কথা শুনতে হয়। যারা দেশটাকে সন্ত্রাসের দেশ, জঙ্গিবাদের দেশ, বাংলা ভায়ের দেশ বানিয়েছিল, তারা দেশের টাকা পাচার করেছিল। সেই টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি।’

ট্যাগ:

জাতীয়
ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল

banglanewspaper

দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা বেশি দরে।

বাড়তি দাম সোমবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম কেজিপ্রতি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে এক কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকায় বিক্রয় হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজি সারে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ টাকা।

মন্ত্রণালয়ের মতে ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এক হিসেবে দেখা যায় ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টনের বেশি। তবে সে অনুযায়ী ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, যা বর্তমানে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন লাগছে।

ট্যাগ:

জাতীয়
ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, অন্যরা এসে ধাক্কা খায়: রেলমন্ত্রী

banglanewspaper

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল লাইনে যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে তার জন্য রেল দায়ী নয়।

সোমবার ( ১ আগস্ট) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশব্যাপী প্রদর্শনের শুভ সূচনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, রেল লাইনে কোনো দুর্ঘটনা হলে দোষ রেলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। রেল কাউকে ধাক্কা দিতে যায় না। অন্যরা রেলের ওপর এসে ধাক্কা খায়। আরেকজন এসে রেলে ধাক্কা খাবে তার দায় রেলের ওপর দেওয়া হবে এটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই জায়গাটিতে আমাদের একটু সচেতনার প্রয়োজন আছে।

রেলমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু রেল লাইনের যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই যদি রেল লাইনচ্যুত হয়। যদি ট্রেন রেলপথ ছেড়ে কোনো বাড়িতে ঢুকে বা অন্য রাস্তায় চলে যায় তাহলে সেটা হবে রেল দুর্ঘটনা। এই জায়গাগুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, রেলের যেসব গেট আছে সেগুলোর দায়িত্ব যারা রাস্তা করেছে তাদের নিতে হবে। রাস্তা করে তো তারা খালাস। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেটা এককভাবে রেলের ওপরে না দিয়ে যৌথভাবে কীভাবে ‍নিশ্চিত করতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বাইরে থেকে যেন কোনোকিছু রেল চলার পথে অনিরাপদ করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, খুলনার সঙ্গে মোংলার রেল যোগাযোগ ছিল না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলার পোর্টের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বক্তব্য রাখেন।

দুপুরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

ট্যাগ:

জাতীয়
‘ঢাকা থেকে শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে’

banglanewspaper

ঢাকা শহর থেকে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।

সোমবার (১ আগস্ট) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, তাতে দেশের সব শিশুদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করব। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।

ডা. খুরশিদ আলম বলেন, টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার পরিমাণ জানালে আমরা স্কুলে গিয়ে টিকা দিয়ে আসব। এটা বিশেষ টিকা, চাইলেই সবসময় পাওয়া যায় না।

তবে শিশুদের টিকাদান বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।

ট্যাগ: