
চীনের প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত এখন পুরো বিশ্ব। বাদ যায়নি সিঙ্গাপুরও। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে আরও আটজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সিঙ্গাপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জন।
করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে নিজেদের মতো করে বিভিন্ন সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সম্প্রতি সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে কনডম।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টুডে অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্ক বা অন্যান্য সরঞ্জামে টান পড়তে শুরু করেছে সিঙ্গাপুরে। যতটা চাহিদা তার থেকে অনেক কম সরবরাহ হচ্ছে এসব সরঞ্জাম। ফলে নিজেদের মতো করেই ভাইরাসের ছোঁয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই কারণেই সিঙ্গাপুরে কনডমের বিক্রি বেড়ে গেছে। দোকানগুলোতে স্টক প্রায় শেষের মুখে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসে হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে কনডম ব্যবহার করছেন সিঙ্গাপুরবাসীরা। পাবলিক প্লেসে সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যবহৃত হচ্ছে কনডম। যেমন, লিফটের মতো জায়গায় কনডম ব্যবহার করছেন সাধারণ মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সব ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি আঙুলে কনডম পরে লিফটের বোতাম টিপছেন।
মূলত কনডম বিক্রি শুরু হয়েছে একটি ফান থেকে। আর মজাটি করে কনডম ব্র্যান্ড ডুরেক্সের সিঙ্গাপুর শাখা। তারা মজা করে বলে, নভেল করোনা ভাইরাসের জীবাণু থেকে বাঁচতে লিফটে আমাদের প্রোডাক্টকে ‘ফিঙ্গার গ্লোভস’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই কৌতুককেই সিরিয়াসলি নিয়েছেন অনেকে। এমনকি লিফটে বাটন প্রেস করতে আঙুলে কনডম পরতে দেখা গেছে। এ ছবি ছড়িয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে।
ট্যাগ: bdnewshour24 সিঙ্গাপুর মাস্ক সঙ্কট কনডম
আন্তর্জাতিক
শ্রীলঙ্কার বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভক্তি

শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর ‘গ্যালে ফেস গ্রিন’ উদ্যানের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের জেরে দিন দশেক আগে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলার পর আন্দোলনকারীরা সেখানে অবস্থান ধরে রাখা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনকারীদের এই বিভক্তির মধ্যে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে রবিবার জানান, গোতাবায়া রাজাপক্ষের দেশে ফেরার সঠিক সময় এখনো হয়নি। তিনি দেশে ফিরলে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়বে।
আন্তর্জাতিক
স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে যাওয়ার পরদিন স্বামীর মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার রিসোর্ট থেকে সৌরভ সিকদার (৩৪) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলাতলীর ডলফিন মোড় এলাকার ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সৌরভ সিকদার কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সিকদার পাড়া এলাকার মাস্টার হাসান শহীদের ছেলে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেলিম উদ্দীন বলেন, গতকাল রোববার (৩১ জুলাই) সৌরভ সিকদার তার স্ত্রীকে নিয়ে ওই রিসোর্টে ওঠেন। পরে সোমবার ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকা সৌরভের মরদেহ দড়ি ছিঁড়ে রিসোর্টের রুমে পড়ে যায়। এ সময় তার স্ত্রীও ওই কক্ষে ছিলেন। পরে তার চিৎকারে রিসোর্টের লোকজন এসে সৌরভের দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান, পরিদর্শক সেলিম। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে করোনায় কমেছে মৃত্যু ও আক্রান্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৪ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৫৪ জনের। এ ছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৫০৬ জন।
রোববার (৩১ জুলাই) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে শনিবার (৩০ জুলাই) বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৮ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯০৭ জনের। এ ছাড়া এদিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ লাখ ৬০ হাজার ৩০৫ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার ২২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৫১ জনের।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৯৩৮ জন এবং মারা গেছেন ১৩০ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৬২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৬৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ২৭৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৯৪৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ১২১ জন। মেক্সিকোতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ হাজার ২৪৮ জন এবং মারা গেছেন ৭৯ জন। তাইওয়ানে মারা গেছেন ৬০ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২১ হাজার ৫০১ জন।
একইসময়ে ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫০৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৪৩ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২৪৮ জন। নিউজিল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং মারা গেছেন ৬৭ জন। অস্ট্রেলিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১৩৫ জন। থাইল্যান্ডে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৬২ জন এবং মারা গেছেন ৩২ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ১৮৮ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে, একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।
আন্তর্জাতিক
ফের করোনায় আক্রান্ত বাইডেন

মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শনিবার (৩০ জুলাই) হোয়াইট হাউজ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২১ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বাইডেন। এরপর গত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে চারবার করোনা পরীক্ষা করান তিনি। চারবারেই ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
বাইডেনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, নতুন করে বাইডেনের চিকিৎসা নিতে হবে না। তবে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এদিকে করোনা শনাক্ত হওয়ায় বাইডেনের উইলমিংটন ও মিশিগান সফর বাতিল করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি
আন্তর্জাতিক
তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিলো চীন

দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা ফোনকলে তাইওয়ানের বিষয়ে একে অপরকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছেন, দ্বীপটির মর্যাদা পরিবর্তনে যেকোনো একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তিনি যোগ করেন, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হয়নি।
বেইজিং জানায়, শি বাইডেনকে এক-চীন নীতি মেনে চলতে আহ্বান জানান এবং তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যে আগুন নিয়ে খেলবে সে পুড়ে যাবে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, পেলোসি সফরের কোনো ঘোষণা দেননি। তবে চীন সতর্ক করে বলেছে, 'গুরুতর পরিণতি' হবে যদি তিনি এই ধরনের সফরে যান।
পেলোসি এ সফরে গেলে তিনি হবেন ১৯৯৭ সালের পর থেকে তাইওয়ান সফরকারী সবচেয়ে উচ্চ পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ।
বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবারের ফোন কলের সময় বাইডেন ও শি একটি মুখোমুখি বৈঠকের ব্যবস্থা করার বিষয়েও আলোচনা করেন।
২০১৫ সালে বাইডেন যখন মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন চীনা নেতা শি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন। কিন্তু বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে তারা এখন পর্যন্ত সরাসরি সাক্ষাৎ করেননি।
চীন তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে। তারা মনে করে, তাইওয়ান অবশ্যই দেশের একটি অংশ হয়ে উঠবে। এজন্য শক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনাকে অস্বীকার করে না তারা।
এক-চীন নীতির অধীনে, ওয়াশিংটন তাইপেকে কূটনৈতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিকভাবে স্বশাসিত দ্বীপটিতে অস্ত্র বিক্রি করে, যাতে এটি আত্মরক্ষা করতে পারে।
সূত্র : বিবিসি