
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ম্যাচ চলাকালীন বাংলাদেশের বোলিং তোপে ভারতের রান আউট নিয়ে কনডমের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। একটি কনডম প্রস্তুতকারক কম্পানি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। যা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে আলোচনা ও হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নিল বাংলাদেশের যুবারা। যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে এবারই প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো টাইগাররা। এর আগে জাতীয় দল হোক বা বয়সভিক্তিক ক্রিকেটেও কখনো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই ম্যাচে উদ্ভট রান আউটের ঘটনা ঘটেছিল। একপ্রান্তে দৌঁড় দিয়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটসম্যান। আজ বাংলাদেশের বোলিং তোপে অসহায় ভারতীয় দুই ব্যাটসম্যানও একই কাণ্ড করে সোশ্যাল সাইটে আলোচনার জন্ম দিলেন।
ভারতীয় দলের ইনিংসের ৪৩তম ওভারের ঘটনা। রকিবুল হাসানের বল ঠেলে দিয়েই রান নিতে ছোটেন ধ্রুব। অপর প্রান্তে থাকা অথর্ব আনকোলেকার বুঝতে পারেন যে রান নেওয়া সম্ভব না। তিনি ধ্রুবকে বারণ করেন আসতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। দুজনেই চলে এসেছেন একপ্রান্তে। মজার ব্যাপার হলো, তাদের ক্রিজে ফেরা এতটাই ক্লোজ ছিল যে, কাকে আউট ঘোষণা করা হবে সেটা জানতে তৃতীয় আম্পায়ারের শরণ নিতে হয়। রিপ্লে দেখে ২২ রান করা ধ্রুবকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার।
ট্যাগ: bdnewshour24 কনডম ভারত
বিনোদন
‘হাওয়া’র অভিনেতাকে এক হাত নিলেন চিত্রনায়ক জয়

‘মেধাশূন্য আর দখলদারিত্বের রাজত্বে নতুন হাওয়া বইছে। বাংলার আপামর মানুষ মেধাবীদের বুকে টেনে নিয়েছে। পরচর্চা আর ঈর্ষান্বিত না হয়ে আপনার মেধার বিকাশ ঘটান।’ ফেসবুক স্ট্যাটাসে এভাবেই খোঁচা দেন নির্মাতা ও অভিনেতা সুমন আনোয়ার। তার সেই স্ট্যাটাসের পাল্টা জবাব দিয়েছেন চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী।
সুমনের স্ট্যাটাসটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে নিজের ওয়ালে পোস্ট করে জয় লেখেন, ‘পোস্টের মানে আমার যতটুকু ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝতে পেরেছি, সেটা আর ভেঙে না বলি। মেধাশূন্য কাদের বলেছেন, আর দখলদারিত্বের কথা কাকে বলেছেন- সেটা হয়তো অনেকেরই বুঝতে অসুবিধা হবে না। আপনারা নিজেদের সুশীল বলে বলে গলা ফাটিয়ে এই তার নমুনা! হলে রিলিজপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র যেটাই ভালো যাবে, সেটাই আমাদের গর্বের ব্যাপার, সবার আনন্দের ব্যাপার। এ জন্য এমন অহংকার করে অন্যদের ছোট করে কথা আমরা চলচ্চিত্রের লোকেরা কখনো বলি না।’
ক্ষোভ ঝেড়ে নায়ক বলেন, ‘ভুলে যাবেন না, যে চলচ্চিত্রটি নিয়ে গর্ব করছেন সেটাও গতানুগতিক একটি বাংলা চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন হাউজ থেকেই রিলিজ করেছেন। তারা কিন্তু নাটকের কোনো প্রোডাকশন হাউজ না। এমন অনেক চলচ্চিত্র শুধু টিভিতেই রিলিজ হয়। মেধাশূন্য আর দখলদারিত্ব বলছেন, আজকে বাণিজ্যিক পরিবেশনা কিন্তু তাদের দ্বারাই হলো। তা না হলে ঘরে বসে চা খেতে খেতে আপনার সিনেমা দেখতে হতো।’
তিনি আরও জানান, ‘সব সময় আপনারা চলচ্চিত্রের মানুষদের ছোট করে কথা বলেন। ইদানিং ফেসবুকে ঢুকলেই দৃষ্টিকটু এই বিষয়টি নজরে আসছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই মুক্তি পেয়েছে মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’। সিনেমাটি মুক্তির আগে এর ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি বেশ সাড়া ফেলে। মুক্তির পর দর্শক প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খেয়ে পড়লেও সিনেমা দেখা শেষে ইতিবাচক-নেতিবাচক দু’ধরনের মন্তব্যই করছেন। এই সিনেমায় এজা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমন আনোয়ার।
বিনোদন
স্বামীর বয়স নিয়ে যা বললেন পূর্ণিমা

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা বিয়ে করেছেন। পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পাশাপাশি সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন তিনি।
জানা গেছে, গত ২৭ মে দুই পরিবারের সম্মতিতে পূর্ণিমা ও রবিনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে তারা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একসঙ্গে বসবাস করছেন। তবে বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কারণ, পূর্ণিমার স্বামী বয়সে ছোট। তবে এতোদিন চুপ থাকলেও অবশেষে গণমাধ্যমে নিন্দুকদের কড়া জবাব দিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগে থেকেই এমনটা ধারণা করেছিলাম। আর এজন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলাম। জানতাম, বিয়ের পর রবিনের (স্বামী) বয়স নিয়ে কথা উঠবে। যারা এসব লিখছেন কিংবা লিখতে না পারলে তারা ভালো থাকবেন না।তারা আমাকে দুই–তিনটা গালি দিতে না পারলে, উল্টো পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া করেন। তাদের উদ্দেশে বলছি এসব কথা। আমাকে নিয়ে এভাবে গালাগালি করে যদি শান্তি লাগে, আমি অনেক খুশি।’ তবে স্বামীর প্রকৃত বয়স নিয়ে কোনো কথা বলেননি পূর্ণিমা।
প্রসঙ্গত, এটি পূর্ণিমার দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই নায়িকা। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি।
বিনোদন
প্রমা শেখের ‘করলা আমায় পর’

এ প্রজন্মের কণ্ঠশিল্পী প্রমা শেখ। প্রথমবারের মতো ফোক ঘরানার গান নিয়ে হাজির হয়েছে তিনি। সম্প্রতি ধ্রব মিউজিক স্টেশনের ইউটিউব চ্যানেলে ‘করলা আমায় পর’ মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে।
এন আই বুলবুলের লেখা গানটির সংগীত আয়োজন করেছেন এনএইচ শিহান এবং সুর করেছেন এসকে সানু। মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। নিজের গানে মডেল হয়েছেন শিল্পী প্রমা শেখ।
প্রমা শেখ বলেন, ‘সবসময় আধুনিক গান করেছি। এবারই প্রথম ফোক গান করলাম। ইতোমধ্যে গানটি বেশ সাড়াও ফেলেছে। আর গানটি গেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আগামীতে আরও ফোক গান করব। আরেকটি ফোক গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন করেছি।’
উল্লেখ্য, গানের বাইরে স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রমা শেখ। গত ভালোবাসা দিবসে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রমা প্রকাশ করেন ‘স্বপ্ন উড়াই চল’। শুধু তাই না সব ধরনের গানের পাশাপাশি প্রমা শেখ প্রতি বছর কয়েকটি হামদ-নাত প্রকাশ করেন।
বিনোদন
‘অপেক্ষায় থাকুন চমক আসছে’

বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত আসিফ আকবর ও কোকিল কণ্ঠী নাজমুন মুনিরা ন্যানসির দূরত্বের কথা সবারই জানা। কোনো এক অজানা কারণে তাদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে কম জল ঘোলা হয়নি। দুই শিল্পীর মধ্যে বড় ভাই ও ছোট বোনের মতো সম্পর্ক বিরাজ করলেও দীর্ঘ ৪ বছর তাদের যোগাযোগ ছিল না। অবশেষে মান-অভিমান ভুলে এক হয়েছেন তারা।
এ নিয়ে গত শনিবার নিজের ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দেন শিল্পী আসিফ আকবর। তিনি লিখেছেন, একটা ফোনের অপেক্ষায় ছিলাম ৪ বছর। অবশেষে এলো সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন। হ্যালো বলতেই শুনলাম আদুরে কণ্ঠটি। ভাইয়া আমি ন্যানসি বলছি… খুব ভালো লাগল ওর ফোন পেয়ে। দুনিয়ার সমস্ত অভিযোগ-অভিমান আমার বিরুদ্ধে, শুনে আরও ভালো লাগছিল। ন্যানসি তো আমার ছোট, আমি বড়। তাহলে আমার মিনিমাম ভুলের ম্যাক্সিমাম শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি আরও লিখেছেন, নাজমুন মুনিরা ন্যানসির কণ্ঠ আমাদের সম্পদ। আমাকে বলল ভাইয়া আমি রাগ কমিয়ে ফেলেছি, আপনিও রাগ কমিয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গেই রাজি হয়ে গেলাম। অনেকদিন পর (স্নেহের) ন্যানসির সঙ্গে গল্প-গানের আড্ডায় নিজেকে হালকা করে ফেলেছি।
এদিকে আসিফ-ন্যানসির দূরত্ব ঘুচে যাওয়ায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন নড়েচড়ে বসেছেন। শোনা যাচ্ছে, এই দুই শিল্পীকে নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ডুয়েট গান করানো হবে।
বিষয়টি নিয়ে আসিফ আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, একসঙ্গে ডুয়েট গানের তো পরিকল্পনা রয়েছেই। শুধু আমরা দুইজনই চাইছি না, বাইরে থেকেও অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছেন। অপেক্ষায় থাকুন চমক আসছে।
বিনোদন
ক্ষোভ ঝাড়লেন সানাই

দেশের একসময়ের আলোচিত-সমালোচিত মডেল ও অভিনেত্রী সানাই মাহবুব। শোবিজকে বিদায় জানিয়ে ধর্ম-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন। মাস দুয়েক আগে অনেকটা গোপনেই আবু সালেহ মুসা নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। আপাতত সুখে সংসার করছেন তিনি।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ ঝেড়েছেন সানাই। তিনি লিখেছেন, ‘এই পোস্টটি তাদের উদ্দেশ্যে যাদের সকাল টু বিকেল শুরু হয় সানাই কি করল, স্বামীর সঙ্গে কোথায় থাকে, কোন এলাকায় থাকে, সানাই নামাজ পড়ল কিনা। ভাই আপনারা নামাজ পড়েন তো? আমাকে নিয়ে এত মাথা ঘামানোর কি আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা নিজের সময় আরেকজনের পেছনে অপচয় করার কি আছে।’
সানাই আরও লেখেন, ‘আমার হিসাব আমি দেব, আপনাদের হিসাব আপনারা দেবেন। সবকিছুর একটা লিমিট আছে ভাই। এত কৌতুহল কেন আমাকে নিয়ে ভাই। কি সমস্যা। আপনারা কি কেউ আমার হিসাব দেবেন। আর একজনকে নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন। যারা অন্যজন নামাজ পড়লো কি না, এগুলা নিয়ে মাথা ঘামায়; আমি হলফ করে বলতে পারব তাদের ৬০% ঠিকমতো নামাজ পড়ে না। নামাজ তো আল্লাহর জন্য পড়তে হয়, তাহলে এই নামাজের হিসাব আমি মানুষকে দেবো কেন। কথাগুলো একটু ভেবে দেখবেন।’
প্রসঙ্গত, সানাইয়ের অধিকাংশ কাজই সমালোচিত। একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা বিচরণ ছিল তার। অশ্লীলতার অভিযোগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগে হাজিরাও দিয়েছিলেন। সে সময় মুচলেকায় সই করে ছাড়া পান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীকে বিয়ে করছেন বলে আলোচনায় আসেন তিনি। যদিও পরে শোনা যায়, মন্ত্রী নয় এমপিকে বিয়ে করছেন। সে সময় তিনি এমপির পরিচয় গোপন রেখেছিলেন। গত বছর অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন সানাই। তারপর থেকেই আর আলোচনায় নেই তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচল থাকলেও আগের মতো খোলামেলাভাবে আর দেখা যায় না তাকে।