banglanewspaper

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর। ২০০০ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই শুরু হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন অধ্যায়। অধিনায়ক সৌরভের সঙ্গেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও। আইসিসির স্বীকৃতি পাওয়ার পরে সেটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট।

ঐতিহাসিক সেই টেস্টে খেলা ক্রিকেটাররা এখন সোনালি অতীত। সৌরভ এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। আর তাঁর আমলেই এবার ইডেনে প্রথম টেস্ট-দ্বৈরথ ভারত ও বাংলাদেশের। ইডেনে দু’‌দেশের প্রথম টেস্ট-সাক্ষাৎকে তাই স্মরণীয় করে তোলাই লক্ষ্য সৌরভের। কী ভাবছেন তিনি?

সৌরভের ঘোষণা, ‘বাংলাদেশের বোর্ডের সঙ্গে কথা বলব। যাঁরা ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে খেলেছিলেন, সেই দলের ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সিএবির। বাংলাদেশের বোর্ড প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানাব। অনুরোধ করব, ওই দলের সদস্যদের যেন টেস্টের প্রথম দিন আসার অনুমতি দেওয়া হয়।’

সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের ভারতীয় দলের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানাবেন সৌরভ। অধিনায়ক হিসেবে সৌরভের অভিষেক টেস্ট দলের সদস্য ছিলেন কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড়, শিবসুন্দর দাস, এস রমেশ, জহির খান, জাভাগল শ্রীনাথের মতো তারকা। তাঁদের সকলকেই আমন্ত্রণ জানানো হবে। সৌরভ বলেছেন, ‘প্রথম দিনের শেষে দু’দলের সদস্যদের স‌ংবর্ধিত করার কথা ভাবা হচ্ছে।’

ম্যাচের প্রথম দিন বাংলাদেশ ও ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন। সোমবার সিএবিতে অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সৌরভ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি হয়তো ২১ নভেম্বর রাতেই শহরে আসছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’ ২২ নভেম্বর প্রথম দিনের শেষে তাঁদেরই সংবর্ধনা দেওয়ার কথা প্রথম টেস্ট দলের সদস্যদের। এখানেই চমকের শেষ নয়। ইডেনের সমর্থকেরা টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ দেখতে পাবেন মাত্র পঞ্চাশ রুপির টিকিটে। ইডেনে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে বেশি সংখ্যক দর্শক আসার জন্য এই সিদ্ধান্তই নিয়েছে সিএবি।

রাঁচিতে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে মাত্র দেড় হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল প্রথম দিন। ইডেনে প্রথমবার ভারত-বাংলাদেশ টেস্টে মাঠ যাতে ফাঁকা না থাকে সেদিকে নজর রাখছে সিএবি। আগে ১০০, ১৫০ এবং ২০০ রুপির টিকিটে খেলা দেখা যেত। এখন টিকিটের দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৫০, ১০০ এবং ১৫০ রুপি প্রতিদিন। সিজন টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। প্রতিদিনের টিকিট আলাদা করে কিনতে হবে সমর্থকদের।

পশ্চিমবঙ্গের তরুণ ক্রিকেটারদের সুবিধার কথা ভেবেও অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠ এবং কল্যাণীর বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে আবাসিক শিবির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি। সোমবার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে ঠিক হয়, একই ছাদের তলায় খেলাধুলার সঙ্গে পড়াশোনার ব্যবস্থাও রাখা হবে। সেই সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে বসতে চলেছে ফ্লাডলাইট। যাতে নৈশালোকে অনুশীলনের ব্যবস্থা করা যায়। বোর্ডের দিন-রাতের ম্যাচ পরিচালনা করার কথা ভেবেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএবি।

সিএবি-র প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভের শেষ বৈঠক ছিল সোমবারই। শেষবার সিএবি প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসে কেমন লাগল? সৌরভের উত্তর, ‘সবকিছুই ছেড়ে যেতে হয়। আমি ভাল স্মৃতি নিয়েই সিএবি ছেড়ে বেরোচ্ছি।’

কলকাতার সমর্থকদের নজরে এখন সেই বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট। ম্যাচটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করাই এখন মূল লক্ষ্য সৌরভের।

২০০০ সালের টেস্টের দুই দল

বাংলাদেশ: নাঈমুর রহমান দুর্জয় (অধিনায়ক), খালেদ মাসুদ পাইলট (উইকেটরক্ষক), শাহরিয়ার হোসেন, মেহরাব হোসেন, হাবিবুল বাশার, আমিনুল ইসলাম, আল শাহরিয়ার, আকরাম খান, মোহাম্মদ রফিক, হাসিবুল হোসেন ও রঞ্জন দাস।

ভারত: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (অধিনায়ক), সৈয়দ সাবা করিম (উইকেটরক্ষক), রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকার, শিবসুন্দর দাস, এস রমেশ, মুরালি কার্তিক, সুনীল জোশী, অজিত আগরকর, জাভাগল শ্রীনাথ ও জহির খান।

ট্যাগ: bdnewshour24 দুর্জয় বাশার পাইলট

খেলা
সোহানের বদলি মাহমুদউল্লাহ, নেতৃত্বে মোসাদ্দেক

banglanewspaper

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়ে ছিটকে গেছেন নুরুল হাসান সোহান। ফলে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলতে পারবেন না টাইগার এই অধিনায়ক।

তার বদলে সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন টাইগার অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানো দ্বিতীয় ম্যাচে এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারের বোলিং জাদুতে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

মোসাদ্দেকের অধিনায়কত্বের বিষয়টি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এদিকে সোহানের বদলি হিসেবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টাইগার স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। যদিও নেতৃত্বে মোসাদ্দেকেই আস্থা রেখেছে বোর্ড।

চলতি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছেন সোহান। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেলেও সোহান খেলেছিলেন অপরাজিত ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে মোসাদ্দেক এবং লিটনের সুবাদে সহজ জয় পাওয়া ম্যাচে হাসান মাহমুদের বলে আঘাত পেয়ে ছিটকে যান সোহান।

ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকা মাহমুদউল্লাহ এই মুহূর্তে জিম্বাবুয়েতে রয়েছেন। টি-টোয়েন্টির এই নিয়মিত অধিনায়ককে তাই সোহানের বদলি হিসেবে দলে টানা হয়েছে। তবে নেতৃত্বে নতুন কাউকে পরীক্ষা করার জন্যই মোসাদ্দেকে ভরসা রেখেছে দল।

ট্যাগ:

খেলা
ডোনাল্ডের ভাষ্যে, ২০-৩০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোহান

banglanewspaper

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের টানা ব্যর্থতার সঙ্গে নিয়মিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিল বাংলাদেশ। ক্রিকেটের এই শর্টার ফরম্যাটে নতুন ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যে নুরুল হাসান সোহানকে অধিনায়ক করে চলতি জিম্বাবুয়ে সিরিজে নতুন এক দল পাঠিয়েছিল বিসিবি।

সিনিয়রদের ছাড়া নতুন এই দলের অধিনায়ক হিসেবে ২২ জুলাই আচমকা সোহানকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। তবে ১১ দিনের মধ্যেই অধিনায়কত্ব থেকে সরতে বাধ্য হলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের দলে চোটে পড়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকেই ছিটকে যান সোহান।

এই ক্ষুদ্র সময়ে দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলেন সোহান। যার মধ্যে একটিতে হার এবং অন্যটিতে জয় পেয়েছেন তিনি। যে ম্যাচে হেরেছিল দল, সেই ম্যাচে অবশ্য আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন সোহান। দুই শতাধিক রান তাড়া করতে নেমে দেড় শতাধিক স্ট্রাইক রেটে অপরাজিত ৪২ রান করে দলকে জেতানোর চেষ্টা করেন সোহান।

দ্বিতীয় ম্যাচে দারুণ অধিনায়কত্বে বোলিং পরিবর্তন করে জিম্বাবুয়েকে অল্প রানে আটকে রাখতে সহায়তা করেন। সোহানের এমন অধিনায়কত্ব এবং ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ টাইগারদের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। এক ভিডিও বার্তায় ডোনাল্ড জানিয়েছেন, সোহানের নেতৃত্ব দেখে তার মনে হয়েছে এর আগে ২০-৩০ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ভিডিও বার্তায় সোহানকে নিয়ে ডোনাল্ড বলেন, ‘তার সঙ্গে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে দেখা হয়েছিল। তার আঙুল স্প্লিন্ট দিয়ে বাঁধা ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, সতর্কতার জন্য এটা ব্যবহার করেছে কি না— ও বলল, ‘নাহ’। দুর্ভাগ্যজনক একটা চিড় ধরা পড়েছে।

তার জন্য খারাপ লাগছে। এই মুহূর্তে দারুণ ক্রিকেট খেলছিল সে। বলগুলোকে ভালো মারছিল, কিপিং দারুণ করছিল। অধিনায়ক হিসেবে দুই ম্যাচে সে তার ছাপ রেখেছে। এমনভাবে নিজের নতুন ভূমিকায় মানিয়ে নিয়েছে মনে হয়েছে, এর আগে ২০ বা ৩০ ম্যাচে সে অধিনায়ক ছিল। তাকে মিস করব। তিন সপ্তাহের জন্য মাঠে বাইরে সে। আশা করছি তাকে এশিয়া কাপে ফিরে পাব।’

সোহানের পরিবর্তে উইকেটরক্ষক হিসেবে লিটন দায়িত্ব পালন করলেও ফিনিশার হিসেবে অন্যদের জন্য এটি একটি সুযোগ বলেই মনে করছেন ডোনাল্ড। তিনি আরও যোগ করেন,

‘প্রথম ম্যাচে সে দেখিয়েছে, একাই আমাদেরকে জেতাতে পারে। নিশ্চিতভাবে ইনিংসের শেষ ভাগে আমরা তার ব্যাটিং শক্তি ও কম্পোজার মিস করব। এটা নিশ্চিতভাবে অন্যদের জন্য সুযোগ। আমাদের সঙ্গে লিটন আছে। সে কিপিংয়েও ভালো। তবে যখন ফিনিশিংয়ের কথা আসছে, অন্য কাউকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।’

ট্যাগ:

খেলা
মোসাদ্দেক-লিটনে সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা

banglanewspaper

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জানিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগার ক্রিকেটাররাও নিজেদের সেরাটা দিয়ে অধিনায়কের কথার মান রাখলেন।

হারারেতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচ শেষে ১-১ সমতায় ফিরল বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ম্যাচে এদিন টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে স্বাগতিকরা। টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন তুলে নেন ৫ উইকেট। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাসের ফিফটিতে সহজ জয় পায় টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের হারের জন্য বড় কারণ ছিল বোলারদের ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে বোলারদের হাত ধরেই জয়ের পথ সুগম হয়। টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক জিম্বাবুয়ের ইনিংসের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাকফুটে ফেলে দেন।

প্রথম ওভারে চাকাভা এবং মাধবেরেকে ফেরানো মোসাদ্দেক টানা চার ওভারের স্পেলে তুলে নেন ৫ উইকেট। ফলে ৭ ওভার শেষে জিম্বাবুয়েদের ব্যাটিং স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩২ রান। যেখানে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট ছিল মোসাদ্দেকের নামের পাশে।

এই অফ স্পিনার শিকার করেন চাকাভা, মাধবেরে, শন উইলিয়ামস, মিল্টন শুম্বা ও ক্রেইগ এরভিনের উইকেট। ৩১ রানে ৫ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে ম্যাচে ফেরান প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুইয়ানদের নায়ক সিকান্দার রাজা ও রায়ান বার্ল।

দুইজনে ষষ্ঠ উইকেটে ৮০ রান যোগ করেন। বার্ল ৩২ রান করে হাসান মাহমুদের বলে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। ২৮ মাস পর দলে ফিরেই উইকেটের দেখা পেলেন হাসান। এটি এই পেসারের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম উইকেটও।

হাসানের পরের ওভারে ফিফটি হাঁকানো রাজাকে ফেরান মুস্তাফিজ। আউট হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করেন রাজা। শেষ দিকে লুক জঙ্গের ৫ বলে অপরাজিত ১১ রানে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে ঝড়ো সূচনা এনে দেন লিটন। একপ্রান্তে মুনিম ৮ বলে ৭ রান করে ফিরলেও অপরপ্রান্তে লিটন নিজের মতো করে খেলে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৬ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।

তিনে নেমে আনামুল হক বিজয় এই ম্যাচেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৬ রান করে প্রথম ম্যাচের মতো আবারও সিকান্দার রাজার বলে ফেরেন তিনি।

৮১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাকি সময় নির্বিঘ্নে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুইজনের ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন দুই ব্যাটসম্যান।

আফিফ ৩০ ও শান্ত ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে রাজা, উইলিয়ামস ও রিচার্ড এনগার্ভা ১টি করে উইকেট শিকার করেন। আগামী ২ আগস্ট সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ট্যাগ:

খেলা
১৭ রানে হার, দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় সোহানের

banglanewspaper

একদিনের ব্যবধানে আগামীকাল (৩১ জুলাই) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে আজ বাংলাদেশ হেরে গেছে ১৭ রানে।

হারারেতে প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি বোলারদের এলোমেলো বোলিং এবং ফিল্ডারদের মিসফিল্ডিংয়ে জিম্বাবুয়ে তোলে ৩ উইকেটে ২০৫ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টাইগার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের লড়াইয়ে ম্যাচের শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকে বাংলাদেশ।

যদিও শেষ পর্যন্ত হারের তিক্ততা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শেষ ৬ ওভারে ৯১ রান হজম করে বাংলাদেশি বোলাররা। এই ৬ ওভারে বোলিং করেছেন দলের সেরা তিন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।

শেষ ৬ ওভারে নব্বইয়ের বেশি হজম করায় ম্যাচে ১০-১৫ রান বেশি দেওয়া হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন দলের অধিনায়ক সোহান। সামনের ম্যাচে এই ভুল কাটিয়ে ভালো করতে চান এই অধিনায়ক।

ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে সোহান বলেন, ‘ম্যাচটা (প্রথম ম্যাচ) খুব ভালো ছিল। আমার কাছে মনে হয় যে, আমরা ডেথ ওভারে শেষ ৫-৬ ওভারে ভালো জায়গায় বল করতে পারি নাই। তারাও ভালো ব্যাটিং করেছে। আমার কাছে মনে হয় যে, কিছু জায়গা আছে যেখানে আমরা উন্নতি করে পরের ম্যাচে নামতে পারি।

কোনো কিছু নিয়ে কারণ দেখতে চাচ্ছি না। ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন, ফিল্ডিং সব আমরাই। যেটাই করি, আমরাই ভালো করতে হবে। শেষ ৬ ওভারে হয়ত আমরা আজ ভালো বোলিং করতে পারি নাই। আমি আশা করতেছি, নেক্সট ম্যাচে আরও উন্নতি হবে এই জায়গায়, ইনশাআল্লাহ।

২০০ রান তাড়া করা বড় ব্যাপার। আমরা ড্রেসিং রুমে যখন ছিলাম, আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, উইকেটটা বেশ ভালো আমরা তাড়া করতে পারবো।

এই ম্যাচের মধ্যেই অনেক ইতিবাচক দিক আছে, আমরা সেগুলো নিবো। আর ক্লিছু জায়গায় উন্নতি জায়গা আছে, সে জায়গাগুলো উন্নতি করে আমরা সামনের ম্যাচ খেলবো ইনশাআল্লাহ।’

ট্যাগ:

খেলা
আকাশ ছোঁয়া বাজেটের আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগ

banglanewspaper

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আকাশ ছুঁয়ে ফেলেছে অনেক আগে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের লক্ষ্য এখন আইপিএলে জায়গা করে নেয়া। যেখানে শুধু প্রতিযোগাতাই থাকে না, টাকার ছড়াছড়িরও শেষ নেই। বেশ কয়েকটি দেশেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে তবে সেসব আইপিএলের ধারে কাছেও নেই।

আসছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগ। ধন কুবেরদের দেশ বলে কথা। এখানে টাকার ছড়াছড়ি তো থাকবেই। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রতি মৌসুমে আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগ শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের দেবে সাড়ে চার লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা।

ক্রিকইনফো’র প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ৯ ধরনের ক্যাটাগরিতে বেতন দেওয়া হবে খেলোয়াড়দের। সর্বোচ্চ ক্যাটাগরির খেলোয়াড়দের দেয়া হবে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার বোনাসের সঙ্গে পারিশ্রমিক দেয়া হবে ৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার। আর সর্বনিম্ন ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবেন ১০ হাজার ডলার।

তুলনা করতে গেলে আইপিএলে বেতন ভুক্ত শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা প্রতি মৌসুমে পান ২০ লাখ ডলারেরও বেশি। পাকিস্তানের পিএসএলে শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা পান ২ লাখ ডলার। ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেডে সর্বোচ্চ শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা পান ১ লাখ ৬৪ হাজার ডলার। অস্ট্রেলিয়ার বিগ-ব্যাশের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়রা পান ২ লাখ ৩৮ হাজার ডলার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মানদণ্ড অবশ্য প্রতি আসরের আগে ঠিক হয়। সেটাও সামান্য।

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে ৬টি দল নিয়ে শুরু হবার কথা রয়েছে আমিরাত টি-টোয়েন্টি লিগ। প্রতিটি দলে ১৮ জন খেলোয়াড়ের ১২ জন টেস্ট খেলুড়ে দেশের, ৩ জন আমিরাতের আর দুজন আইসিসি’র সহযোগী দেশগুলোর এবং একজন সংযুক্ত আরব আমিরাত অ-২৩ দলের।

ট্যাগ: