
নড়াইল বাসিন্দা নূপুর এর চোখ লাল হয়ে গেছে এবং চুলকাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে এলেন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বহির্বিভাগে তিন টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছেন।হাসপাতালের দোতলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার যেখানে চোখের চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন দুজন নার্স। তাঁরা নূপুরকে যন্ত্রপাতির মাধ্যমে দেখলেন। এরপর গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ আবদুল হাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নূপুরের সমস্যাগুলো দেখলেন এবং অনলাইনেই ব্যবস্থাপত্র পাঠিয়ে দিলেন তিনি। পরে বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হলো নূপুরকে।
এভাবে একে একে রোববার অন্তত ৩৫ জন চোখের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। [ads]
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেলার আশপাশের আটটি জেলার ২০টি উপজেলায় চোখের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ভিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল আই কেয়ার বিভাগ এটি পরিচালনা করে। গোপালগঞ্জ, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, বাগেরহাট, মাদারীপুর ও পিরোজপুর জেলার ২০টি উপজেলায় ২০১৮ সালের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের উদ্বোধন করেন। নড়াইল জেলার লোহাগড়া ও কালিয়া উপজেলায় এটি চালু আছে।
লোহাগড়া কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের দায়িত্বে আছেন এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স খাদিজা খানম ও সাথী রাহা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ দুজনকে ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও ভারতের অরবিন্দ আই হসপিটাল থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে এনেছে।
নার্স সাথী রাহা জানালেন, এখানে চোখ পরীক্ষার যাবতীয় যন্ত্রপাতি আছে। এগুলো দিয়ে রোগীদের চোখের পরীক্ষা করা হয়। অনলাইনে রোগীকে নিবন্ধন করে তাঁর যাবতীয় বিষয় অনলাইনে পাঠানো হয়। রোগীর এ তথ্যগুলো দেখে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞরা ব্যবস্থাপত্র অনলাইনে পাঠিয়ে দেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে এ ব্যবস্থাপত্র পাওয়া যায়। অধিকাংশ রোগীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন চিকিৎসকেরা। গ্লুকোমা, কর্নিয়া আলসার, ছানিসহ জটিল রোগের জন্য ওই চিকিৎসকেরা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতালে যেতে বলেন। সেখানে ওই ২০টি উপজেলার ভিশন সেন্টারের জন্য আলাদা কাউন্টার আছে। ওই হাসপাতালে চোখের অস্ত্রোপচারসহ সব ধরনের চিকিৎসা বিনা মূল্যে দেওয়া হয়।
লোহাগড়া ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল থেকে চোখের ছানি অস্ত্রোপচার করে লেন্স সংযোজন করেছেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ভালো সেবা পেয়েছেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শরীফ সাহাবুর রহমান বলেন, এই ভিশন সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাম এলাকার মানুষ বিনা মূল্যে বিশেষায়িত সেবা পাচ্ছে। সর্বোপরি অসহায় ও দরিদ্র জনগণের জন্য খুবই কার্যকর পদক্ষেপ এটি।
ট্যাগ: bdnewshour24 চক্ষুরোগী চিকিৎসা
খুলনা
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে যোগ দিতে সাইকেলে রওনা দিলেন 'স্বপ্নবাজ মোকসেদ'

যশোর প্রতিনিধি : যশোরের বেনাপোল পৌরসভার পোড়াবাড়ি গ্রাম থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু স্বচক্ষে দেখতে বাইসাইকেল চালিয়ে রওনা দিয়েছেন স্বপ্নবাজ মোকসেদ আলী (৫০)।
মোকসেদ আলী নামের এই স্বপ্নবাজ পোড়াবাড়ি গ্রামের মৃত পাতলাই সরদারের ছেলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালির স্বপ্ন ও আবেগের এই পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে তিনি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকতে চান। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে বিশ্বের বুকে আরও একবার মাথা উঁচু করে দেওয়া দৃশ্যমান এই পদ্মা সেতু ছুঁয়ে দেখতে নিজের ব্যবহারের পুরাতন বাইসাইকেল নিয়ে তিনি রওনা হয়েছেন।
জানা যায়, ২০ জুন সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ফজরের নামাজ শেষ করে যাত্রা করেন মোকসেদ। তিনি বাই-সাইকেলযোগে ইতোমধ্যেই পদ্মা সেতুর খুব কাছেই অবস্থান করছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বেনাপোলের সুশীল নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফারুক হোসেন উজ্জ্বল বলেন, এই সেতু শুধু বেনাপোলবাসীর নয় সমস্ত বাঙালি ও বাংলার অদম্য স্বপ্ন। ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’ উদ্বোধন কোটি হৃদয়ের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন। এই সেতু উদ্বোধনের প্রতীক্ষায় এমন কোটি কোটি মোকসেদ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আমি বেনাপোলবাসীর পক্ষ থেকে তার সুস্থতা কামনা করছি এবং তিনি তার স্বপ্ন পূরণ করে সহি-সালামতে ফিরে আসুক সেই কামনা করি।
(২২ জুন) বুধবার সকালে মোকসেদ আলী মুঠোফোনে জানান, আমি স্বপ্নের পদ্মা সেতু থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে আছি। তার পুরাতন সাইকেল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার সাইকেল পুরানো হলে কী হবে খুব চলে। পদ্মা সেতু সম্পর্কে কিছু বলতে বললে তিনি বলেন, আমার বহু দিনের স্বপ্ন আমি সামনে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষে আমার নিজের টাকায় বানানো পদ্মা সেতু দেখব।
প্রধানমন্ত্রীকে কিছু বলতে চান কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত মানুষ তেমন কথা বলতে পারি না, আমি শুধু দোয়া করি তিনি যেন আরও অনেক দিন বেঁচে থাকেন’।
খুলনা
কুষ্টিয়ায় আরও ১৭ মৃত্যু

কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন করোনা পজিটিভ ছিল এবং ৬ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম।
তিনি জানান, বর্তমানে হাসপাতালে ১৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী এবং ৫৭ জনের উপসর্গসহ মোট ২৩৬ জন ভর্তি রয়েছে।
এদিকে পিসিআর ল্যাব এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ।
খুলনা
বিধিনিষেধের মধ্যে ইজিবাইকে পিকআপের ধাক্কায় নিহত ৬

সারা দেশে শুরু হওয়া ১৪ দিনের কঠোরতম বিধিনিষেধের মধ্যেই বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় পিকআপভ্যানের ধাক্কায় ইজিবাইকের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও একজন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল সোয়া ৭টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বৈলতলী প্রাইমারি স্কুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ওসি জানান, পণ্যবোঝাই একটি পিকআপ মোংলার দিকে যাচ্ছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইককে চাপা দেয় পিকআপটি। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইজিবাইকের ৬ যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক গোলাম সরোয়ার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে এলাকাবাসী।
খুলনা
কুষ্টিয়ায় ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করলেন হানিফ

করোনা মহামারি পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করে দিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।
জানা যায়, গত ৬ ও ৭ মে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় প্রায় এক কোটি টাকা বাজেটে কুষ্টিয়া মহিনি মিল মাঠ ও শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ১১ হাজার অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাহবুবউল আলম হানিফ। খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে এক কোটি টাকার পুরোটা খরচ হয়নি। এখান থেকে উদ্বৃত্ত টাকা দিয়েই মূলত ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা করেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সেখানে অক্সিজেন ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসাসামগ্রীর ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন মাহবুবউল আলম হানিফ।
এদিকে কুষ্টিয়ায় করোনা পরিস্থিতি খুবই নাজুক। পরিস্থিতি বিবেচনায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে পুরো জেলায়। প্রতিদিন সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই করোনা রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করতে কুষ্টিয়ার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই অবস্থায় সাংসদ মাহবুবউল আলম হানিফের উদ্যোগে সরবরাহকৃত অক্সিজেন সিলিন্ডার অনেক উপকারে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা
লকডাউনের চতুর্থ দিনে খুলনায় ৬০ মামলা

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশে সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে খুলনা নগরীতেও প্রশাসন রয়েছে কঠোর অবস্থানে।
সেই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৭ এপ্রিল) লকডাউনের চতুর্থ দিনেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। এদিন খুলনা জেলাজুড়ে অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি মামলায় ৩৮ হাজার সাতশো টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলীর তত্ত্বাবধানে এদিন সমগ্র খুলনা জেলায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হয়।
খুলনা মহানগরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে দিনব্যাপী মোট ছয়টি টিম অভিযান পরিচালনা করে ৪৪ মামলায় ২৬ হাজার চারশো টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা ও দিঘলিয়া উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করেন স্ব-স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। এসব অভিযানে উপজেলায় মোট ১৬ মামলায় ১২ হাজার তিনশো টাকা জরিমানা করা হয়। ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ এবং ‘দণ্ডবিধি, ১৮৬০’ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান মোতাবেক অর্থদণ্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটরা।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পুলিশ, আনসার, এপিবিএন ও র্যাবের সদস্যরা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ নিশ্চিতকরণে জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।