
আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশই থাকছে। আকারে অতীতের চেয়ে সবচেয়ে বড় বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতি মেটাতে এবারও তারল্য সংকটে চলা ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে।
গত বছর বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার ঘোষণা ছিল ৪৫ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে সেখান থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা করা হয়।
তবে ঘাটতি পূরণে সরকার সবচেয়ে বেশি ভরসা করবে বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর। মোট ৭১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থ বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে দুই থেকে আট শতাংশ সুদে ৭১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকার বৈদেশিক ঋণ সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সরকার বন্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে দুই থেকে ১১ শতাংশ সুদে ঋণ নিচ্ছে।’
আজ প্রথমবারের মতো বাজেট দিতে যাচ্ছেন কামাল। গত ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ের পর অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া এই চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের টানা দুই মেয়াদে ১০টি বাজেট দেওয়া আবুল মাল আবদুল মুহিতের তুলনায় মুস্তফা কামাল কী নতুনত্ব নিয়ে আসেন, এ নিয়ে আলোচনা আছে।
মুহিতের মতোই কামালও বাজেটের আকার বাড়াচ্ছেন। আর তার অনেক কিছুই আগেভাগে এসেছে গণমাধ্যমে। জানা যাচ্ছে, উচ্চসুদের সঞ্চয়পত্রের প্রতি নির্ভরতা কমাতে চাইছেন কামাল। আর এ কারণেই ব্যাংক ব্যবস্থার ওপর নির্ভরতা বাড়বে।
তবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংক খাত তারল্য সংকটে ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ঋণ বাড়ালে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে টান পড়বে কি না এ নিয়েও আশে শঙ্কা। আর তাই এই বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছেন না ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘এত বড় ঘাটতি ঠিক না। এতে দেশের অভ্যন্তরীণ খাত ঝুঁকিতে পড়বে।
আর এই ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে বড় ঋণ নিলে সেটা আরও অগ্রহণযোগ্য। কারণ, বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে তারল্য সংকট চলছে। এ অবস্থার মধ্যে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে চাপ পড়বে। বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক যদি সরকারকে ঋণ দিতে মানি সাপ্লাই বাড়ায় তবে মূল্যস্ফীতিতে চাপ পড়বে।’
বাজেট ঘাটতি গত বছর ছিল এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো। এবার ঘাটতি বাড়ার কারণ বাজেটের আকার আর ডিজিপির আকার বৃদ্ধি। বরাবর বাজেট ঘাটতি জিডিপির পাঁচ শতাংশের মধ্যে থাকে। এবারও এই হার অতিক্রম করছে না।
সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বাজেট ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ খাতের বদলে বিদেশের দিকে নজর দেওয়ার পক্ষে। বিশেষ করে মেগা প্রকল্পগুলোর অর্থ অভ্যন্তরীণ খাত থেকে না নিয়ে দাতা সংস্থাদের কাছ থেকে নেওয়ার পক্ষে। এতে প্রকল্পের মানও ভালো হবে বলে মনে করেন তিনি। কারণ, অর্থ দিলে বিদেশিরা প্রকল্পের গুণাগুণ মানও পর্যবেক্ষণ করে।
নাম না প্রকাশের শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরের তুলনায় এবার ঘাটতি ১৬ দশমিক চার শতাংশের বেশি হবে। তবে তা জিডিপির তুলনায় পাঁচ শতাংশের মধ্যেই থাকতে পারে।
আর তাতে সরকার বাজেট ঘাটতি পূরণে জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে সঞ্চয়পত্রে অতিরিক্ত সুদ দিতে হবে না সরকারকে। ফলে ঘাটতি টাকার অংকে বাড়লেও সরকারের ওপর চাপ কমবে।’
ট্যাগ: bdnewshour24 ব্যাংক ঋণের পরিকল্পনা
জাতীয়
পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলা সেই টিকটকার আটক

পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক করা সেই টিকটকার যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে আটক করে। তবে সে এটি মজা করে করছে নাকি কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে করছে তা যাচাই-বাছাই করতে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
রবিবার (২৬ জুন) বিকালে সিআইডির সাইবার ক্রাইমের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তাকে রাজধানীর শান্তিনগর থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। ওই যুবকের নাম বাইজীদ। তার বাড়ি পটুয়াখালীতে। তিনি রাজধানীতে বেসরকারি চাকরি করেন।
সূত্র জানায়, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা তার উদ্দেশ্য যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি যদি কোনও খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এটি করে থাকেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যদি কেবল না বুঝে মজা করে থাকে তাহলে মুচলেকা নেওয়া হতে পারে।
এর আগে রবিবার সকাল থেকে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায় এক যুবক টিকটকে ভিডিও বানাতে গিয়ে খুলে নিয়েছেন পদ্মা সেতুর দুটি নাট-বল্টু। এই নাট দুটি দিয়ে লোহার রেলিংটি আটকানো রয়েছে কংক্রিটের রেলিংয়ের সঙ্গে। এরপর সেই যুবক নাট দুটি বাঁহাত দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খুলে ডানহাতে নেন এবং আবার বাঁহাতের ওপর রাখেন। এ নিয়ে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। ওই যুবকের এমন কাণ্ড দেখে অনেকেই তার শাস্তি দাবি করেছেন।
জাতীয়
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ

পদ্মা সেতুতে সোমবার (২৭ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ।
রোববার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় সেতু বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার (২৭ জুন) ভোর ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এর আগে রোববার (২৬ জুন) সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুর্ঘটনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, দুইজন গুরুতর আহত হয়ে সেতুর ওপর পড়ে আছে। তাদের পাশে রক্তের দাগ।
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার তথ্যটি জেনেছি। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। রোববার (২৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে নাট-বল্টু খোলার অভিযোগে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ‘ভিডিওতে যে যুবককে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলতে দেখা গেছে, তার নাম মো. বায়েজিদ। তাকে আমরা আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তিনি কেন এই কাজ করেছেন, সেটা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বায়েজিদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী। তিনি রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার বয়স ৩১ বছর। তার ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। সেটা নিয়েই তিনি চলাফেরা করেন।
এর আগে, কাইসার ৭১ (Kaisar 71) নামে একটি টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে বায়েজিদের পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলার ভিডিওটি আপলোড করা হয়। পরবর্তীতে ৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন সাইটে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর কংক্রিটের রেলিংয়ের ওপর থাকা লোহার রেলিংয়ের দুটি নাট খুলছেন বায়েজিদ। মূলত নাট দুটি দিয়ে কংক্রিটের রেলিং ও লোহার রেলিংয়ের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নাট খুলে হাতে নিয়ে বায়েজিদকে বলতে শোনা যায়, ‘এই হলো আমাদের পদ্মা সেতু। আমাদের হাজার হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু।’ এ সময় ক্যামেরার পেছন থেকে আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ‘নাট খুলে ভাইরাল করে দিয়েন না।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। বায়েজিদের এমন কাণ্ডে নেটিজেনদের অনেকেই তার শাস্তির দাবি করেছেন।
নেটিজেনরা বলছেন, নাটগুলো খোলার জন্য বায়েজিদ সঙ্গে করে রেঞ্জও নিয়ে গিয়েছিলেন। ভিডিও করার আগে তিনি নাটগুলো রেঞ্জ দিয়ে খুলে রেখেছিলেন। পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যঙ্গ করার জন্যই ক্যামেরার সামনে হাত দিয়ে নাটগুলো খোলেন তিনি। কারণ, এমন অত্যাধুনিক ও মজবুত সেতুর নাট কখনোই খালি হাতে খোলা সম্ভব নয়।
নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, এত হাজার কোটি টাকার একটা সেতু, সেই সেতুর মান নিয়ে এভাবে ব্যঙ্গ করা ঠিক?
এদিকে অমিত দাস নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে দাবি করা হয়েছে, বায়েজিদ ছাত্রদল কর্মী।
পুলিশ সুপার রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।
জাতীয়
চাকরি ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট

দেশে তরুণদের মধ্যে মাদকের রাশ টানতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ‘ডোপ টেস্ট’ বাধ্যতামূলক হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আইনে সংশোধন আনা হচ্ছে।
বর্তমানে বাহিনীগুলোর নিজ উদ্যোগে সন্দেহভাজনদের ডোপ টেস্ট করা হলেও সরকারি অন্য পেশাজীবিদের জন্য এই ধরনের কোনো উদ্যোগ নেই। এখন আইনের বলে বাধ্যতামূলক করা হলে সবাই ডোপ টেস্টের আওতায় আসবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি যুব সমাজকে মাদকদ্রব্যের ছোবল থেকে রক্ষার কাজও করছে বাহিনীগুলো।
রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণই নয়, প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদকের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কাজ করছে সরকার।’
জানা গেছে, দেশে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলের সঙ্গে এখন নতুন মাদক হিসেবে ঢুকেছে আইস। এরমধ্যে ভয়ঙ্কর ইয়াবা ও আইস আসছে মিয়ানমার থেকে। আর ভারত থেকে ঢুকছে গাঁজা-ফেনসিডিল। ২০২০-২১ সালে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেনসিডিলসহ মাদক সংশ্লিষ্ট ২০ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, মাদকদ্রব্য জব্দ করেই এর সর্বনাশা ছোবল বন্ধ অসম্ভব। চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্ট বা মাদকাসক্তি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হলে এটি অনেকাংশেই রোধ সম্ভব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন যদি সব চাকরিতে প্রবেশের সময় ডোপ টেস্টের রিপোর্ট দিতে হয় তাহলে সবাই সতর্ক হবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে। ডোপ টেস্টে ধরা পড়ার ভয় থেকেই যুবসমাজ মাদকসেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখবে।’
জানা গেছে, সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডোপ টেস্ট প্রথমে চালু করে পুলিশ। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে পুলিশে ডোপ টেস্ট চালু হয়। এরইমধ্যে ডোপ টেস্টে ধরা ৩৭ জন পুলিশ সদস্য চাকরি খুঁইয়েছেন। পুলিশের পর র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীও অভ্যন্তরীনভাবে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম চালু করে।
বিজিবির গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল ফায়জুর রহমান বলেন, ‘বিজিবি সদস্যদের নিয়মিত ডোপ টেস্ট করা হয়। ২০২০ মে ২০২২ মে পর্যন্ত ডোপ টেস্টে পজেটিভ আসা ১৩ সদস্যকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।’
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আনসারের ব্যাটেলিয়নের অধিনায়করা কোনো সদস্যের ডোপ টেস্ট করানোর প্রযোজন মনে করলে তাদের টেস্ট করান। তবে এখন পর্যন্ত বাহিনীর কোনো সদস্যের পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।’
জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮-এর আওতায় ডোপ টেস্টের জন্য খসড়া আইনটি এরইমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তারা বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ চেয়েছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সেই অনুযায়ী কাজ করছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরিচালক (চিকিৎসা ও পুনর্বাসন) মো. মাসুদ হোসেন বলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় ডোপ টেস্টের নিয়মগুলো যাচাইবাছাই করবে। তারপর সেটা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।’
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রকল্প অনুমোদন পেলে সারাদেশে ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া চালু হবে। এর মাধ্যমে খুব সহজে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করার পাশাপাশি দেশে মাদকসেবীর একটা পরিসংখ্যানও পাওয়া যাবে। সবমিলিয়ে তাদের প্রতিকারের বিষয়েও পদক্ষেপ গ্রহণ করাও সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, ডোপ টেস্ট চালু হলে রাজধানী ঢাকায় তিনটি স্থানে পরীক্ষা করানো যাবে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে। এর ফলে নিজ নিজ এলাকা থেকে ডোপ টেস্ট করানো সম্ভব হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেডিকেল সেন্টারের প্রধান সহকারী মামুনুল হক বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীকে ডোপ টেস্ট করানো হয়নি। বাধ্যতামূলক হলে সেইক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।’
জাতীয়
পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হলো যত টাকা

বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) পদ্মা সেতু থেকে প্রথম আট ঘণ্টায় উভয় প্রান্তে মোট ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।
এদিন বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হোসেন।
তিনি বলেন, আট ঘণ্টায় মাওয়া প্রান্তে আট হাজার ৪৩৮টি গাড়ি টোল প্রদান করে। এতে আয় হয়েছে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা। অন্যদিকে জাজিরা প্রান্তে ৬ হাজার ৭৬২টি গাড়ি টোল প্রদান করে। এতে আয় হয়েছে ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা।
তবে সকাল থেকে পদ্মা সেতু পারাপার হওয়া গাড়ির ৬০ শতাংশই মোটরসাইকেল এবং বড় যানবাহন তুলনামূলক কম বলে জানান টোলপ্লাজায় দায়িত্বরত এই কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচলের জন্য পদ্মা সেতু খুলে দেওয়া হয়।
জাতীয়
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত দুই যুবকের মৃত্যু

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৬ জুন) রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন রাতে পদ্মা সেতুতে ভয়াবহ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন তারা।
নিহত দুই যুবক হলেন- মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)।
জানা গেছে, আজ রোববার রাতে সেতুর ২৭ ও ২৮ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ক্যাম্পের (ইনচার্জ) ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারাত্মক আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজন সেতুর ওপর পড়ে আছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মো. বাচ্চু মিয়া আরও জানান, মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।