banglanewspaper

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, সাহিত্যিক, নারীনেত্রী, উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি ও শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি... রাজিউন)। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

বেগম মুশতারী শফী ছিলেন বাংলা একাডেমি ফেলো এবং বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত। চট্টগ্রামে নারী অধিকার আদায় ও ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্র সৈনিক ও সংগঠক।

মরহুমের মেয়ে রুমানা শফী দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সোমবার বিকেল সোয়া ৫টায় মারা যান আম্মা। তাকে চট্টগ্রামে দাফন করা হবে। তবে কয়টায় জানাজা এবং দাফন করা হবে, সেটি এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।’

কিডনি, রক্তে ইনফেকশনসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় তাকে প্রথমে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর ঢাকায় সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ এপ্রিল বেগম মুশতারীর স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন বেগম মুশতারী। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ২০১৬ সালে শহীদজায়া মুশতারী শফীকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি। ২০২০ সালে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া পদক।

‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি’, ‘জাহানারা ইমামকে’ এবং ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’ মুশতারী শফীর উল্লেখযোগ্য রচনা।

১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম থেকে ‘বান্ধবী’ নামে মাসিক সাময়িকী প্রকাশ করেছিলেন মুশতারী শফী। বাংলাদেশে নারীদের জন্য প্রকাশিত দ্বিতীয় সাময়িকী বলা হয় ‘বান্ধবী’কে। বান্ধবী সংঘ প্রচারের সময় মেয়েদের প্রেস নামে একটি ব্যতিক্রমী মুদ্রণ সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন লড়াকু এই নারী।

মুশতারী শফীর জন্ম ১৯৩৮ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরে।

ট্যাগ: মারা

শিল্প-সাহিত্য
মিমকে ভয় দেখিয়েছিলেন হুমায়ূন আহমেদ

banglanewspaper

কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) এই কিংবদন্তির দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের প্রথম সিনেমার শুটিংয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন নায়িকা।

ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে মিম লিখেছেন, সিনেমার দুনিয়ায় আমার পথচলা হুমায়ূন আহমেদ স্যারের মাধ্যমে। সিনেমার নাম ‘আমার আছে জল’। প্রথম দিনের শুটিংয়ের কথা মনে পড়ছে। রেলস্টেশনে আমরা সবাই ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি- এমন একটা দৃশ্য। স্যার শট নিচ্ছেন। এক কিংবা দুইবারেই শট ওকে হয়ে গেল। স্যার খুব খুশি হয়ে বললেন- ‘বাহ, এত জলদি ওকে হয়ে গেল। খুব ভালো, শুভসূচনা হয়েছে সিনেমার।’ স্যারের আনন্দ দেখে আমার যে কী পরিমাণ আনন্দ হলো, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না!

তিনি আরও লেখেন, ‘স্যার (হুমায়ূন আহমেদ) আনন্দের পাশাপাশি টেনশনও দিতেন, প্রয়োজনীয় টেনশন যাকে বলে। সিনেমাটি যারা দেখেছেন, তারা জানেন শেষ দৃশ্যে আমাকে পুকুরের মাঝে দেখা যায়।

স্যার বললেন, ‘সাঁতার পারো? না পারলে তো হবে না। এই দৃশ্য লাগবেই। পানিতে ফেলে দেব তোমাকে।’ এই কথা আমার মনে অদ্ভুত এক ভয় আর টেনশন ঢুকিয়ে দিয়েছিল। টেনশনের চোটে আমি শুধুমাত্র এই সিনেমার জন্য সাঁতার শিখে ফেললাম। এই সিনেমাতে অভিনয়ের আগ পর্যন্ত আমি সাঁতার জানতাম না।’

মিম সাঁতার শিখে সেই দৃশ্যের জন্য প্রস্তুতি নিলেও, নায়িকাকে চমক দিতে তার জন্য পুকুরের মাঝে একটি ভেলার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। সেই অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে মিম জানান, ‘নির্ধারিত দিনে সেই বিশেষ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় আমি ভয়ে ভয়ে সেটে গেলাম। গিয়ে অবাক হলাম। কারণ, আমার জন্য স্যার পুকুরের মাঝে আগেই একটি ভেলার ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন, যেন আমার কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। এই ব্যাপারটা কেউ জানত না। শুধুমাত্র আমাকে টেনশনে রেখে এরপরে চমকে দেওয়ার জন্যই এই কাজটি করেছিলেন স্যার। এমনই ছিলেন আমাদের হুমায়ূন আহমেদ স্যার।’

ঈদুল আজহায় স্বল্পসংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও ব্যবসায়িকভাবে বাজিমাত করছে মিমের ‘পরাণ’। এতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হচ্ছে। এমনকি অভিনয়শিল্পীদের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তবে তার অভিনয় দেখে হুমায়ূন আহমেদ কী বলতেন, সেটি জানার আক্ষেপ রয়ে গেছে নায়িকার। এ প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘আজকে যখন আমার পরাণ সিনেমা রিলিজ হয়েছে, দর্শকেরা এত পছন্দ করছেন এই সিনেমা, টিকেটের জন্য এত ভিড় করছেন; সেই ভিড়ের মাঝে তখন আমি একজন হুমায়ূন আহমেদকে খুঁজে ফিরি। স্যার বেঁচে থাকলে কী হতো, স্যার কতটা খুশি হতেন আমার অভিনয় দেখে। পরাণ দেখে তার মন্তব্য কী হতো, আমার এই সাফল্য দেখে কেমন বোধ করতেন খুব জানতে ইচ্ছে করে। তবে জানার উপায় নেই। মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় হুমায়ূন আহমেদ স্যার।’

প্রসঙ্গত, হুমায়ূন আহমেদের নির্মিত ‘আমার আছে জল’ সিনেমায় মিম ছাড়াও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, জাহিদ হাসান, শাওন, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, সালেহ আহমেদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মুনমুন আহমেদ, এজাজুল ইসলাম, মুনিরা মিঠু, মাজনুন মিজান, পুতুল, রুদ্র, ওয়াফা প্রমুখ। ২০০৮ সালে সিনেমাটি দুটি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।

ট্যাগ:

শিল্প-সাহিত্য
তৃতীয় দিনেই জমজমাট বইমেলা

banglanewspaper

তৃতীয় দিনেই জমজমাট অমর একুশে বইমেলা। বিভিন্ন বয়সের নানা পেশার মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মেলা প্রাঙ্গণ। অন্যান্য বছর যেখানে বইমেলা শুরুর সপ্তাহখানেক পর পাঠক-দর্শনার্থীদের আসা শুরু হতো, সেখানে এবারের মেলায় প্রথম থেকেই মানুষের বেশ উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে দেখা যায়, সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জুড়ে আয়োজিত এবারের বইমেলার প্রায় পুরোটা জুড়ে মানুষের জটলা, আড্ডা, ঘোরাঘুরি। পরিবার, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধব কিংবা দলবদ্ধভাবে সবাই ঢুকছে বইমেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আগতদের বেশিরভাগই বাংলা একাডেমির অংশ থেকে ঘুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে প্রবেশ করছেন।

দর্শনার্থীরা জানান, বইমেলার বাংলা একাডেমির অংশ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা। বাংলা একাডেমির অংশে সরকারি বা বিভিন্ন সংগঠনের স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের স্টলগুলোতে সব শ্রেণি, মত, লেখকের বই পাওয়া যায়। আলোচিত বইগুলোর বেশিরভাগই পাওয়া যাচ্ছে উদ্যান অংশে। লেকের ভিউ, মুক্তমঞ্চসহ একদম খোলা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বই কিনতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোদ করছেন তারা।

‘বেহুলা বাংলা’ স্টলের বিক্রয়কর্মী আবির হাসান শাকিল বলেন, এবারের বইমেলায় শুরু থেকেই অনেক দর্শনার্থী আসছেন। মেলায় যত বেশি দর্শনার্থী আসবেন বিক্রিও তত বেশি হবে। প্রথম থেকে যেভাবে দর্শনার্থী আসছেন তাতে আশা করা যায় এবারের বইমেলা সবচেয়ে বেশি জমজমাট হবে। শেষ পর্যন্ত যদি মানুষের এমন সমাগম থাকে তাহলে প্রকাশকরা গতবারের দুঃখ ভুলে এবার সুখের হাসি হাসতে পারবেন।

ফারহানা রুমা নামে এক দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি ১৭ বছর ধরে মেলায় আসছেন। এবার তার স্বামীর বই প্রকাশ উপলক্ষে প্রতিদিনই মেলায় আসছেন।

তিনি বলেন, এবারের বইমেলায় মানুষ যেভাবে আসছেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে পরবর্তী দিনগুলোতে মেলা আরও জমজমাট হবে। করোনার কারণে এতদিন হাঁসফাঁস করা মানুষও একটু ঘোরার জন্য মেলায় চলে আসছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে মেলায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনাও বাড়বে। সব মিলিয়ে এবারের বইমেলা মনে হচ্ছে জাতির কাছে নতুন ইতিহাস হয়ে থাকবে।

হাওলাদার প্রকাশনীর প্রকাশক মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, অনেকদিন ধরে মানুষ এ রকম একটা আয়োজনের অপেক্ষায় ছিল। ‘ঘরবন্দি’ মানুষ এই সুন্দর সুযোগ পেয়ে চলে আসছেন বইমেলায়। বইমেলার পরিবেশ অন্য যে কোনো মেলা থেকে খুবই মনোরম। ব্যবসায়িক দিক থেকে মনে হয় এবার অনেক বেশি বই বিক্রি হবে।

ট্যাগ:

শিল্প-সাহিত্য
দেশে করোনায় আরও ৪১ মৃত্যু, শনাক্ত ৭২৬৪

banglanewspaper

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২৬৪ জন। গতকাল এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ১৬ জন। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জন।

বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে ৪২ হাজার ৮৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৬.৯৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩৫ জন। মোট শনাক্তের হার ১৪.৬৯ শতাংশ।

গত এক দিনে মারা যাওয়া ৪১ জনের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১৪ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ৫ জন, খুলনা বিভাগের ৩ জন, সিলেট বিভাগের ২ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন। ময়মনসিংহ এবং বরিশাল বিভাগে কেউ মারা যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৮ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। গত বছরের ২০ নভেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো এবং ৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো করোনায় মৃত্যুহীন দিন দেখে বাংলাদেশ। এছাড়া বাকি সব দিনই মৃত্যু দেখেছে বাংলাদেশ।

ট্যাগ:

শিল্প-সাহিত্য
চলে গেলেন ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন

banglanewspaper

জনপ্রিয় ধারার স্পাই থ্রিলার সিরিজের স্রষ্টা ‘মাসুদ রানা’র লেখক এবং সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার কাজী আনোয়ার হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেন তার পুত্রবধূ মাসুমা মাইমুর। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘নিভে গেছে দীপ জনমের তরে, জ্বলিবে না সে তো আর। দূর আকাশের তারা হয়ে গেছে আমার ছেলেটা।’

তিনি আরও লিখেন, আমার ছোট্ট ছেলেটা। আর কোনোদিনও আমার পিছু পিছু ঘুরে খুঁজবে না মায়ের গায়ের মিষ্টি গন্ধ। কোনোদিনই না। কিন্তু মাকে ছেড়ে থাকবে কীভাবে ওই অন্ধকার ঘরে আমার ছেলেটা? একা, শুধু একা? কী সব বকছি জানি না। আব্বা (কাজী আনোয়ার হোসেন) আর নেই। চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে।

এর আগে ২৯ ডিসেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন তার ছেলে কাজী শাহনূর হোসেন।

কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৩৬ সালে ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম ‘নবাব’। তার বাবা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মা সাজেদা খাতুন। আনোয়ার হোসেনরা চার ভাই ও সাত বোন।

কাজী আনোয়ার হোসেন জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের স্রষ্টা। সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসেবে তিনি ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। এছাড়া কুয়াশা নামে আরও একটি জনপ্রিয় চরিত্র তৈরি করেন তিনি। কুয়াশা সিরিজের প্রায় ৭৬টির মতো কাহিনি রচনা করেছেন।

ট্যাগ:

শিল্প-সাহিত্য
কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই

banglanewspaper

খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর বাংলাবাজারস্থ নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বুলবুল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন চিত্রগ্রাহক কামরুল মিথুন মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে কখন ও কোথায় তাকে দাফন করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন বুলবুল চৌধুরী। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সারওয়ার আলমের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। পরে তার শ্বাসযন্ত্রে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ে।

১৯৪৮ সালের ১৬ আগস্ট গাজীপুরের দক্ষিণবাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বুলবুল চৌধুরী। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০২১ সালে একুশে পদক পান তিনি।

বুলবুল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে- (ছোট গল্পগ্রন্থ) টুকা কাহিনি, পরমানুষ, মাছের রাত, চৈতার বউ গো। (উপন্যাস) অপরূপ বিল ঝিল নদী, কহকামিনী, তিয়াসের লেখন, অচিনে আঁচড়ি, মরম বাখানি, এই ঘরে লক্ষ্মী থাকে, ইতু বৌদির ঘর, দখিনা বাও, জলটুঙ্গি, পাপপুণ্যি, ঘরবাড়ি, দম্পতি, বলো কি অনুভব।

ট্যাগ: