
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি সম্পর্ক গড়ে তুলে প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে করা ও তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্বামী এভাবে অনেক মেয়েকে প্রতারিত করেছে। কিন্তু লোকলজ্জায় কেউ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ওই নারীর প্রতারক স্বামীর নাম মো. নাজমুল হাসান।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপি'র শ্যামপুর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়। শ্যামপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরবর্তীতে থানায় ওই নারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্যামপুর মডেল থানার ওসি মফিজুল আলম এবং এসআই দেবকুমার আচার্য্যের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়।
অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা সাপেক্ষে তথ্য-প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্ত মো. নাজমুল হাসানকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু চতুর আসামি বারবার তার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকে। পুলিশও তার পিছু ছাড়েনি। অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সিরাজগঞ্জ সদর থানার পৌর এলাকার সয়াধানবাড়ি থেকে প্রতারক নাজমুলকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে ভার্চুয়াল রিলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে প্রতারণামূলক অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে তিনটি বিয়ে করেছে বলে স্বীকার করে। সিরাজগঞ্জের যে স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানেও সে এক নারীর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ট্যাগ: bdnewshour24