
অন্য সবার মতো তিনি ছিলেন না। চলনে বলনে শৈশব থেকেই যেন একটু ব্যাতিক্রম। কিশোর বয়সের যে সময়টায় সবাই ব্যাক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অভিমান-অনুযোগে ব্যস্ত সে সময়েই তিনি ব্যাক্তিগত গন্ডির বাইরে ভাবতে শিখেছিলেন। তার ভাবনার জগত বিস্তৃত হয়েছিলো পুরো দেশের জন্যেই। যেকোনো সমস্যাকে খুব গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন,ভাবতেন সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের পথ। চলাফেরায় খুব শান্ত এই মানুষটির নাম এখন অবশ্য বাংলাদেশের অনেকেই জানেন, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এক মুখ। তিনি মোতাহার হোসেন প্রিন্স। ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স এর ছাত্র এবং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি গড়েছেন ভিন্ন এক অভ্যাস। আন্তজার্তিক সংবাদ মাধ্যম-বিবিসি, ভয়েস অফ এমেরিকা ইত্যাদি শুনতেন খুব আগ্রহ নিয়ে। এতে করে সমসাময়িক দেশ বিদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। দেশের রাজনীতি কোন পথে আছে, কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে সজাগ নজর ছিলো প্রিন্স এর। বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা শুনতেন। ছোট্ট প্রিন্স এর মনে গভীর মমতা বাসা বাঁধল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক লেখা পড়েছেন, দেখেছেন অসংখ্য প্রামাণ্য চিত্র। এইসবই তার মনে গভীর দাগ কেটে যায়। দেশের প্রতি দায়িত্বের তাড়নায় পেয়ে বসে তাকে। জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সেই বাগেরহাটের ছোট্ট ভাবুক ছেলে এখন ছাত্র রাজনীতির রাজপুত্র মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
রাজনীতিতে হাতেখড়ি
স্কুলে প্রিন্স পড়াশুনার বাইরেও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে। উপস্থিত বক্তৃতায় তিনি অসম্ভব রকমের ভালো ছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে লম্ভা লাফ, মোরগ লড়াই, দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে অনেকবার পুরষ্কার লাভ করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে তিনি নিজ গ্রামের বিদ্যালয় কাদিরখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন।
প্রিন্সের স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মোতাহার হোসেনরা তিন ভাই। তিনজনই প্রতিষ্ঠিত। তিনজনই পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রিন্স ক্লাস সিক্স থেকেই জানতেন। এটি দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, যার আছে ঐতিহাসিক আন্দোলনের মহান ইতিহাস। জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানরা পড়ে এখানে। রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয় ঢাবিকে। তাই জ্ঞ্যান আহরণের সমুদ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন এটিই ছিলো প্রিন্স এর পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি চাওয়া। কমার্সের ছাত্র প্রিন্স ডি ইউনিট থেকে উর্ত্তীন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি তার ভালবাসা একটু বেশিই।
ভুলের অপর নাম শিক্ষা
প্রতিটি মানুষ জীবনে ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল থেকে কে কিভাবে শিক্ষা নিচ্ছে সেটাই বলে দেয় আসলে সে মানুষ হওয়ার পথে কতটা কাজ করছে। প্রিন্স জানান, কোনো কিছুই তাকে কেউ হাতে ধরে ধরে শিখিয়ে দিয়েছে এমন না বরং তিনি যা শিখেছেন ভুল থেকে শিখেছেন। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শিখেছেন। ব্যাক্তিজীবনে মহানবী (সঃ) এর জীবনদর্শন তাকে খুব ভাবায়। তার দেখানো জীবনদর্শনে তিনি খুব অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন। রাজনৈতিক জীবনে মোতাহার হোসেন প্রিন্স আদর্শ মানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে।
“অ্যাই হেইট পলিটিক্স” প্রজন্মের উদ্দেশ্যে
এই প্রজন্মের একটি বড় অংশই রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। ফেসবুকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়,অধিকাংশ বাংলাদেশী আইডিতে “অ্যাই হেইট পলিটিক্স” উল্লেখ করে থাকেন। এই প্রসঙ্গে মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, এই দেশ সকলের। দেশের কল্যানের জন্যই ছাত্রদেরকে দেশ,ইতিহাস,ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদের মধ্যেই সচেতনতা গড়া তোলা জরুরী। তিনি বলেন, এখন ছাত্ররাজনীতিতে নিয়মিত ছাত্রদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই রাজনীতিতে মেধাবীরা আসলে দেশ এগিয়ে যাবে, সমৃদ্ধ হবে।
ক্লিন ইমেজের ব্যাতিক্রম দৃষ্টান্ত প্রিন্স
বলা হয়ে থাকে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকেন অছাত্ররা। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্যসহ বিভিন্ন কেলেংকারির অভিযোগ শুনা যায়। তবে মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে এক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যাতিক্রমই বলতে হয়। তিনি কলা অনুষদের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের নিয়মিত শিক্ষার্থী। ক্লাস এবং পরীক্ষায় রেগুলার অংশ নেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।
তিনি বলেন নেতা হওয়ার জন্য অনেকেই লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে। তবে তিনি নিজে অনেক কস্ট করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে তিনি অনেক কস্ট ভোগ করেছেন,তারপরেও লড়াই করে টিকে থেকেছেন। তাই তিনি সবসময় চান রাজনীতিতে মেধাবী এবং যোগ্যদেরই মূল্যায়ন হোক। ব্যাক্তিগত জীবনদর্শন জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, “আমি চেস্টা করি মানুষের উপকারে আসতে,যদি সেটা একান্তই সম্ভব না হয় তবুও কারো ক্ষতি করি না কখনো। আমার কাছে কেউ আসলে কাউকে ফিরিয়ে দেই না কখনো।”
রাজনীতি
২৫ ইউপি ও তিন পৌরসভায় আ.লীগের প্রার্থী যারা

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলা পরিষদ, তিনটি পৌরসভা ও ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
রোববার (২৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
রাজনীতি
‘সবার মুখে হাসি আর বিএনপির মুখে শ্রাবণের মেঘ’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সবার মুখে আনন্দের হাসি। আর বিএনপির মুখে শ্রাবণের আকাশের মেঘ। এত ষড়যন্ত্র, এত কূটচাল তারপরও শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করে ফেললেন। মির্জা ফখরুলের মন খারাপ, বুকে বড় ব্যথা, বড় বিষ জ্বালা। জ্বালায়-জ্বালায় মরছে তারা।
শনিবার (২৫ জুন) মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ীতে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ পদ্মার পাড়ে কত ছেলে তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অপেক্ষা করেছে। কিন্তু ফেরি আসেনি। পরে মায়ের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। পদ্মায় আটকা পড়ে কত ছেলে তারা বাবার জানাজায় যেতে পারেনি। অনেকে বলে, পদ্মা সেতুর জন্য এত টাকা, এত টোল, কিন্তু এ এলাকার মানুষ জানে পদ্মা সেতু তাদের কত প্রয়োজন। যারা বিষয়টি জানে না তারা পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারবে না।
‘আজ পদ্মা সেতুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার নাম যুক্ত করেননি। কিন্তু যত দিন এখানে চন্দ্র ও সূর্য উদয় হবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আপনাকে স্মরণ করবে। বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে, শেখ হাসিনার মুখের দিকে চেয়ে আপনারা পৈতৃক ফসলি জমি দিয়েছেন। পদ্মার পাড়ের মানুষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শত বাধা আসলেও প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু বানাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। সেজন্য আপনারা আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন।
রাজনীতি
ফের করোনায় আক্রান্ত মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার (২৫ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় বিএনপি মহাসচিবের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে নিশ্চিত করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য খায়রুল কবির খান।
তিনি বলেন, শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়। আজ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দেখা যায় তিনি করোনা পজিটিভ। মির্জা ফখরুল ডা. রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পরিবারের পক্ষ মির্জা ফখরুলের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। যদিও তিনি করোনা ভ্যাকসিনের বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ নিয়েছিলেন।
রাজনীতি
৭৩ বছর পেরোলেও আ.লীগ এখন টগবগে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

পথচলা ৭৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ এখনো টগবগে যুবক বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আ.লীগ মানে বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গবন্ধু মানে আ.লীগ। আওয়ামী লীগের ৭৩ বছরের পথচলা বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিক পর্ষদ ও বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ’ আয়োজিত ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর জয়-বিশ্বের বিস্ময়’ শীর্ষক আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নিজেকে সংস্কার করেছে। সমাজ, দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে আওয়ামী লীগ চলতে পেরেছে। সামনে এগিয়ে চলার জন্য নেতৃত্ব তৈরি করেছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন একটি দেশ দিয়েছেন আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়ন ও মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন।
খালিদ মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। তিনি পদ্মা সেতু করতে চেয়েছেন; ষড়যন্ত্রকারীরা টেনে ধরতে চেয়েছেন। ষড়যন্ত্রকারীরা পারেননি। শেখ হাসিনা পেরেছেন। তাঁর নেতৃত্বে উন্নয়নের বিষয় নিয়ে তৃতীয় বিশ্বের লোকজন গবেষণা করবে-এটা আওয়ামী লীগের নেতি-কর্মীদের জন্য অহংকার।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ অন্ধকার যুগে চলে গিয়েছিল। বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছিল। সে জায়গা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নে কোথায় গেছে-তাবত দুনিয়া সেটি দেখছে। একমাত্র পদ্মা সেতু নিয়ে ৮০ লাখ কন্টেন্ট তৈরি হয়েছে।
কবি আসলাম সানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, শিশু সাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, কবি বাপ্পী রহমান, কবি আসাদুজ্জামান, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সুজন হালদার।
রাজনীতি
আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ ড. ইউনূসের, সাফ জবাব বিএনপির

বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (২২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেতু বিভাগ।
একই দিন বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর। কিন্তু আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেননি রিজভী।
এদিন বিকেলে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা এই অনুষ্ঠানে যাবেন না।
তিনি বলেন, যারা এদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বেগম খালেদা জিয়াকে পদ্মায় ডুবিয়ে মারতে চায়, যারা এদেশের সবচেয়ে প্রতিথযশা এবং এদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান অর্জন করে আনা ব্যক্তি গোটা পৃথিবীতে যিনি নন্দিত মানুষ ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তাকে চুবিয়ে মারতে চায়, তাদের আমন্ত্রণে বিএনপির কোনো নেতা বা কোনো কর্মী কখনোই যেতে পারে না।
আমন্ত্রণপত্রে বিএনপির সাতজন শীর্ষ নেতার নাম থাকলেও দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম ছিল না।
আমন্ত্রণ পাওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতারা হলেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে রিজভী বলেন, সরকারের তিনজন কর্মকর্তা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমরা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করিনি।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুতে ১ টাকার জায়গায় ৩ টাকা ব্যয় করা হয়েছে, সব টাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের পকেটে গেছে, বিদেশে পাচার হয়েছে। নৈতিকভাবে বিএনপি কোনো অন্যায়ের সমর্থন করে না। এ জন্য এই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৫ জুন বহুল কাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৮ থেকে ১০ লাখ মানুষের সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।