
মনিরুল ইসলাম মনি: কোথাও আগুন লাগলে মুহূর্তেই টের পাবে যন্ত্রটি আবার নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পানি প্রবাহের মাধ্যমে আগুনকে নেভাতে সক্ষম হবে আশ্চর্য এই যন্ত্র। আশ্চর্য এই যন্ত্রটি ‘ফায়ার ফাইটিং রোবট’। আর এই জিনিসটি আবিস্কার করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলো খোকসার কৃতিমুখ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হুমায়েত আসিফ।
এই ফায়ার ফাইটিং রোবটের মূলভিত্তি আরডুইনো। আগুন চিহ্নিত করার জন্য এটাতে ফায়ার সেন্সর বা ফ্লেম সেন্সর মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা জানি, কোথাও যখন আগুন জ্বলে তখন সেখান থেকে আই আর (অবলোহিত) রশ্মি নির্গত হয়। আর এই রশ্মি কে ফায়ার সেন্সর রিসিভ করে। সেন্সরগুলিকে এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে যেদিকেই আগুন জ্বলুক না কেনো রোবটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেদিকে ঘুরে যেতে পারে। এরপর রোবটটি আগুনের অবস্থান নির্ণয় করে প্রয়োজন মতো পানি প্রবাহের মাধ্যমে আগুন নিভাতে সক্ষম।
হুমায়েত আসিফের বাসা খোকসার শোমসপুর রেলস্টেশনের পাশে। তরুণ এই বিজ্ঞানীর বাবা সাহেব আলী একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এবং মা নাম আয়েশা খাতুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের প্রতি তার ঝোঁকটা একটু বেশিই ছিল বলে জানান তার মা আয়েশা খাতুন।
হুমায়েত আসিফ তার রোবট তৈরির বিষয়ে বলেন, “আগামী বিশ্ব পুরোপুরিভাবে রোবোটিক্সের উপর নির্ভরশীল হবে। আগামী বিশ্বের তাল মিলিয়ে চলতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটি এমন একটি রোবট যেটি কোন চালক ছাড়া সমস্ত কাজটি নিজেই সম্পন্ন করে। এটিরই পরবর্তী সংস্করণ হচ্ছে ড্রোন। যেখানে আসলে ফায়ার সার্ভিসিং এর গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব না, যেমন কোনো বস্তির ভিতর কিংবা উঁচু কোন বিল্ডিং এ, সেখানে ড্রোনটি আগুন চিহ্নিত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাবে এবং পানি দিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হবে।”
হুমায়েত আসিফের তৈরিকৃত ফায়ার ফাইটিং রোবটের ইউটিউব ভিডিও দেখুন:
https://youtu.be/MwfHSP75wV4
খুলনা
কুষ্টিয়ায় আরও ১৭ মৃত্যু

কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনা পজিটিভ ছিল এবং ৬ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম।
তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং ৫৭ জনের উপসর্গসহ মোট ২৩৬ জন ভর্তি রয়েছে।
এদিকে পিসিআর ল্যাব এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ।
খুলনা
বিধিনিষেধের মধ্যে ইজিবাইকে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ৬

সারা দেশে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যেই বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ইজিবাইকের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও একজন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বৈলতলী প্রাইমারি স্কুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওসি জানান, পণ্যবোঝাই একটি পিকআপ মোংলার দিকে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইককে চাপা দেয় পিকআপটি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইজিবাইকের ৬ যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক গোলাম সরোয়ার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকাবাসী।
খুলনা
কুষ্টিয়ায় ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করলেন হানিফ

করোনা মহামারি পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।
জানা যায়, গত ৬ ও ৭ মে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় প্রায় এক কোটি টাকা বাজেটে কুষ্টিয়া মহিনি মিল মাঠ ও শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ১১ হাজার অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ। খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে এক কোটি টাকার পুরোটা খরচ হয়নি। এখান থেকে উদ্বৃত্ত টাকা দিয়েই মূলত ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রীর ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন মাহবুবউল আলম হানিফ।
এদিকে কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে পুরো জেলায়। প্রতিদিন সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফের উদ্যোগে সরবরাহকৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার অনেক উপকারে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা
লকডাউনের চতুর্থ দিনে খুলনায় ৬০ মামলা

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে খুলনা নগরীতেও প্রশাসন রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৭ এপ্রিল) লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। এদিন খুলনা জেলাজুড়ে অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি মামলায় ৩৮ হাজার সাতশো টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে এদিন সমগ্র খুলনা জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হয়।
খুলনা মহানগরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দিনব্যাপী মোট ছয়টি টিম অভিযান পরিচালনা করে ৪৪ মামলায় ২৬ হাজার চারশো টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা ও দিঘলিয়া উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। এসব অভিযানে উপজেলায় মোট ১৬ মামলায় ১২ হাজার তিনশো টাকা জরিমানা করা হয়। ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এবং ‘দণ্ডবিধি, ১৮৬০’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক অর্থদণ্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার, এপিবিএন ও র্যাবের সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
খুলনা
শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন বিপর্যস্ত

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষ। চলতি সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে এ জেলার ওপর দিয়ে। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে দিনযাপন করছে। রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে শীতের রাত কষ্টে পার করছে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষগুলো। জেলায় শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে। ঠান্ডা বাতাসের কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেশি।
রোদের প্রখরতা না থাকায় ও বাতাসের গতিবেগ বেশি থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।