
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের ইচ্ছে ছিল মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষেও দেশের মানুষ তাকে তার কৃতকর্মের জন্য মনে রাখবে। ১ ডিসেম্বর শুক্রবার এক আবেগঘন ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তার ছেলে নাভিদুল হক।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, আজ বিকেল ৪টা ৩৩মিনিটে (লন্ডন সময়) আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন।আনিসুল হকের সঙ্গে কাটানো সময়ের স্মৃতিচারণ করে ছেলে নাভিদুল হক লেখেন, তার সাথে ছোটবেলার খুব বেশি স্মৃতি নেই। কারণ আমার বাবা ব্যবসা এবং পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সুশীল সমাজের একজন সক্রিয় সদস্য এবং সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। আমি যত বড় হতে থাকলাম আমাদের বন্ধন আরও শক্ত হতে থাকল। তিনি ছিলেন আমার পরামর্শদাতা, আমার সঙ্গী, আমার বস এবং আমার পথনির্দেশক। গত কয়েক বছর আমরা দুজন মিলে আমাদের সেরা সময়টুকু কাটিয়েছি। তিনি যখন ডিএনসিসি মেয়র হিসেবে প্রার্থী হয়েছিলেন তখন আমি তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনি আমার কাছে তার পরবর্তী পদক্ষেপ পরিকল্পনা এবং স্বপ্নগুলো জানাতেন।
বাবাকে নিয়ে আরও বিস্তারিত লেখার আশাবাদব্যক্ত করে তিনি লিখেন, আমি অবশ্যই তাকে নিয়ে আরও লিখব। তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানাব আপনাদের। আমি আপনাদের বলতে পারি, তিনি আমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ গুণগুলো বন্টন করেছেন। সততা দিয়ে তিনি কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। যারা তার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তারা যথেষ্ট ভাগ্যবান ছিলেন। কারণ যারা তার সাথে সময় কাটিয়েছে, তার কথা, হাসি, উচ্চারণ, কবিতা তাদের স্পর্শ করেছে এবং সেসব স্মৃতি তাদের চিরকাল মনে থাকবে।
‘তিনি সব সময় বলতেন মেয়র না থাকলেও মানুষ যাতে তাকে মনে রাখে। আব্বু, যখন তুমি বেহেশত থেকে তাকাবে, তখন দেখবে লাখ লাখ মানুষ তোমাকে মনে করছে। আমি তোমাকে প্রতিদিন অনুভব করব। আমি অনেক ভাগ্যবান তোমার মতো একজন কিংবদন্তিকে বাবা হিসেবে পেয়ে', লিখেন তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাসদাতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা আমার বাবার স্মরণে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাদের লেখা দেখে আমি কেঁদেছি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য, তৈরি পোশাক ব্যবসায় নিজের অবস্থার বদল ঘটিয়েছিলেন আনিসুল হক। ঢাকার অবস্থাও বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) মেয়রের চেয়ারে বসেন; কিন্তু তার সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৬৫ বছর বয়সী আনিসুল হক।
জাতীয়
‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেলো বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ডি-৮ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছে। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান স্মরণে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সোমবার (১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ড. ফাতিহ এরবাকান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও ডি-৮-এর দায়িত্ব পালনকারী তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও চিঠি তুলে দেন।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার শোকের মাস উপলক্ষে কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা ছিল জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা। মানুষের ভালোবাসার টানে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ তাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার জীবনে ক্ষমতার কোনো লোভ ছিল না। তিনি দেশের মানুষের জন্য আত্মত্যাগের নজির রেখে গেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শত কষ্টের পরও বঙ্গবন্ধু কোথাও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। পূর্ব বাংলার মানুষের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারেননি। ক্ষমতা, পদ-পদবীর লোভের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বিএনপির সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এক নম্বরে ছিল। বিএনপির আমলে ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। এখন তাদের কাছ থেকে নীতি কথা শুনতে হয়। যারা দেশটাকে সন্ত্রাসের দেশ, জঙ্গিবাদের দেশ, বাংলা ভায়ের দেশ বানিয়েছিল, তারা দেশের টাকা পাচার করেছিল। সেই টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি।’
জাতীয়
ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল

দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা বেশি দরে।
বাড়তি দাম সোমবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম কেজিপ্রতি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে এক কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকায় বিক্রয় হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজি সারে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের মতে ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক হিসেবে দেখা যায় ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টনের বেশি। তবে সে অনুযায়ী ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, যা বর্তমানে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন লাগছে।
জাতীয়
ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, অন্যরা এসে ধাক্কা খায়: রেলমন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল লাইনে যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে তার জন্য রেল দায়ী নয়।
সোমবার ( ১ আগস্ট) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশব্যাপী প্রদর্শনের শুভ সূচনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রেল লাইনে কোনো দুর্ঘটনা হলে দোষ রেলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। রেল কাউকে ধাক্কা দিতে যায় না। অন্যরা রেলের ওপর এসে ধাক্কা খায়। আরেকজন এসে রেলে ধাক্কা খাবে তার দায় রেলের ওপর দেওয়া হবে এটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই জায়গাটিতে আমাদের একটু সচেতনার প্রয়োজন আছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু রেল লাইনের যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই যদি রেল লাইনচ্যুত হয়। যদি ট্রেন রেলপথ ছেড়ে কোনো বাড়িতে ঢুকে বা অন্য রাস্তায় চলে যায় তাহলে সেটা হবে রেল দুর্ঘটনা। এই জায়গাগুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, রেলের যেসব গেট আছে সেগুলোর দায়িত্ব যারা রাস্তা করেছে তাদের নিতে হবে। রাস্তা করে তো তারা খালাস। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেটা এককভাবে রেলের ওপরে না দিয়ে যৌথভাবে কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বাইরে থেকে যেন কোনোকিছু রেল চলার পথে অনিরাপদ করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, খুলনার সঙ্গে মোংলার রেল যোগাযোগ ছিল না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলার পোর্টের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বক্তব্য রাখেন।
দুপুরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
জাতীয়
‘ঢাকা থেকে শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে’

ঢাকা শহর থেকে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার (১ আগস্ট) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, তাতে দেশের সব শিশুদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করব। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার পরিমাণ জানালে আমরা স্কুলে গিয়ে টিকা দিয়ে আসব। এটা বিশেষ টিকা, চাইলেই সবসময় পাওয়া যায় না।
তবে শিশুদের টিকাদান বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।