banglanewspaper

অন্য সবার মতো তিনি ছিলেন না। চলনে বলনে শৈশব থেকেই যেন একটু ব্যাতিক্রম। কিশোর বয়সের যে সময়টায় সবাই ব্যাক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অভিমান-অনুযোগে ব্যস্ত সে সময়েই তিনি ব্যাক্তিগত গন্ডির বাইরে ভাবতে শিখেছিলেন। তার ভাবনার জগত বিস্তৃত হয়েছিলো পুরো দেশের জন্যেই। যেকোনো সমস্যাকে খুব গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন,ভাবতেন সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের পথ। চলাফেরায় খুব শান্ত এই মানুষটির নাম এখন অবশ্য বাংলাদেশের অনেকেই জানেন, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এক মুখ। তিনি মোতাহার হোসেন প্রিন্স। ঢাবির অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স এর ছাত্র এবং এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি গড়েছেন ভিন্ন এক অভ্যাস। আন্তজার্তিক সংবাদ মাধ্যম-বিবিসি, ভয়েস অফ এমেরিকা ইত্যাদি শুনতেন খুব আগ্রহ নিয়ে। এতে করে সমসাময়িক দেশ বিদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। দেশের রাজনীতি কোন পথে আছে, কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে সজাগ নজর ছিলো প্রিন্স এর। বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা শুনতেন। ছোট্ট প্রিন্স এর মনে গভীর মমতা বাসা বাঁধল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক লেখা পড়েছেন, দেখেছেন অসংখ্য প্রামাণ্য চিত্র। এইসবই তার মনে গভীর দাগ কেটে যায়। দেশের প্রতি দায়িত্বের তাড়নায় পেয়ে বসে তাকে। জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সেই বাগেরহাটের ছোট্ট ভাবুক ছেলে এখন ছাত্র রাজনীতির রাজপুত্র মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

রাজনীতিতে হাতেখড়ি

 

স্কুলে প্রিন্স পড়াশুনার বাইরেও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে। উপস্থিত বক্তৃতায় তিনি অসম্ভব রকমের ভালো ছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে লম্ভা লাফ, মোরগ লড়াই, দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে অনেকবার পুরষ্কার লাভ করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে তিনি নিজ গ্রামের বিদ্যালয় কাদিরখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রিন্সের স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মোতাহার হোসেনরা তিন ভাই। তিনজনই প্রতিষ্ঠিত। তিনজনই পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রিন্স ক্লাস সিক্স থেকেই জানতেন। এটি দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, যার আছে ঐতিহাসিক আন্দোলনের মহান ইতিহাস। জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানরা পড়ে এখানে। রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয় ঢাবিকে। তাই জ্ঞ্যান আহরণের সমুদ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন এটিই ছিলো প্রিন্স এর পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি চাওয়া। কমার্সের ছাত্র প্রিন্স ডি ইউনিট থেকে উর্ত্তীন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি তার ভালবাসা একটু বেশিই।

ভুলের অপর নাম শিক্ষা

প্রতিটি মানুষ জীবনে ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল থেকে কে কিভাবে শিক্ষা নিচ্ছে সেটাই বলে দেয় আসলে সে মানুষ হওয়ার পথে কতটা কাজ করছে। প্রিন্স জানান, কোনো কিছুই তাকে কেউ হাতে ধরে ধরে শিখিয়ে দিয়েছে এমন না বরং তিনি যা শিখেছেন ভুল থেকে শিখেছেন। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শিখেছেন। ব্যাক্তিজীবনে মহানবী (সঃ) এর জীবনদর্শন তাকে খুব ভাবায়। তার দেখানো জীবনদর্শনে তিনি খুব অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন। রাজনৈতিক জীবনে মোতাহার হোসেন প্রিন্স আদর্শ মানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে।

“অ্যাই হেইট পলিটিক্স” প্রজন্মের উদ্দেশ্যে

এই প্রজন্মের একটি বড় অংশই রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। ফেসবুকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়,অধিকাংশ বাংলাদেশী আইডিতে “অ্যাই হেইট পলিটিক্স” উল্লেখ করে থাকেন। এই প্রসঙ্গে মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, এই দেশ সকলের। দেশের কল্যানের জন্যই ছাত্রদেরকে দেশ,ইতিহাস,ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদের মধ্যেই সচেতনতা গড়া তোলা জরুরী। তিনি বলেন, এখন ছাত্ররাজনীতিতে নিয়মিত ছাত্রদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই রাজনীতিতে মেধাবীরা আসলে দেশ এগিয়ে যাবে, সমৃদ্ধ হবে।

ক্লিন ইমেজের ব্যাতিক্রম দৃষ্টান্ত প্রিন্স

বলা হয়ে থাকে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে থাকেন অছাত্ররা। এদের কারো কারো বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে টেন্ডারবাজি, ভর্তি বানিজ্যসহ বিভিন্ন কেলেংকারির অভিযোগ শুনা যায়। তবে মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে এক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যাতিক্রমই বলতে হয়। তিনি কলা অনুষদের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের নিয়মিত শিক্ষার্থী। ক্লাস এবং পরীক্ষায় রেগুলার অংশ নেন বলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়।

তিনি বলেন নেতা হওয়ার জন্য অনেকেই লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করে। তবে তিনি নিজে অনেক কস্ট করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছেন। রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকে তিনি অনেক কস্ট ভোগ করেছেন,তারপরেও লড়াই করে টিকে থেকেছেন। তাই তিনি সবসময় চান রাজনীতিতে মেধাবী এবং যোগ্যদেরই মূল্যায়ন হোক। ব্যাক্তিগত জীবনদর্শন জানতে চাইলে এই নেতা বলেন, “আমি চেস্টা করি মানুষের উপকারে আসতে,যদি সেটা একান্তই সম্ভব না হয় তবুও কারো ক্ষতি করি না কখনো। আমার কাছে কেউ আসলে কাউকে ফিরিয়ে দেই না কখনো।”

ট্যাগ: banglanewspaper ছাত্রলীগ মোতাহার হোসেন প্রিন্স ঢাবি

রাজনীতি
আমরা মাঠে নামলে কোথায় পালাবে বিএনপি, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

banglanewspaper

ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পুলিশ দিয়ে সরকার আন্দোলন ঠেকানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে’। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘তদন্তে বেরিয়ে আসবে, আসলে তিনি কীভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। আগস্ট মাসকে সামনে রেখে বিএনপি সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এটি আমরা জানি। তবে বিএনপিকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, ওনারা (বিএনপি) তো এখন একা মিটিং মিছিল করছে। আমরা তো এখনও শুরু করিনি। মোকাবিলা করার মানসিকতা নিয়ে আমরা মাঠে নামলে বিএনপি কোথায় পালাবে, সেটি হচ্ছে প্রশ্ন।’

সোমবার (১ আগস্ট) বিকালে চট্টগ্রাম নতুন রেল স্টেশনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর’ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল সেই দুই শক্তি একীভূত হয়ে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছে। আর সেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘আগস্ট মাস এলেই নানামুখী ষড়যন্ত্রে সরব হয় বিএনপি এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। এই আগস্ট মাসেই তারেক জিয়ার নেতৃত্বে এবং বেগম জিয়ার জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য দিবালোকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আগস্ট মাস এলে বিএনপি নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে। এবারও তারা দেশব্যাপী নানামুখী ষড়যন্ত্র-নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়েছে। দেশকে উত্তপ্ত করার সেই পরিকল্পনারই অংশ হিসেবে ভোলায় তারা গণ্ডগোল করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমানকেই সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিল খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ। এতে কী প্রমাণিত হয়? এতে প্রমাণিত হয় জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নয়, সেদিন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করার লক্ষ্যেই জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন করার অপচেষ্টা হয়েছিল। আমাদের জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা পরিবর্তন করার অপচেষ্টা হয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন প্রান্তে গেলে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম জানতে পারবে। আমি কিছু পরামর্শ তাদের দিয়েছি, ইতিহাস জানানোর স্বার্থে সেখানে আরও কিছু বিষয় সন্নিবেশিত করার কথা তাদের বলেছি। তারা সেটি করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। সব মিলিয়ে এই উদ্যোগটি অত্যন্ত চমৎকার। এজন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে আমি অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।’

বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেল মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুকুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন।

উল্লেখ্য, রেলের ইতিহাসে এই প্রথম ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নামে নির্মিত জাদুঘরটির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। দুটি কোচকে সাজানো হয়েছে অভিন্ন সাজে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের জাদুঘরটিতে ১৯২০ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জীবন, মুক্তিযুদ্ধ ও সংগ্রামী ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ দর্শনার্থীরা টাচ স্ক্রিনে আঙুল স্পর্শ করতেই ভেসে আসবে বঙ্গবন্ধুর ছবি, ভাষণ ও জীবনের বিভিন্ন বিষয়। শুধু বড় রেলওয়ে স্টেশন নয়, দেশের সবকটি রেলওয়ে স্টেশনে নির্ধারিত দিন ভ্রাম্যমাণ জাদুঘরটি দাঁড়ানো থাকবে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত রাখা হবে।

ট্যাগ:

রাজনীতি
জাপা নেতা রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

banglanewspaper

দুর্নীতির মামলায় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে বিচারিক আদালতে দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বস্ত্রমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হতে টেন্ডার ছাড়া ৩১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪০ টাকার কাজ পাইয়ে দেন একটি প্রতিষ্ঠানকে। ১৯৯১ সালের ১৯ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন, তৎকালীন দুর্নীতি ব্যুরোর উপ-পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন।

২০২১ বছরের ২১ জানুয়ারি এ মামলায় রুহুল আমিন হাওলাদারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করে দুদক।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী ফজলুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দুদকের রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে রুহুল আমিনের অব্যাহতির আদেশ কেন বাতিল হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুহুল আমিনকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।

ট্যাগ:

রাজনীতি
দেশে মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্তের চেষ্টা চলছে : কাদের

banglanewspaper

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের ভেতরে অনেকে মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে।

সোমবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ তারা এ ধরনের কথা বলে। শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগের ফলে দেশের অবস্থা তুলনামূলক সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। পৃথিবীর প্রায় নব্বই শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল। আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্য বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে।

কাদের বলেন, বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার।

মন্ত্রী বলেন, যেখানে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯.৪ শতাংশ, জার্মানি ৮.৯ শতাংশ, রাশিয়া ১৫.৯ শতাংশ, তুরস্ক ৭৮.৬ শতাংশ, নেদারল্যান্ডে ৯.৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৩৯.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মুল্যস্ফীতি ২১.৩ শতাংশ সেখানে বাংলাদেশে জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ।

ট্যাগ:

রাজনীতি
উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হলেন মমতাজ

banglanewspaper

দীর্ঘ সাত বছর পর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। এই কমটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে মো. শহিদুর রহমান।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সিংগাইর স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সিংগাইর স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান। এ সময় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহীউদ্দীন। এ ছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

এদিকে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মীর্জা আজম এমপি, শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী। সম্মেলন পরিচালনা করেন সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাজেদ।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটির সভাপতি মমতাজ বেগম সভাপতি ও পূর্বের কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

ট্যাগ:

রাজনীতি
‘আ.লীগকে ধাক্কা দিলে আপনারাই খাদে পড়বেন’

banglanewspaper

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলে আপনাদেরকেই (বিএনপি) খাদে পড়ে যেতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

‘আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেব’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে শনিবার (৩০ জুলাই) নিজ বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

কাদের বলেন, ধাক্কা দিয়ে কাকে ফেলবেন? আওয়ামী লীগকে? আওয়ামী লীগ কি এত ঠুনকো দল? বন্দুকের নল থেকে আওয়ামী লীগ জন্ম নেয়নি। আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটি ও মানুষের অনেক গভীরে। নিজেরাই খাদের কিনারায় আছেন। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিলে আপনাদেরই খাদে পড়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, যে দল (বিএনপি) নিজেদের নেত্রীকে মুক্ত করতে আন্দোলন করতে পারে না, তারা নাকি আবার সরকার পতন ঘটাবে, এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি নেতাদের কিছু একটা বলতে হবে, তাই এসব হাই সাউন্ডিং শব্দ তারা ব্যবহার করে। বাস্তবে তাদের সক্ষমতা কতটুকু, তা আমরা জানি।

ট্যাগ: