
কোল্ড ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় পান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমল পানীয় প্রস্তুত করার সময় যেসব রং মেশানো হয়, তা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর ওই পানীয়কে আকর্ষণীয় করতে যে ‘ফুড অ্যাডিটিভ’ ব্যবহার করা হয় সেই উপাদানও কম ক্ষতিকর নয়।
এ পানীয় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়। বরং এটি মানবদেহের প্রতিটি অঙ্গের জন্যই ক্ষতিকর। আর ক্যান্সারের ঝুঁকিতো আছেই।
আসুন কোমল পানীয় পানের ক্ষতিকর দিকগুলো জেনে নেই।
কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যায়:
বেশি মাত্রায় কোল্ড ড্রিঙ্ক বা ডায়েট সোডা খেলে কিডনি ফাংশন ব্যাহত হয়। সেই সঙ্গে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। আসলে এই ধরনের পানীয়, ইউরিনে অ্যাসিড এবং খনিজের ভারসাম্যকে নষ্ট করে দেয়। যে কারণে কিডনি স্টোন হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস হতে পারে:
বেশ কিছু গবেষণা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে কোল্ড ড্রিঙ্ক খেলে শুধু কোলেস্টেরল বা হার্টে অ্যাটাকের আশঙ্কাই বাড়ে না, সেই সঙ্গে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। আসলে কোল্ড ড্রিঙ্কে প্রচুর মাত্রায় আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার করা হয়, যা নানা দিক থেকে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার পথকে প্রশস্ত করে।
রক্তচাপ বেড়ে যায়:
ডায়েট সোডা এবং কোল্ড ড্রিঙ্কে সোডিয়াম খুব বেশি থাকে। তাই এসব পানীয় বেশি মাত্রায় খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা খুব বেড়ে যায়। ফলে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কারণেই প্রেসারের রোগীদের কোল্ড ড্রিঙ্ক খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।
দাঁতের ক্ষতি:
ডায়েট সোডায় অ্যাসিডিক এলিমেন্ট খুব বেশি থাকে। তাই এ ধরনের পানীয় পানে দাঁতের ক্ষয় শুরু হয়। সেই সঙ্গে দাঁতের অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।
ওজন বৃদ্ধি করে:
তথাকথিত কোমল পানীয়তে ক্যালোরির মাত্রা খুব বেশি থাকে। ফলে কোল্ড ড্রিঙ্ক বা ডায়েট সোডা বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমক্ষমতা বিগড়ে যাওয়ার কারণে আরও নানা ধরনের রোগও হতে পারে।
ট্যাগ: banglanewspaper কোমল পানীয় ক্ষতিকর
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ বুধবার থেকে

আগামী বুধবার (৩ আগস্ট) থেকে রাজধানীতে কলেরার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে আইসিডিডিআরবি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ৫টি এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হবে কলেরা টিকা।কর্মসূচি চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। তবে শুক্রবার (৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (৯ আগস্ট, আশুরার দিন) টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন,
‘কলেরা টিকা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবহার, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রিয়জনদেরও উৎসাহিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি।যা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রদান করা হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন; তারা ছাড়া সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও সবুজবাগ এলাকায় প্রথম ডোজ কলেরা টিকা গ্রহণকারী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। যারা ২৬ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন, তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই : বিএসএমএমইউ

বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, করোনা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকেও যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিইনি, সেভাবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের গুজব দূরে রেখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো দেশের মানুষকে এই রোগ থেকেও আমরা নিরাপদ রাখতে পারব।
এদিকে, আফ্রিকা থেকে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
১৯৭০ সালে মানবদেহে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। কঙ্গোর ৯ বছর বয়সী এক বালকের দেহে ভাইরাসটি ধরা পড়েছিল। এরপর আফ্রিকা থেকে বিশ্বের কয়েকটি মহাদেশে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার ঘটে। তবে চলতি বছরের মে মাসে আফ্রিকার বাইরে অসংখ্য মাঙ্কিপক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বাড়তে থাকায় সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করে।
মাঙ্কিপক্স রোগটির নামের উৎপত্তি হয়েছে মাঙ্কি (বাঁনর) থেকে। কারণ রোগটি প্রথমে একটি বাঁনরের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছিল।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে দেশে আরও ৯৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (২৫ জুলাই) একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ২০ জন ঢাকার বাহিরে চিকিৎসাধীন।
এতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে নতুন করে আরও ৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৭৪ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং বাকি ২৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩০১ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৪ জন চিকিৎসাধীন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৩০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৯৬ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে

করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়ই বেড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে করোনার কারণে মৃত্যু ওঠানামা করছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচজনের। আর শনাক্ত হয়েছে ৫৪৮ জনের।
এর আগে শনিবার ও রোববার মৃত্যু হয়েছে ৪ জন করে। আর শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার ২৭১ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো করোনাভাইরাস। রোববার মৃতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার যা ছিল ৪৩০ জনে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৩২৩ জনে। করোনায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২৭৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনায় একজনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৫ জন হাসপাতালে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শনিবার (২৪ জুলাই) সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের একজন বাদে ছয়জনই ঢাকার বাসিন্দা।
আরও বলা হয়েছে, নতুন ৬৫ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৯ জনে। তাদের মধ্যে ২৩৫ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ঢাকার বাইরে রয়েছেন সর্বমোট ৬৪ জন রোগী।
এদিকে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ৩০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ জন। সুস্থদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ২৪২ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।