
শরীরকে ফিট রাখার ক্ষেত্রে পেটের মেদ একটি অন্যতম প্রধাণ অন্তরায়। অনেক সময় দেখা যায় শরীরের অন্যান্য অংশে তেমন মেদ নেই, কিন্তু পেটের মেদ পুরো ফিটনেস্টাকেই নষ্ট করে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় খাদ্য নিয়ন্ত্রন করেও পুরোপুরি কাজ হয়না। আসলে খাদ্য নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি প্রতিদিন এমন কিছু ব্যায়ামের অনুশীলন করা উচিত যেগুলো সরাসরি পেটের মেদের উপর কাজ করে, সেক্ষেত্রে অনেক ভাল ফল পাওয়া সম্ভব। আজকে এরকমই ৩টি ব্যায়ামের কথা আলোচনা করবো।
বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ:
• প্রথমে মেঝেতে সোজা হয়ে শুয়ে পরুন।
• হাতদুটো মাথার পেছনে রাখুন। দুই পা সোজা করে একটু উপরে ওঠান।
• এবার বাম পা সোজা রেখে ডান পা ভেঙে বুকের কাছে নিয়ে আসুন।
• এসময় আপনার কোমড় থেকে উপরিভাগ বাম দিকে একটু কাত করুন।
• একইভাবে ডান পা সোজা রেখে বাম পা ভেঙে পূণরায় করুন, যেন মনে হয় আপনি শুয়ে শুয়ে সাইকেল চালাচ্ছেন।
• এই ব্যায়ামটি এক মিনিট করে প্রতিদিন ৩বার করার চেষ্টা করুন। এটি আপনার পেটের পেশীর ওপর অনেক চাপ সৃষ্টি করে, যা মেদ কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বোটিংঃ
এর ভঙ্গিটা অনেকটা নৌকা চালানোর মতো।
• প্রথমে মেঝেতে বসুন।
• পা দুটো সোজা করে উপর দিকে ওঠান।
• হাত দুটো সোজা করে হাটু বরাবর রাখুন।
• কোমড় থেকে শরীরের উপরের অংশ সোজ করে এমনভাবে রাখুন যেন তা আপনার পায়ের সাথে সমকোণ তৈরী করে।
• এভাবে থেকে পাঁচবার জোরে জোরে শ্বাস নিন এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
• এই ব্যায়ামটি দৈনিক পাঁচবার করার চেষ্টা করুন।
• উপুর হয়ে মেঝেতে শুয়ে পরুন।
• হাতের কুনুই থেকে কব্জি পর্যন্ত মাটিতে স্পর্শ করিয়ে এবং পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে শরীরটাকে উপরে ওঠানোর চেষ্টা করুন।
• আপনার পেট এবং কোমড়ের নিচের পেশীগুলোকে শক্ত করে ১০ সেকেন্ড ধরে রাখুন।
• এবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
• প্রতিদিন চার বার করে এই ব্যায়ামটি অনুশীলন করুন।
ট্যাগ: Banglanewspaper মেয়ে পেট মেদ ব্যায়াম
নারীমেলা
নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে রাজধানীতে চলছে উদ্যোক্তা হাট

‘আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অব উইমেন অন্টপ্রেনিউরস’ প্রকল্পের আওতায় রাজধানীতে শুরু হয়েছে আনিসুল হক কোহর্ট উদ্যোক্তা হাট। দুই দিনব্যাপী এ মেলায় অংশ নিয়েছেন ৩০ নারী উদ্যোক্তা।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকালে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে উদ্যোক্তা হাট উদ্বোধন করেন চার নারী উদ্যোক্তা। বুধবারও এ হাট চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বিকালে হাট পরিদর্শন করেন আনিসুল হক ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর ড. রুবানা হক। তিনি হাটের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখার পাশাপাশি অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং ফান্ডিংয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। নারী উদ্যোক্তাদের আরও বেশি সফল করার জন্য এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
হাটের উদ্বোধন করেন গুটিপার উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, প্রজেক্ট সেকেন্ড হোমের স্বত্বাধিকারী সুমনা শারমীন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিনিয়র লেকচারার বিউটি আক্তার এবং বিডিওএসএন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা। হাটে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন বিষয়ে একটি উন্মুক্ত আড্ডা পরিচালনা করেন শাহীন’স হেল্পলাইনের ফাউন্ডার ও সিইও মো. আমিনুল ইসলাম শাহীন।
একইসঙ্গে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করতে উদ্যোক্তাদের হিসাব সংরক্ষণে সহায়তা করা প্রতিষ্ঠান এসএমই ভাই-এর সঙ্গে বিডিওএসএন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।
সারা বছর একরেট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়ামুল করিম টিপু বলেন, নতুন ধারার পণ্যের মূল্য নির্ধারণে সারা বছর একরেট কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের বেশি ভাগ ক্রেতায় মধ্যবিত্তরা। আমরা উদ্যোক্তা হাটে অংশগ্রহণ করেছি অনুপ্রেরণার গল্প কল সেন্টারের অপরাজিতা উপন্যাস উপহার দেবার মাধ্যমে। এই অনুপ্রেরণার বইটি তুলে দেওয়া হয়েছে আমাদের হার না মানা অপরাজিতাদের হাতে। সামনে উদ্যোক্তা হাট মেলার সঙ্গে বড়ভাবে থাকব।
হাটের দ্বিতীয় দিন বেলা ১১টায় নারী উদ্যোক্তার নিজস্ব ব্র্যান্ডিং বিষয়ে একটি আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে। আড্ডা পরিচালনা করবেন ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনারস বাংলাদেশের ফাউন্ডার ও সিইও মির্জা মুহাম্মদ ইলিয়াস। এ ছাড়া বিকেলে ব্র্যান্ডিং বিষয়ে একটি আড্ডা থাকছে।
উদ্যোক্তা হাটে ৩০ জন নারী উদ্যোক্তা ৩০টি স্টলে তাদের পণ্য ও সেবা নিয়ে বসেছেন। উদ্যোগগুলো হলো পারফেকশন অব পরিণীতা, রঙ্গীমা, ধবল, ফাইনফেয়ার ক্র্যাফট, বাঙালি, ফারহানাস ড্রিম, ডিএস ক্রিয়েশন, শ্রদ্ধা, অ্যানেক্স লেদার, সিজনস বুটিক, আমরা পারি, আই ক্লে, প্রয়াস, আইকনিক ক্রিয়েশন, ট্যাম ক্রিয়েশন, পূর্ণতা ক্র্যাফট, শাবাব লেদার, স্যানট্রেন্ড, এআরবি ডিজাইন, একাত্তর সোর্সিং লিমিটেড, ফ্রেন্ডস কনসালটেন্সি, কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ, আশা ফুড, জে বি কালেকশন, বি. টেক কন্সট্রাকশন অ্যান্ড কনসাল্টিং, ওয়াসি ক্রাফট, সাতরঙ, এক্সট্রা মাইলেজ কেয়ার, নন্দন কুটির ও জি স্পাইস। এছাড়া বিশেষ সেবা হিসেবে ব্যাংক এশিয়া, এসএমই ভাই, বিকাশ, মেডিমেটের স্টল থাকছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণা দিতে সারা বছর একরেট ই কর্মাস প্রতিষ্ঠানটি তাদের পক্ষ থেকে কল সেন্টারের অপরাজিতা উপন্যাসটি উপহার দেন।
প্রকল্প সহযোগিতায় রয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার, ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রোপ্রেনিওরশিপ ডিপার্টমেন্ট এবং নাগরিক টিভি। হাটের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার প্রথম আলো। এ ছাড়া পার্টনার হিসেবে আছে টেকশহর ডটকম, ঢাকা এফএম, টেকভিশন টোয়েন্টিফোর ডটকম, স্বজন এবং নিজল ক্রিয়েটিভ। এ প্রকল্পে সহযোগিতা করছে আনিসুল হক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এবং চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব প্লাটফর্ম।
নারীমেলা
গর্ভাবস্থায় বেশিরভাগ নারীই যেসব ভুল করেন

নারীদের গর্ভাবস্থায় শরীরে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এ সময় হরমোনের মাত্রা ওঠানামা থেকে শুরু করে ওজন, স্তন ও শরীরের অন্যান্য অংশের পরিবর্তন ঘটে। তাই এ সময় শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। অনেকেরই গর্ভাবস্থায় করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তাই গর্ভাবস্থায় যেসব ভুল এড়িয়ে চলবেন—
খাবার এড়িয়ে চলা
গর্ভাবস্থায় বারবার ক্ষুধা ও বমি বমি ভাব অনুভব করা স্বাভাবিক। এ সময় বিভিন্ন খাবারের প্রতি লোভ হতে পারে। আবার অনেকেই খাবার দেখলে নাক সিঁটকায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৬-১০ জন নারী গর্ভাবস্থায় খাবার এড়িয়ে যান।
তবে প্রথম কয়েক মাসে খাবার এড়িয়ে যাওয়ার ভুল করবেন না। কারণ প্রথম কয়েক মাসে শিশুর অত্যাবশ্যক অঙ্গ গঠন ও বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই সে সময় আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন খনিজ ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
ওজন বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তা
গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বেই। কারণ তখন স্বাস্থ্যকর খাবার ও বেশি খাওয়া হয়। এমনকি হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত পরিবর্তিত হওয়ায় ওজন বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বরং এ সময় সামান্য স্ট্রেস ও উদ্বেগ আপনার ও শিশুর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। এ কারণে মন শান্ত রাখা উচিত। স্বাস্থ্যকর খাবার স্ট্রেস এড়াতে সাহায্য করে।
ওষুধ গ্রহণ
গর্ভাবস্থায় পেশি ব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা ও আরও অনেক কিছুসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যা কমানোর জন্য কখনো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ওষুধ খাবেন না।
শারীরিক কার্যকলাপ না করা
গর্ভাবস্থায় অনেকেই কায়িক শ্রম থেকে বিরত থাকেন। তবে এ সময় হালকা ব্যায়াম ও হাঁটা শিশুর স্বাস্থ্যও ভালো রাখতে পারে। গর্ভাবস্থায়ে সব সময় বসে শুয়ে থাকা উচিত নয়। এতে শরীর আরও ফুলে যেতে পারে। তাউ নিজেকে যতটা সম্ভব সক্রিয় রাখা উচিত।
দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা না নেওয়া
স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থা ও ডেলিভারির জন্য অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্যসেবা জরুরি। নিয়মিত চেকআপ ও শারীরিক সুস্থতার জন্য এ সময় দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে। কোন হাসপাতালে ডেলিভারি করাবেন কিংবা কোন ডাক্তারকে দেখাবেন এসব বিষয়ে দেরি করবেন না।
উপরের এসব সাধারণ ভুল ছাড়াও, বেশ কিছু অভ্যাস আছে যেগুলো গর্ভবতীদের বিরত থাকতে হবে। যেমন- ধূমপান, অ্যালকোহল পান বা ক্যাফেইন গ্রহণ করবেন না। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার খাবেন না। পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন। কম ঘুম গর্ভাবস্থায় ক্লান্তি বাড়ায়।
নারীমেলা
শোকে-শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করল পুনাক

জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)।
'শোক থেকে শক্তি, শোক থেকে জাগরণ' শ্লোগানে আজ (রবিবার) বিকালে রাজধানীর মগবাজারে পুনাক কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকে জাতির জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায় এবং পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে পৈশাচিক ও নারকীয় রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধু একটি পরিবারকেই নিশ্চিহ্ন করা হয়নি, বরং যুদ্ধবিদ্ধস্ত একটি নবীন রাষ্ট্রের এক অসাধারণ পথচলাকেও থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
পুনাক সভানেত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন সপরিবারে খুন হন তখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্য অনেকেই উপস্থিত থাকলেও বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন পুলিশের এক অকুতোভয় সদস্য এএসআই সিদ্দিকুর রহমান। তিনি সেদিন নিজের জীবনের পরোয়া না করে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ঘাতকদের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন।
জীশান মীর্জা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের বীর পুলিশ সদস্যরা। বাংলাদেশেকে স্বাধীন করতে পুলিশ সদস্যরাই সর্বপ্রথম বুক পেতে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বুলেটের সামনে। তিনি বলেন, পুলিশ হচ্ছে সেই সংগঠন যার সদস্যরা কখনো এ দেশের সাথে, এ দেশের ইতিহাসের সাথে বেঈমানি করেনি।
এএসআই সিদ্দিকুর রহমানের এ অসামান্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম সাহসিকতা (মরোণোত্তর) প্রদান করেন। এ মহতি উদ্যোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান পুনাক সভানেত্রী।
অনুষ্ঠানে পুনাকের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এর আগে দোয়া মাহফিল শেষে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ভবনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ সব শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নারীমেলা
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী নারীরা চাকরি হারিয়েছে, আয় কমে গেছে এবং একইসঙ্গে বৈষম্য, শোষণ ও সহিংসতার শিকার হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, কর্মজীবী নারী, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সহায়তা এবং নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার লক্ষ্যে জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট লন্ডনের আয়োজনে ‘ভার্চুয়াল মিটিং অব কমনওয়েলথ মিনিস্টারস ফর উইমেনস অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফ কোভিড-১৯’ বিষয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের উইমেনস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন তিনি
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের ডাক্তার,নার্স ও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৮০ ভাগ নারী, যারা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্য দিয়ে করোনাকালে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছে যার ফলে তাদের পরিবারের নারী ও শিশু খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও আম্পান ও বন্যায় প্রায় ৬ লাখ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিপুল সংখ্যক নারী ও শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে।
ভার্চুয়াল সভায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশের নারীদের নেতৃত্ব, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ ও জেন্ডার ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
নারীমেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু ও নারী উন্নয়ন বিষয়ক বৈঠক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে “শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রম (৫ম পর্যায়)” শীর্ষক বিষয়ে কসবা উপজেলা চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিকাল ৩.০০ ঘটিকায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠকে জেলা তথ্য অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) দীপক চন্দ্র দাস এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন এডভোকেট মো: আনিসুল হক ভূঁঞা, সাবেক চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ,কসবা।বিশেষ অতিথি মোছা: রাহেলা বেগম,প্রধান শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মো: আলমগীর, প্রধান শিক্ষক, লতুয়ামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাছলিমা আক্তার,সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজিয়া সুলতানা ডলি, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমিনুল ইসলাম আখন্দ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাসুম আহমেদ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তানজিনা আজাদ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইয়াছমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সামসুন নাহার, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তানজিনা সুলতান, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি এডভোকেট মো: আনিসুল হক ভূঁঞা, সাবেক চেয়ারম্যান,উপজেলা পরিষদ,কসবা বলেন যোগ্য স্বামীর আশায় না থেকে নিজেকে যোগ্য করে তোলোন কেননা যোগ্যতাই আপনাকে মুক্তি দেবে তাছাড়া সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করতে হবে এবং যৌতুক এবং বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,অটিজম ও শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ,মা ও শিশুর স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং নিরাপদ মাতৃত্ব, স্যানিটেশন, পরিবেশ ও জন্ম নিবন্ধন, মাদক ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ,নারীর ক্ষমতায়ন ও নিরাপত্তা র্কাযক্রমসমূহ,শিশুর পানিতে ডুবা প্রতিরোধ,পরিবেশ সুরক্ষা ও র্দুযোগকালীণ নারী ও শিশুর সচেতনতা বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
শিশু ও নারী নির্যাতন, বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথা উচ্ছেদে সমাজে প্রচলিত কুসংস্কার দূরীকরণে সচেতনতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিশেষ অতিথি মোছা: রাহেলা বেগম,প্রধান শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মো: আলমগীর, প্রধান শিক্ষক, লতুয়ামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাছলিমা আক্তার,সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাজিয়া সুলতানা ডলি, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমিনুল ইসলাম আখন্দ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাসুম আহমেদ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তানজিনা আজাদ, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইয়াছমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সামসুন নাহার, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তানজিনা সুলতান, সহকারী শিক্ষক, চন্ডিদ্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বক্তব্য প্রদান করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে ৫০০ জন নারী উপস্থিত ছিলেন । পরিশেষে জেলা তথ্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) দীপক চন্দ্র দাস উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের যারযার অবস্থান থেকে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন কুসংস্কার দূরীকরণে জনসচেতনা সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে উঠান বৈঠক সমাপ্তি ঘোষণা করেন।