
আদিকাল থেকেই বৃষ্টির সাথে আমাদের প্রেম। বৃষ্টি আমাদের প্রথম প্রেমিক, প্রথম প্রেমিকা। বাঙ্গালীর অনেক রোমান্টিক স্মৃতির সাক্ষী এই বর্ষা। বর্ষা নিয়ে কত গল্প, ছড়া, কবিতা, গান আছে তার কোন হিসেব নেই। নগর জীবনে ছুটে চলা ব্যস্ত মানুষটাও বর্ষার দিনে আকাশের দিকে তাকায়। তাকিয়ে একবারের জন্যে হলেও তার প্রিয় বর্ষার গানটি গুনগুন করে। আর কে না জানে বর্ষা উদযাপনে প্রধান উপকরণ বর্ষার গান। আমরা তাই সবসময়ের প্রিয় দশটি বর্ষার বাংলা গান উপস্থাপন করলাম। চলুন একটু গুনগুন করে আসি।
১) আজি ঝরঝর মুখর বাদল দিনে- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন অসাধারণ বর্ষা প্রেমিক ছিলেন। তিনি ১০০ টিরও বেশি বর্ষার গান লিখেছেন। তাই বাদল দিনের গানের তালিকা করতে গেলে সেখানে স্বাভাবিকভাবেই কবি গুরুর লেখা গান সংখ্যা গরিষ্ঠের আসন পেয়ে যায়।
বর্ষার দিনে কাজে কারো মন বসে না, এই চিরন্তন সত্য দিয়েই গানটির শুরু।
“আজি ঝর ঝর মুখর বাদলদিনে
জানি নে, জানি নে কিছুতেই কেন মন লাগে না ।”
২) বর্ষা-শিরোনামহীন
‘শিরোনামহীন’ তরুণদের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড। ‘বর্ষা’ গানটি ২০০৬ সালে বের হওয়া তাদের ২য় এ্যালবাম “ইচ্ছেঘুড়ি” থেকে নেওয়া। গানটির কথা ও সুর চমৎকার। বর্ষার দিনে শোনার মতই একটি গান।
“মেঘলা কবেকার স্মৃতিময় বাতায়ন,
বলে যায় তোমায় অনব ভালবাসি।”
গানের এই লাইন দুটি শ্রোতার মনে হাহাকার ছড়িয়ে দেয়।
৩) এই মেঘলা দিনে একলা– হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানটি অনেক পুরনো একটি গান। কিন্তু এতদিন পরেও গানটির আবেদন কিছু মাত্র কমেনি। এভারগ্রিন বৃষ্টির গানের তালিকায় গানটি পাকাপোক্ত আসন করে নিয়েছে। আপনি যদি গানটি আগে শুনে না থাকেন, তবে আজই শুনে নিন। গানের প্রথম চারটি লাইনই বৃষ্টির দিনে যে কাউকে উদাস করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট।
“এই মেঘলা দিনে একলা
ঘরে থাকে না তো মন,
কাছে যাব কবে পাব
ওগো তোমার নিমন্ত্রণ।”
৪) বৃষ্টির গান- জলের গান
একটু ভিন্ন ধরণের বাদ্য যন্ত্র, গানের কথা, সুর নিয়ে “জলের গান” বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাদের গানে পাওয়া যায় সোঁদা মাটির গন্ধ, টাপুর টুপুর বৃষ্টির সুর। যে ব্যান্ডের নাম “জলের গান” বৃষ্টি নিয়ে তাদের গান থাকবে না, তা তো হয় না। ‘বৃষ্টির গান’ জলের গানের গাওয়া বৃষ্টি নিয়ে জনপ্রিয় একটি গান। গানটিতে চমৎকার বাঁশির সুর যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।
৫) এই বৃষ্টি ভেজা রাতে- আর্টসেল
আর্টসেল তরুণদের নিকট তুমুল জনপ্রিয় একটি ব্যান্ড। বৃষ্টি নিয়ে তাদের এই একটি গানই আছে এবং গানটি তার অসাধারণ লিরিকের জন্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটির প্রেক্ষাপট বৃষ্টি ভেজা রাত আর সেই চিরন্তন আক্ষেপ। এই বর্ষায় আপনজন পাশে না থাকার বেদনা।
“এই বৃষ্টি ভেজা রাতে তুমি নেই বলে
সময় আমার কাটে না।”
৬) এমন দিনে তারে বলে যায়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
বর্ষার দিনে এই গানটি গুনগুন করে বহু বর্ষা প্রেমিক, বহু রবীন্দ্র প্রেমিক। গানটি না শুনে শুধু গানের কথাও যদি কেউ পড়ে, সে এই গানের প্রেমে পড়তে বাধ্য। এই গানটি যারা শুনেছে নিচের চারটি লাইন তাদের খুবই আপন হয়ে উঠেছে।
“তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার
নামাতে পারি যদি মনোভার!
শ্রাবণ বরিষনে একদা গৃহকোণে
দু কথা বলি যদি কাছে তার
তাহাতে আসে যাবে কিবা কার।”
৭) বৃষ্টি-রাগা (এলিটা)
গানটির শুরুতেই এক পশলা বৃষ্টি এসে আপনাকে ভিজিয়ে দিবে। এরপর খুব দারুণ একটি সুর দিয়ে শুরু হবে গানটি। বাংলাদেশে গায়িকাদের মধ্যে এলিটা করিম অন্যতম। তার ‘বৃষ্টি’ নিয়ে এই গানটি জনপ্রিয় একটি গান। গানটির কোরাস শুনলেই গানটি আপনার পছন্দের বর্ষার গানের তালিকায় নিয়ে ফেলবেন এটি নিশ্চিত।
“বৃষ্টি ভেজা এই বেলায় আমি তো স্বাধীন
রংধনু রঙের মেলায় এলো নতুন দিন।”
৮) চলো বৃষ্টিতে ভিজি- হাবিব
এই গানের টাইটেলটি এক জীবনে আমরা কতবারই না উচ্চারণ করেছি। যখনই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নেমেছে কাছের মানুষকে বলেছি, ‘চলো বৃষ্টিতে ভিজি।’
গানটিতেও প্রকাশ পেয়েছে ঠিক একই আকুলতা, একই আবেদন। গানটি হুমায়ুন আহমেদের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা ‘আমার আছে জল’ থেকে নেওয়া। গানটির প্রথম দুইটি লাইন যে কাউকে নস্টালজিক করে দিতে বাধ্য।
“বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান
বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান”
৯) এপিটাফ- অর্থহীন
বৃষ্টির দিনে ফেসবুকে একটু ঘোরাফেরা করলেই এই গানের লাইনগুলো স্ট্যাটাস হিসেবে পাওয়া যাবে। যে গানের প্রথম দুটি লাইন
“বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে
হাঁটছি আমি মেঠোপথে”
সে গান বৃষ্টির দিনে প্রিয় কেনই বা হবে না। ‘অর্থহীন’ ব্যান্ডের গানগুলো অনেক দিন থেকেই শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় আর ‘এপিটাফ’ তাদের মধ্যে অন্যতম।
১০) যদি মন কাঁদে-শাওন
‘যদি মন কাঁদে’ গানটি জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের লেখা। হুমায়ূন আহমেদের ছিল অসম্ভব রকমের বর্ষা প্রেম। তার অনেক লেখাতেই বৃষ্টি এসেছে। যতটুকু জানা যায় নুহাশ পল্লীতে বসেই এই গানটি লিখেছিলেন তিনি এবং এক বর্ষার রাতেই সেটি গেয়ে শোনায় শাওন। গানটি শুনলে একে তো বৃষ্টি অনুভব করা যায় সাথে সাথে হুমায়ূন ভক্তরা হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে নেয়।
গানের তালিকা করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি সকল বয়সের পছন্দের এবং সকল ধরণের গান রাখতে। আশা করি ভাল লাগবে আপনাদের। তো আর দেরি না করে সাজিয়ে ফেলুন আপনার প্লে লিস্ট।
“যদিও তখন আকাশ থাকবে বৈরি
কদম গুচ্ছ হাতে নিয়ে আমি তৈরি ।।
উতলা আকাশ মেঘে মেঘে হবে কালো
ছলকে ছলকে নাচিবে বিজলী আরো
তুমি চলে এসো, চলে এসো
এক বরষায়……………”
লাইফস্টাইল
গরুর মাংসের দোপেঁয়াজা, যেভাবে বানাবেন

নানা অঞ্চলের খাবারে কিছু বিশেষত্ব থাকে— যা স্বাদে-গন্ধে আনে ভিন্নতা। গরুর মাংস নানাভাবেই রান্না করা যায়। কখনও কখনও স্বাদে যেমন বৈচিত্র্য আনা যায়, তেমনি গন্ধেও আনা যায় ভিন্নতা। গরুর মাংসের দোপেঁয়াজা সেসবের মধ্যে অন্যতম। সাধারণ উপায়ে যে মাংস ভুনা করেন, সেই পদ্ধতিতে দোপেঁয়াজা রান্না করা যাবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরুর মাংসের দোপেঁয়াজা রান্নার রেসিপি—
উপকরণ
গরুর মাংস ১ কেজি, পেঁয়াজ মোটা মোটা কাটা ২৫০ গ্রাম, কাঁচা মরিচ বড় টুকরা ১০-১২টি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ, এলাচ ২ টুকরা, দারুচিনি ২ টুকরা, তেজপাতা ২টি, লবঙ্গ ৪টি, গোল মরিচ ৫-৭টি, ভিনেগার ৩ টেবিল চামচ, তেল আধা কাপ, লবণ স্বাদমতো ও টেস্টিং সল্ট ১ চা চামচ।
প্রণালি
মাংস ছোট ছোট করে কেটে ধুয়ে নিন। এরপর তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ছাড়া সব উপকরণ দিয়ে সামান্য তেলে মেখে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে মাখানো মাংস ঢেলে একটু কমিয়ে অল্প পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ দিয়ে কষিয়ে পেঁয়াজটা নরম হয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
লাইফস্টাইল
মচমচে সুস্বাদু আলুর চিপস, যেভাবে বানাবেন

বাজার থেকে যে আলুর চিপস কিনে খান তা সুস্বাদু হলেও পরিমাণে থাকে খুবই কম। আবার সব সময় বাইরের খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যকর নয়। আপনি চাইলে ঘরেই তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু আলুর চিপস। সেজন্য বিশ মিনিট সময় হলেই যথেষ্ট। চলুন জেনে নেওয়া যাক আলুর চিপস তৈরির রেসিপি—
উপকরণ
আলু ২টি, লবণ ১ চা চামচ, বিট লবণ ১/২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, টেস্টিং সল্ট ১ চিমটি ও তেল ভাজার জন্য।
প্রণালি
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পাতলা পাতলা স্লাইস করে কেটে নিন। ছুরি দিয়ে বা গ্রেটারের সাহায্যে কাটতে পারেন। এবার ঠান্ডা পানির মধ্যে লবণ দিয়ে দিন ও কেটে রাখা আলুর স্লাইসগুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫ মিনিটের জন্য। এরপর তুলে কিচেন টিস্যুতে রেখে পানি ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
একটি বড় প্যানে তেল গরম করুন। তেল ভালোভাবে গরম হলে আলুর চিপসগুলো ছেড়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি রেখে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিন। এবার বিট লবণ, মরিচের গুঁড়া, টেস্টিং সল্ট এবং সাধারণ লবণ নিয়ে একসাথে মিশিয়ে নিন এবং চিপসের উপর ছড়িয়ে দিন ভালোভাবে।
লাইফস্টাইল
যে ভিটামিনের অভাবে বিশ্রাম নিয়েও ক্লান্ত থাকেন

সুস্থ থাকাতে শরীরে প্রতিদিন বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল দরকার হয়। শরীরের জন্য অপরিহার্য এমনই একটি ভিটামিন-ডি, উৎপন্ন হয় শরীরের অভ্যন্তরেই। সঠিক মাত্রায় থাকলে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস শোষণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তা ছাড়াও ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশকেও সহজ করে তোলে ভিটামিন ডি।
বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে— ভিটামিন ডি হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, ত্বকের ব্যাধিতে, এমনকি, ক্যানসারের মতো রোগ প্রতিরোধে উপকারী। এটি শরীরের পেশিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
১. ভিটামিন ডি কম থাকলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। ফলে ঘন ঘন সংক্রমণ হলে শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার।
২. ভিটামিন ডি-এর কারণে পেশিতেও টান ধরতে পারে। ভিটামিন ডি-র ঘাটতি বহু ক্ষেত্রে পেশির শক্তি কমিয়ে দেয়।
৩. ক্লান্তি হলো ভিটামিন ডি ঘাটতির আরও একটি উপসর্গ। পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে এবং ঠিক মতো খেয়েও যদি ক্লান্তি না কমে তবে এই বিষয়ে বাড়তি সচেতন হওয়া জরুরি।
৪ হাড়ে ব্যথাও ভিটামিন ডি-র ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। টানা এমন ব্যথা থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৫. পর্যাপ্ত যত্ন নিয়েও চুল পড়া কমছে না? ভিটামিন ডি-র অভাবেও এমনটি হতে পারে। এক বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি। ভিটামিনে ডি-এর অভাব ঘটলে ওষুধ খাওয়া জরুরি।
লাইফস্টাইল
অতিরিক্ত টমেটো সস শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর!

খাবারের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই রান্নায় বিভিন্ন সস ব্যবহার করেন। এ ছাড়া ডিম বা আলুর চপ, সিঙ্গারা, পেঁয়াজু, নুডলস—এ ধরনের খাবার খেতেও সসের ব্যবহার আছে। এমন অভ্যাসে বেশি বেশি সস খাওয়া হয়। এতে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাজার থেকে কিনে আনা সসগুলো কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। যদিও বিজ্ঞাপনে প্রশংসার কমতি থাকে না। অজান্তেই রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
অনেকে একটু বেশি পরিমাণ সসই খেয়ে থাকেন। এর মধ্যে বেশি খান টমেটোর সস। তবে, বিশেষজ্ঞরা লাগাম টানতে বলছেন। অতিরিক্ত সস খাওয়ায় শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। বিশেষ করে টমেটো সসে দেওয়া হয় উচ্চ ফ্রুক্টোজযুক্ত কর্ন সিরাপ। এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় চিনি যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। অতিরিক্ত টমেটো সস খেলে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি হতে পারে—
বদহজম
টমেটো সসে রয়েছে ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। হজম ক্ষমতা দুর্বল এমন ব্যক্তিরা এই সস খেলে বদহজম, বুকজ্বালার মতো সমস্যা হতে পারে।
প্রদাহ
প্রক্রিয়াজাত খাবারে নানারকম রাসায়নিক মেশানো থাকে। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই, টমেটো সস শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড বা বাতের ব্যথা থাকলে সস এড়ানোই ভালো।
হৃদরোগের ঝুঁকি
টমেটো সসে থাকে ফ্রুক্টোজযুক্ত কর্ন সিরাপ। এটি শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।
ডায়াবেটিস
যেসব ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের সস না খাওয়াই ভালো। ফ্রুক্টোজযুক্ত কর্ন সিরাপ শরীরে ইনসুলিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত করে। এটি দেহের বাড়তি ওজনের জন্যও দায়ী।
সস যদি খেতেই হয় তবে বাজারের সস না খেয়ে ঘরে তৈরি করে খান। তবে তা যেন স্বল্প পরিমাণে হয়। নয়তো স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।
লাইফস্টাইল
দেহের ওজন কমাতে যে ৩ সবজি খাবেন

অতিরিক্ত ওজন কারও কাম্য নয়। অনেকেই আছেন, যারা ওজন কমাতে অনেক টাকা খরচ করেও নিজেদের ফিট রাখতে পারেন না। অনেক সময় বিশেষ অস্ত্রোপচারের আগে জরুরি ভিত্তিতে রোগীর ওজন কমানোর দরকার পড়ে। অতিরিক্ত ওজন ডেকে আনতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই এখন অনেকেই চেষ্টা করেন, অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে।
কিন্তু চাইলেই তো আর ওজন কমানো যায় না। তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত শরীরচর্চা ও যথাযথ খাদ্যাভ্যাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক তিনটি সবজির কথা, যা সাহায্য করতে পারে ওজন কমাতে।
ব্রকলি
ব্রকলিতে ক্যালোরির মাত্রা কম। কিন্তু ভিটামিন সি ও ফাইবারের মাত্রা বেশি। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ভিটামিন সি-র অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ ওজন কমাতে অত্যন্ত উপযোগী।
শাখ আলু
ব্রকলির মতো শাখ আলুতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ফাইবার। শাখ আলুর ক্যালোরির মাত্রাও বেশ কম। পাশাপাশি শাখ আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। ফলে শাখ আলু খেলে সহজে পেট ভরে যায়।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি ফাইবার সমৃদ্ধ। যা ওজন কমাতে কাজে আসে। পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতে বাঁধাকপি দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত ওজনবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি বাঁধাকপি প্রদাহজনিত সমস্যা ও জারণ ঘটিত চাপ কমাতেও দারুণ কার্যকর।