banglanewspaper

ডা.মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ: ব্রেষ্ট ক্যান্সার বর্তমানে  একটি আতঙ্কের নাম,ক্যান্সার একটি কালান্তর ব্যাধি।ক্যান্সার নামটা ভয়ংকর সৃষ্টিকারী।ভয়াবহতা সম্বন্ধে আমার কিছু না বললেও চলে,বর্তমান সমাজে,বন্ধু বান্ধব আত্নীয় স্বজনের মধ্যে এই ভয়ংকর রোগে জীবন দান করেনি এমন লোক পাওয়া যাবে না। যুদ্ধ,প্লাবন ও দুর্ভিক্ষ,সমাজ জীবনে সাময়িকভাবে আসে আবার চলে যায়, বহু জীবন ধ্বংস করে, কিন্তু এই  বিধ্বংসী রোগ ক্যান্সার ক্রমাগত মানব সমাজকে ধ্বংসের দিগে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার চেয়ে ও আর ও বড় বড় মনীষী এর ধ্বংসলীলার বিবরণ দিয়েছেন।

গত দুই যুগ ধরে এ রোগে যত রোগী মৃতুবরন করেছেন,কোন যুদ্বেও এত লোক জীবনাহুতি দেয়নি, এই রোগে মানুষের দুঃখ কষ্ট ও জীবননাশের কোন হিসাব নেই।রাখা সম্ভবও নয়।অসহায় মানুষ অনবরত আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে, এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে।স্বামী-হারা , স্ত্রী, স্ত্রীহারা-স্বামী, পিতৃ মাতৃহারা শিশু, জীবনের অর্জিত সম্পদ ভেসে যাওয়া ক্যান্সার এই সব দুঃখ কষ্টের কারণ।এর একমাএ কারণ -রোগ ও এই রোগের উৎপত্তি কারণ সস্বন্ধে অজ্ঞতা এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্ধে ও অজ্ঞতা।ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বা মানুষকে রক্ষা করার একমাএ পথ হল রোগের কারণগুলি বিশ্লেষণ করা,আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতি সাধন করলে ও এই রোগটি নিয়ে মনে হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা খুবই হিমশিম খাচ্ছে, আজ পর্যন্ত ও এর কোন সঠিক কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।

যেকোনো রোগের ক্ষেত্রে রোগের কারণ খুঁজে পেলে তার সঠিক সমাধান বেরিয়ে আসে।কারণ খুঁজতে গিয়ে তথাকথিত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা সদৃশ বিধান মতে রোগের কারণ বিবেচনা না করে শুধু প্রচলিত ধারার গবেষণা করে যাচ্ছে,সাধারণত দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। টিউমার সাধারণত দুই প্রকার ১. ম্যালিগনেন্ট বা ক্যান্সারাস  ২. বিনাইন বা সাধারণ/ যা ক্যান্সার (পিন্ড) বলা হয়। আমাদের দেহের কোষ বিভাজনের সময় কোন পর্যায়ে যদি তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখনই তৈরি হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে শক্ত বা নরম আকারে তা ফুলে উঠে। টিপলে অনেক সময় ব্যথা ও জালা করতেও পারে। আবার অনেক সময় ব্যথা ও জালা থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে বর্তমানে জর্দা-গুল ও তামাককে টিউমার বা ক্যন্সারের জন্য বেশি দায়ী করা হয়ে থাকে।

এছাড়া - সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি, কাজ না করে বসে থাকা, অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত মাদক সেবন, ধূমপান ইত্যাদির কারণেও টিউমার বা ক্যান্সার হতে পারে ।আজ বেস্ট ক্যান্সার নিয়ে কলাম লিখেছেন,বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক ডা.এম এ মাজেদ তিনি তার কলামে লিখেন....সাম্প্রতিকালে সারা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারের রোগীর সংখ্যা ক্রমাবর্ধমান লক্ষনীয়। ভারত উপমহাদেশে প্রতি বছর আশি থেকে এক লাক মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করতে পারলে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্তন ক্যান্সারকে অনেক ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ আয়ত্তের মধ্যে আনা যায়।

সাধারণত এ রোগ চল্লিশোর্ধে মহিলাদের বেশি দেখা যায়। নিঃসন্তান মহিলা বা যে মহিলারা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান না বা খাওয়াতে অক্ষম তাঁদের এই রোগে আক্রান্ত হওযার সম্ভাবনা সাধারণের তুলনায় অনেক বেশি। এই কোথা  এখন সর্বজন স্বীকৃত যে, ব্রেষ্ট ক্যান্সারের একটা জেনেটিক লক্ষন । পরিবারের কোনও মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তাদের মা, বোন অথবা মেয়ের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ২২%-৩৩% বেড়ে যায়।          

 ★বেস্ট ক্যান্সার লক্ষণঃ * কমবেশি সব মহিলাদের স্তনেই লাম্প থাকে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যানসারাস ও কয়েকটি নন-ক্যানসারাস। এই ব্রেস্ট লাম্পগুলি অনেক সময় আন্ডারআর্ম বা কলার বোনের তলাতেও দেখা যায়। এছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের লাম্প থাকে যেগুলি টিপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না। এমন কিছু দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। 

*কোনও রকম রস কশ নেই স্তনে, তবু ইচিং বা চুলকানির মতো অনুভূতি হচ্ছে, এমন কিছু কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ। অনেক সময় এর সঙ্গে নিপ্‌ল থেকে হালকা হালকা রস‌ নিঃসৃত হয়, স্তনের ত্বকেও কিছুটা পরিবর্তন আসে। তাই চুলকানির মতো কিছু হলে নিজে থেকে কোনও ক্রিম বা লোশন লাগাবেন না। আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলবেন। 

*স্তনে টিউমার থাকলে তা আশপাশের ব্রেস্ট টিস্যুগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে স্তনে একটা ফোলা ফোলা ভাব দেখা যায়। এরই সঙ্গে স্তনে লাল ভাবও থাকে। স্তনে হাত দিলে বা চাপ দিলে ব্যথাও লাগে।

* কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ক্যানসার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলিতে। এই সমস্ত জায়গায় ব্যথা হলে সাধারণের পক্ষে জানা সম্ভব নয় তা মাস্‌ল পেইন নাকি ক্যানসারের কারণে ঘটছে। তাই পরীক্ষা করে নেওয়াই ভাল। 

* স্তনের আকার এবং সাইজ পরিবর্তনও এই ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। সচরাচর এই বিষয়টি পার্টনারের চোখেই বেশি পড়ে। তেমন কিছু শুনলে বিষয়টি উড়িয়ে দেবেন না। নিজেই আয়নার সামনে স্তনটি পরীক্ষা করুন এবং ক্যানসারের পরীক্ষা করিয়ে নিন।

*স্তনে লাম্প সব সময় বড় আকারের হয় না। ছোট ছোট ফুসকুড়ির মতো লাম্পও দেখা যায় স্তনবৃন্তের আশপাশে। অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি ঘর্ষণ অনুভব করেন, বিছানায় শোওয়ার সময় যদি ব্যথা লাগে তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না। 

*ব্রেস্টফিডিং করছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো জলীয় পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে এমনটা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এটি ব্রেস্ট ক্যানসারের অন্যতম বড় লক্ষণ। অনেক সময় স্তনবৃন্ত থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়।

*স্তনবৃন্ত হল স্তনের অসম্ভব সংবেদনশীল অংশ। যদি দেখেন যে স্তনবৃন্ত স্পর্শ করলেও তেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে না বা একেবারেই অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছে তবে তা ব্রেস্ট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। স্তনবৃন্তের ত্বকের তলায় ছোট ছোট টিউমার তৈরি হলেই এমনটা হয়। 

* স্তনবৃন্ত চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া, বেঁকে যাওয়া বা স্তনবৃন্তের শেপ অসমান হয়ে যাওয়া ক্যানসারের লক্ষণ,বিশেষ করে যদি ব্রেস্টফিডিং না চলাকালীন অবস্থাতেও এই বিষয়গুলি চোখে পড়ে। সঙ্গীকে বলুন ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে। সামান্য সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

* স্তনের উপরের ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া, অনেকটা কমলালেবুর খোসার মতো, ক্যানসারের প্রাথমিক স্টেজের লক্ষণ। দিনের মধ্যে একটা সময় তাই ভালভাবে স্তনটি পর্যবেক্ষণ করা উচিত। যে কোনও লক্ষণ চোখে পড়লেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান।

★বেস্ট টিউমার পরিক্ষা করার প্রাথমিক নিয়মঃ  ১। আয়নার সামনে দুপাশে হাত রেখে দাঁড়ান। দু দিকের স্তনের মধ্যে কোনও অসামঞ্জস্য আছে কিনা লক্ষ্য করুন। এবার দু’হাত ওপরে তুলুন-মাথার পাশে রাখুন। দেখুন দু’দিকে কোন অসামঞ্জস্য আছে কিনা ?

২। হাতের চেটো দিয়ে প্রথমে এক দিকের স্তন ও পরে অন্য দিকের স্তন পরীক্ষা করুন। কোন প্রকার চাকা বা ফোলা আছে কিনা লক্ষ্য করুন।

৩। এবার দেখুন নিপল এর কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা। যদি দেখা যায় একটি নিপল্ ভেতরে দিকে ঢুকে যাচ্ছে অথবা যদি নিপল্ এর পাশে কোন ঘা লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাহলে সত্বর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

নিপল্ থেকে কোন প্রকার “ডিসচার্জ” লক্ষ্য করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেহেুতু সহজেই স্তনে চাকা অনুভব করা যায়, তাই শরীরের অন্যান্য অংশের ক্যান্সারের তুলনসায় ব্রেষ্ট ক্যান্সারের চিকিৎসার হোমিওতে ভালো রেজাল্ট আশা করা যায়। 

হোমিওসমাধানঃ রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ যে কোন  জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে   আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।  চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিরন্তন সত্য বলে কিছুই নেই । কেননা একসময় আমরা শুনতাম যক্ষা হলে রক্ষা নেই , বর্তমানে শুনতে পাই যক্ষা ভাল হয়। এ সবকিছু বিজ্ঞানের অগ্রগতি ও উন্নয়নের ফসল ।

ব্রেস্ট ক্যান্সার চিকিৎসা হোমিওপ্যাথিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। সামগ্রিক উপসর্গের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা করা হয়। এটিই একমাত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে রোগীর কষ্টের সমস্ত চিহ্ন এবং উপসর্গগুলি দূর করে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যের অবস্থা পুনরুদ্ধার করা যায়। বিবিসি নিউজের ২০১৬ তথ্য মতে, দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করে আরোগ্য লাভ করে, আবার ইদানিং অনেক নামদারি হোমিও চিকিৎসক বের হইছে,তাঁরা ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীকে অপচিকিৎসা 
দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে তাদের কে ডা.হানেমান শংকর জাতের হোমিওপ্যাথ বলে থাকেন,রোগীদের কে মনে রাখতে হবে, ব্রেস্ট ক্যান্সার কোন
সাধারণ রোগ না, তাই সঠিক চিকিৎসা পাইতে হলে অভিজ্ঞ চিকিৎকের পরামর্শ নিন।   

ট্যাগ: bdnewshour24 ব্রেস্ট ক্যান্সার

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ বুধবার থেকে

banglanewspaper

আগামী বুধবার (৩ আগস্ট) থেকে রাজধানীতে কলেরার দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া শুরু করতে যাচ্ছে আইসিডিডিআরবি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর ৫টি এলাকায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দেওয়া হবে কলেরা টিকা।কর্মসূচি চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। তবে শুক্রবার (৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (৯ আগস্ট, আশুরার দিন) টিকা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আইসিডিডিআরবির সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ও ইনফেকশাস ডিজিজেস ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র ডিরেক্টর ড. ফেরদৌসী কাদরী বলেন,
‘কলেরা টিকা গ্রহণ করার পাশাপাশি নিরাপদ পানির ব্যবহার, নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রিয়জনদেরও উৎসাহিত করতে হবে।’

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ইউভিকল প্লাস নামের কলেরার টিকা দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি।যা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রদান করা হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা গ্রহণ করেছেন; তারা ছাড়া সবাই এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন। এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেওয়া যাবে না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও সবুজবাগ এলাকায় প্রথম ডোজ কলেরা টিকা গ্রহণকারী ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫৮৫ জনকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান করা হবে। যারা ২৬ জুন থেকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম ডোজ কলেরা টিকা নিয়েছেন, তারা নিজ নিজ কেন্দ্রে টিকা কার্ড দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

ট্যাগ:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই : বিএসএমএমইউ

banglanewspaper

বাংলাদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত কোনো রোগী নেই বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফুদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (৩০ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শরফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর হার বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের সীমান্ত ও বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, করোনা যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকেও যেমনভাবে বাংলাদেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে দিইনি, সেভাবে মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের জন্যও প্রস্তুত আছি।

তিনি আরও বলেন, যে কোনো ধরনের গুজব দূরে রেখে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো দেশের মানুষকে এই রোগ থেকেও আমরা নিরাপদ রাখতে পারব।

এদিকে, আফ্রিকা থেকে বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।

১৯৭০ সালে মানবদেহে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। কঙ্গোর ৯ বছর বয়সী এক বালকের দেহে ভাইরাসটি ধরা পড়েছিল। এরপর আফ্রিকা থেকে বিশ্বের কয়েকটি মহাদেশে মাঙ্কিপক্সের বিস্তার ঘটে। তবে চলতি বছরের মে মাসে আফ্রিকার বাইরে অসংখ্য মাঙ্কিপক্স রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্স দ্রুত বাড়তে থাকায় সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরি অবস্থা জারি করে।

মাঙ্কিপক্স রোগটির নামের উৎপত্তি হয়েছে মাঙ্কি (বাঁনর) থেকে। কারণ রোগটি প্রথমে একটি বাঁনরের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছিল।

ট্যাগ:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৯

banglanewspaper

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে দেশে আরও ৯৯ জন আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২৫ জুলাই) একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৬০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এরমধ্যে ৪০ জন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং ২০ জন ঢাকার বাহিরে চিকিৎসাধীন।

এতে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে নতুন করে আরও ৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৭৪ জন ঢাকার বাসিন্দা এবং বাকি ২৫ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ৩০১ জন ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৪ জন চিকিৎসাধীন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৩০৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৯৬ জন। এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।

ট্যাগ:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে

banglanewspaper

করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত উভয়ই বেড়েছে। গত কয়েক দিন ধরে করোনার কারণে মৃত্যু ওঠানামা করছে।

সোমবার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে আরও পাঁচজনের। আর শনাক্ত হয়েছে ৫৪৮ জনের।

এর আগে শনিবার ও রোববার মৃত্যু হয়েছে ৪ জন করে। আর শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে দুইজনের। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার ২৭১ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো করোনাভাইরাস। রোববার মৃতদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার যা ছিল ৪৩০ জনে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ২ হাজার ৩২৩ জনে। করোনায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২৭৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ৯৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম করোনায় একজনের মৃত্যু হয়।

ট্যাগ:

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৫ জন হাসপাতালে

banglanewspaper

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ২৯৯ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

শনিবার (২৪ জুলাই) সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন আক্রান্তদের একজন বাদে ছয়জনই ঢাকার বাসিন্দা।

আরও বলা হয়েছে, নতুন ৬৫ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৯ জনে। তাদের মধ্যে ২৩৫ জনই ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আর ঢাকার বাইরে রয়েছেন সর্বমোট ৬৪ জন রোগী।

এদিকে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১ হাজার ৮৩৭ জন। এর মধ্যে ঢাকার বাইরে ভর্তি রয়েছেন ৩০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪১ জন। সুস্থদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৫৯৯ জন ও ঢাকার বাইরে ২৪২ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

ট্যাগ: