
আইসিসির মাসসেরা নারী ক্রিকেটারের দৌঁড়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। নভেম্বরের সেরা হওয়ার প্রতিযোগিতায় তার সঙ্গে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলে ম্যাথিউস ও পাকিস্তানের আনাম আমিন। আর মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরুষ ক্যাটাগরিতে আছেন পাকিস্তানের আবিদ আলী, অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার ও নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি।
গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেরার লড়াইয়ে থাকাদের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে দুর্দান্ত খেলেই সেরার তালিকায় উঠে এসেছেন নাহিদা।
নভেম্বর মাসে মাত্র চারটি ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ২১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। আবার হারারেতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে নেন ২ উইকেট। যে ম্যাচটি জিতে নতুন উচ্চতায় পা রাখে বাংলাদেশের মেয়েরা। তার পথ ধরেই প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতাও অর্জন করে টাইগ্রেসরা।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনাম ৩.০০ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন নভেম্বরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেট নিয়ে ওয়ানডে সিরিজের শীর্ষ বোলার ছিলেন। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাকিস্তানি বোলার নেন চার উইকেট, যার মধ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ রানে পান তিনটি।
গত জুলাইয়ে সতীর্থ অধিনায়ক স্টেফানি টেলরের সঙ্গে সেরা তিনে ছিলেন অলরাউন্ডার হেইলে ম্যাথিউস। চার ওয়ানডেতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে দ্বিতীয়বার মনোনীত হলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার। ১৪১ রান করার সঙ্গে তিনি উইকেট নেন ৯টি। পাকিস্তানরে বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রথম ম্যাচে করেন ৫৭ রান ও উইকেট নেন ৩১ রানে তিনটি। দ্বিতীয় ম্যাচেও পান ২৬ রানে চার উইকেট।
ট্যাগ: নাহিদা
খেলা
ম্যাথিউজের আক্ষেপে অলআউট শ্রীলঙ্কা

অবশেষে অলআউট শ্রীলঙ্কা। এঞ্জেলো ম্যাথিউজের তীব্র প্রতিরোধ থামিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিলেন নাঈম হাসান। মেহেদি হাসান মিরাজ অফস্পিনার কোটায় জায়গা পাকা করে ফেলায় টিম কম্বিনেশনে সুযোগ মেলেনি নাঈমের। সেই মিরাজের চোটেই ১৫ মাস পর দলে ফিরলেন। আর ফিরেই পেলেন ৫ উইকেটের দেখা। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ফাইফার ছুঁয়েছেন নাঈম। সবমিলিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। প্রথম দিন ২ উইকেট নেওয়ার পর আজ নিয়েছেন আরও ৪টি।
তার ক্যারিয়ারটা শুরুই হয়েছিল ৫ উইকেট দিয়ে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার তুলে নিয়েছিলেন নাইম হাসান। এরপর আরও একবার ৫ উইকেট পেয়েছেন ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুরে। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে মোট ২৫ উইকেট শিকার করেন নাইম।
৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা প্রথম সেশন শেষ করে ৬ উইকেটে ৩২৭ রান নিয়ে। প্রথম সেশনে দীনেশ চান্দিমালকে (৬৬) হারালেও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ‘জীবন পাওয়ার’ সুবিধা কাজে লাগিয়ে পৌঁছে যান ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি। তার আগে বিশ্ব ফার্নান্দোর প্রতিরোধ গড়া ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৩৭৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষ করে লঙ্কানরা।
তবে মাত্র ১ রানের জন্য ম্যাথিউজ পাননি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা। শরিফুল ইসলামের বাউন্সারে মাথায় কিঞ্চিৎ আঘাত পাওয়া বিশ্ব তৃতীয় সেশনের শুরু ছিলেন রিটায়ার্ড হার্ট। আসিথা ফার্নান্দোকে নাঈম বোল্ড করলে আবারও ক্রিজে নামেন বিশ্ব। শেষপর্যন্ত ৮৪ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন দারুণ দৃঢ়তা দেখানো এই টেল এন্ডার।
৩৮৫তম বলে সাকিবের দারুণ এক ক্যাচে পরিণত হয়ে বিদায় নেন ১৯৯ রান করা ম্যাথিউজ, শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৩৯৭ রানে। ম্যাথিউজের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার ও ১টি ছক্কা। ম্যাথিউজকে ফিরিয়ে নাঈম শিকার করেন ৬টি উইকেট। এছাড়া সাকিব আল হাসান শিকার করেন তিনটি উইকেট, তাইজুল একটি।
খেলা
স্ত্রী আনুশকার চেয়েও সতীর্থকে বেশি গুরুত্ব দিতেন কোহলি’

টানা সাত বছর ভারতীয় দলের দায়িত্ব পালন করা কোহলি নিজের অধিনায়কত্বের সময় দলের সকল ক্রিকেটারের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসেন। বিশেষ করে ফিটনেসের ক্ষেত্রে বলা চলে বিপ্লব ঘটিয়েছেন কোহলি। বিশেষ করে পেসারদের জন্য আলাদা রকম সচেতন ছিলেন কোহলি। কোনো সফরে যাওয়ার সময় নিজের বিজনেস ক্লাসের সিট ছেড়ে দিয়ে পেসারদের বসতে দিতেন কিং কোহলি। এক্ষেত্রে নিজের স্ত্রী আনুশকার চেয়েও সতীর্থদের ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দিতেন কোহলি।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের যেকোনো সফরে কোচ ও অধিনায়কের জন্য বিমানের দুটি বিজনেস ক্লাস সিট সংরক্ষিত থাকে। কোচ তার নির্ধারিত সিটে বসলেও কোহলি সব সময় দলের অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে ইকোনমি ক্লাসে করেই যাতায়াত করতেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম স্পোর্টসকিডকে এমন তথ্য জানিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার বিবেক রাজদান। তিনি জানিয়েছেন, নিজের স্ত্রী আনুশকা শর্মার চেয়েও পেসারদের বেশি গুরুত্ব দিতেন কোহলি।
রাজদান স্পোর্টসকিডকে বলেন, ‘কোচ ছাড়া বিজনেস ক্লাসের অন্য সিটে বসতো একজন বোলার ইশান্ত শর্মা, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি, কখনো রবিচন্দ্রন অশ্বিন অথবা অন্য কেউ। বোলারদের তিন চার ঘণ্টার যাত্রায় বাড়তি আরাম দিতেই এমনটা করতেন কোহলি।’
২০১৯ সালের একটি ঘটনা উল্লেখ করে রাজদান আরও যোগ করেন, ‘২০১৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বিরাট ও আনুশকা শর্মা একসঙ্গে ইকোনমি ক্লাসে চড়েছেন। বিজনেস ক্লাস সিটে আনুশকাকে বসানোর জন্য অনুরোধও করেননি কোহলি।’
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট সিরিজের মাঝপথে হুট করেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। তখনই আচমকা প্রথমবারের মতো ভারতীয় দলের নেতৃত্ব পান এই ক্রিকেটার। এরপর সময়ের সঙ্গে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্বও পান এই ক্রিকেটার।
যদিও গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। এরপর ওয়ানডে এবং সর্বশেষ চলতি বছর টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান কোহলি। তার জায়গায় বর্তমানে ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা।
খেলা
মোস্তাফিজ চমকের পর কষ্টের জয় দিল্লির

পয়েন্ট টেবিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও দিল্লি ক্যাপিটালস রয়েছে শেষের দিকে। দু’দলের জন্য এই ম্যাচগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে জয়ের বিকল্প নেই কারো। সন্ধ্যায় সাত নম্বরে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস মুখোমুখি হয় নাইট রাইডার্সের। দিল্লি টস জিতে আগে ব্যাট করতে পাঠায় কলকাতাকে। ব্যাট করতে নেমে দিল্লির বোলারদের তোপে ৩৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে কলকাতা।
তবে অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের সঙ্গে নিতিশ রানার ৪৮ রানের জুটি এগিয়ে নেয় দলকে। আইয়ার ৩৭ বলে ৪২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। দলের বিপাকে নিতিশ রানা তুলে নেন অর্ধশতক।
এদিন শুরু থেকে বল হাতে বেশ কিপটে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারে ৭ রান দিলেও তৃতীয় ওভারে দুটি চার আসে তার ওভার থেকে।
তবে শেষ ওভারের জন্য তুলে রেখেছিলেন সেরাটা। ইনিংসের শেষ ওভার করতে এসে প্রথম বলে ১ রান দিলেও পরের বলেই তুলে নেন উইকেট। ২৩ রান করা রিংকু সিংকে ফেরান সাজঘরে।
তৃতীয় বল থেকে এক রান আসলেও চতুর্থ বলে ফেরান ৫৭ রান করা নিতিশ রানাকে। অফ সাইডে থাকা চেতন সাকারিয়া নেন দুর্দান্ত ক্যাচ। পঞ্চম বলে আবারও উইকেট। এবার সোজা স্টাম্প উপড়ে ফেলেন টিম সাউদির। শেষ বলে আসেনি কোনও রান। চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
এখন পর্যন্ত চলতি আইপিএলে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং ফিগার এটিই। কলকাতা নির্দিষ্ট ওভার শেষে ৯ উইকেটে সংগ্রহ করেছে ১৪৬ রান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উমেশ যাদবের বলে বিদায় নেন পৃথ্বী শ্ব। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার আগলে রাখেন একপ্রান্ত। মিচেল মার্শ ১৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
তবে ললিত যাদব ও ওয়ার্নারের জুটিটা বেশ বড় হয়। ওয়ার্নার ২৬ বলে ৮ চারে ৪২ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেয়ার পর আবার চাপে পড়ে দিল্লি। ললিত সাজঘরে ফেরেন ২২ রান করে। এরপর আক্সার প্যাটেল করেন ২৪ রান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও জয় পেতে দিল্লিকে খেলতে হয়েছে ১৯ ওভার পর্যন্ত। শেষ দিকে রোভম্যান পাওয়েলের অপরাজিত ৩৪ (১৬) রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
খেলা
তামিম-বিজয়ের জোড়া শতকে দশ উইকেটের জয় প্রাইমের

২২৯ রান সংগ্রহ করতে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের খোয়াতে হয় ১০ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব জিতেছে ১০ উইকেটে। বড় জয়ে চলতি আসরে প্রথমবার শতক পেয়েছেন তামিম ইকবাল ও তৃতীয় শতক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় রূপগঞ্জ টাইগার্স। ব্যাট করতে নেমে প্রথম পাঁচ ব্যাটার পার করতে পারেন দুই অঙ্কের রানের কোটা। বাকিরা ব্যাটাররা ব্যর্থ হয়েছেন।
ওপেনার জাকির হাসান ৩৪ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দলীয় ৪৭ রানের মাথায় বিদায় নেন আরেক ওপেনার ইমরাজুজ্জামান (২৩)। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ফজলে রাব্বি ফেরেন ১০ রান করে।
অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব এদিন পাকিস্তানি ব্যাটার সা’দ নাইমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন। দুজনের জুটি থেকে আসে ১১০ রান। জুটি ভাঙে মার্শাল আইয়ুবের বিদায়ে (৫৮)।
এরপর থিতু হতে পারেননি বাকি ব্যাটাররা। সাদ নাইম করেন ৯৪ বলে ৮৫ রান। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন কারিম জানাত ও রুবেল হোসেন। ১ উইকেট করে নেন রাকিবুল হাসান ও নাসির হোসেন।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রাইমের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয় অনায়াসে জয় তুলে নিয়েছেন ২৩ ওভার ২ বল হাতে রেখে। ম্যাচে দুজনেই রান তোলের পাল্লা দিয়ে।
এনামুল হক বিজয় তার ব্যক্তিগত ৭০ রানের মাথায় পূর্ণ করে নেন এক আসরে এক হাজার রানের মাইলফলক। ডিপিএলের আসরে যেখানে বিজয়ই প্রথম।
তামিম ইকবালের ব্যাটে আসে ৯টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১০৯ রান। বিজয় করেছেন ৮৪ বলে ১১টি চার ও ৭টি ছয়ে ১১২ রান।
খেলা
টানা অষ্টম ম্যাচে মুম্বাইর হার

এবার আইপিএল আসরে নিজেদের নামের উপরে যেন অবিচারই করে যাচ্ছে মুম্বাই। আসর শুরু হওয়ার পর থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এখন পযন্ত পায়নি জয়ের দেখা।
রবিবার নিজেদের অষ্টম ম্যাচটাও হেরেছে রোহিত শর্মারা। মুম্বাইকে ৩৬ রানে হারিয়েছে চরম ফর্মে থাকা লখনৌ সুপার জায়ান্টস। আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে লখনৌ। জবাবে ৮ উইকেটে ১৩২ রান করতে সমর্থ হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
ব্যাট হাতে নেমে মুম্বাইর শুরুটা ভালোই করেন রোহিত ও শর্মা। তবে দলীয় ৪৯ রানে এই জুটি ভাঙনের পর হতাশার শুরু। ৬৭ রানে চলে যায় চার উইকেট। পঞ্চম উইকেটে তিলকা ভর্মা ও কাইরন পোলার্ড আপ্রাণ চেষ্টা করেও পারেনি দলকে জয়ের মুখ দেখাতে।
রোহিত শর্মা ৩১ বলে পাচটি চার ও এক ছক্কায় ৩৯ রান করেন। ২০ বলে ৮ রান করেন ইশান কিষান। ব্রেভিস ও সুরিয়া কুমার ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। ২৭ বলে ৩৮ রান করেন তিলক। ১৯ রান করে পান্ডিয়ার শিকার পোলার্ড। বল হাতে লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে লখনৌকে বড় স্কোর এনে দেন বলতে গেলে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তিনি ৬২ বলে তিনি ১০৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এ ছাড়া ২২ বলে ২২ রান করেন মনীষ পান্ডে।
৮ ম্যাচে আটটিতেই হেরে অনুমিতভাবে সবার নিচে মুম্বাই। অন্যদিকে ৮ ম্যাচে পাচ জয়ে ১০ পযেন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে লখনৌ।