
গত কয়েক মাস দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সপ্তাহদুয়েক ধরে সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনা শনাক্ত বেড়েছে ১১৫ শতাংশ। মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ। দুশো’র নিচে চলে যাওয়া দৈনিক শনাক্ত এখন দুই হাজারের ঘর পেরিয়েছে। প্রায় এক শতাংশের কাছাকাছি চলে যাওয়া সংক্রমণ হার এখন সাড়ে আট শতাংশের ওপরে। এই অবস্থায় করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য তৃতীয় ধাক্কা সামলাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আপাতত লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্ত না নিলেও ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ২৩১ জন। আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় যা প্রায় সাড়ে সাতশ বেশি। গত এক দিনে নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৫৩ শতাংশে। যা গত কয়েক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া নতুন করে করোনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১০৫ জনে। আর মোট শনাক্ত ১৫ লাখ ৫১ হাজার ১১৩ জন।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও সরকার এখনই দেশে লকডাউন দিতে চায় না। মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে নিয়ন্ত্রণ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সে চেষ্টা করছে সরকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদেরসহ দেশের বেশির ভাগ মানুষকে দ্রুতসময়ে টিকার আওতায় আনার চেষ্টা করছে সরকার।
১১ দফা বিধিনিষেধ
সোমবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এ রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো। ১৩ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ১১ দফা মেনে চলতে হবে।
১১ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে দোকান, শপিং মল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনার টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। ১২ বছরের বেশি বয়সী সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করবে। উন্মুক্ত স্থানে সর্ব সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
টিকাদান কর্মসূচিতে জোর
সরকার শিক্ষার্থীদেরসহ দেশের সিংহভাগ মানুষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আনতে চায়। দেশে টিকার সংকট না থাকায় ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিতে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, প্রায় ৩১ কোটি ডোজ টিকা প্রস্তুত আছে। টিকার আর কোনো সমস্যা হবে না। এজন্য সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
এদিকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার শর্ত আরও শিথিল করেছে সরকার। যেকোনো ছেলেমেয়েই যদি প্রমাণ করতে পারে যে সে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থী, তাহলেই সে করোনাভাইরাসের টিকা পাবে।
৩১ জানুয়ারির মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী সব শিক্ষার্থীকে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়া শেষ করতে চায় সরকার। এর আগে অবশ্য এই লক্ষ্যমাত্রার সময়সীমা ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পরের দিকে তা কিছুটা শিথিল করে বলা হয়, শিক্ষার্থীরা জন্মসনদ দেখাতে পারলেই টিকা পাবে। এখন সেই শর্তে আরও ছাড় দেওয়া হলো।
আসতে পারে লকডাউনও!
সরকার আপাতত সবকিছু খোলা রেখেই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে চাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করলে লকডাউনের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক রবিবার বলেছেন, সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। আর এই মুহূর্তে সংক্রমণের যে লক্ষণ আমরা দেখছি, সংক্রমণ অতিমাত্রায়, অতি দ্রুত বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য খুবই আশঙ্কাজনক। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় ইতিমধ্যে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের ক্লাস্টার টান্সমিশন হয়েছে। সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সারাদেশে আবার এটা ছড়িয়ে পড়বে। আর ডেল্টার চেয়ে তিন থেকে পাঁচগুণ বেশি সংক্রমণশীল এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে ফেরত আসা কঠিন হবে।
বাণিজ্য মেলা নিয়ে সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার
এদিকে ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে স্থায়ী ঠিকানায় চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ইতিমধ্যে মেলা জমতে শুরু করলেও করোনার ঊর্ধ্বগতির কারণে মেলা হুমকিতে পড়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্য মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে বাণিজ্য মেলা চলবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নতুন কোনো নির্দেশনা এলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব। আগামীকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বৈঠক হবে বলেও জানান তিনি।
ট্যাগ: করোনা
জাতীয়
‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেলো বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ডি-৮ এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ‘আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ পেয়েছে। তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান স্মরণে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
সোমবার (১ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. নাজমুদ্দিন এরবাকান ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ড. ফাতিহ এরবাকান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান ও ডি-৮-এর দায়িত্ব পালনকারী তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শেখ হাসিনার হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও চিঠি তুলে দেন।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি : প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর মতো অসহযোগ আন্দোলন পৃথিবীর কোনো নেতা করতে পারেননি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার শোকের মাস উপলক্ষে কৃষকলীগের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা ছিল জাতির জন্য সবচেয়ে কলঙ্কিত ঘটনা। মানুষের ভালোবাসার টানে নিজের পুরো জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। অথচ তাকেই সপরিবারে হত্যা করা হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার জীবনে ক্ষমতার কোনো লোভ ছিল না। তিনি দেশের মানুষের জন্য আত্মত্যাগের নজির রেখে গেছেন।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শত কষ্টের পরও বঙ্গবন্ধু কোথাও অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। পূর্ব বাংলার মানুষের কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারেননি। ক্ষমতা, পদ-পদবীর লোভের ঊর্ধ্বে থেকে তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বিএনপির সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে এক নম্বরে ছিল। বিএনপির আমলে ভোটের অধিকারই ছিল না মানুষের। এখন তাদের কাছ থেকে নীতি কথা শুনতে হয়। যারা দেশটাকে সন্ত্রাসের দেশ, জঙ্গিবাদের দেশ, বাংলা ভায়ের দেশ বানিয়েছিল, তারা দেশের টাকা পাচার করেছিল। সেই টাকা আমরা ফিরিয়ে এনেছি।’
জাতীয়
ইউরিয়ার দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়ল

দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হওয়া ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে। কেজি প্রতি এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা বেশি দরে।
বাড়তি দাম সোমবার (১ আগস্ট) থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেশে ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া সারের সর্বোচ্চ খুচরা দাম কেজিপ্রতি ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে এক কেজি ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২২ টাকায় বিক্রয় হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, এ দাম বাড়ানোর পরও সরকারকে প্রতি কেজি সারে ৫৯ টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ ছিল মাত্র ১৫ টাকা।
মন্ত্রণালয়ের মতে ডিএপি সারে শতকরা ১৮ শতাংশ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক হিসেবে দেখা যায় ২০১৯ সালে ডিএপি ব্যবহার হতো ৮ লাখ টন, বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে ১৬ লাখ টনের বেশি। তবে সে অনুযায়ী ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি। ২০১৯ সালে ইউরিয়া ব্যবহার হতো ২৫ লাখ টন, যা বর্তমানে ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন লাগছে।
জাতীয়
ট্রেন কাউকে ধাক্কা দেয় না, অন্যরা এসে ধাক্কা খায়: রেলমন্ত্রী

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল লাইনে যেসব দুর্ঘটনা হয়েছে তার জন্য রেল দায়ী নয়।
সোমবার ( ১ আগস্ট) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ভ্রাম্যমাণ রেল জাদুঘর দেশব্যাপী প্রদর্শনের শুভ সূচনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, রেল লাইনে কোনো দুর্ঘটনা হলে দোষ রেলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। রেল কাউকে ধাক্কা দিতে যায় না। অন্যরা রেলের ওপর এসে ধাক্কা খায়। আরেকজন এসে রেলে ধাক্কা খাবে তার দায় রেলের ওপর দেওয়া হবে এটা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই জায়গাটিতে আমাদের একটু সচেতনার প্রয়োজন আছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, কোনো দুর্ঘটনা ও মৃত্যুই আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু রেল লাইনের যেসব দুর্ঘটনা ঘটেছে সেগুলো রেলের দুর্ঘটনা নয়। রেলের দুর্ঘটনা সেটাই যদি রেল লাইনচ্যুত হয়। যদি ট্রেন রেলপথ ছেড়ে কোনো বাড়িতে ঢুকে বা অন্য রাস্তায় চলে যায় তাহলে সেটা হবে রেল দুর্ঘটনা। এই জায়গাগুলো আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, রেলের যেসব গেট আছে সেগুলোর দায়িত্ব যারা রাস্তা করেছে তাদের নিতে হবে। রাস্তা করে তো তারা খালাস। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করবেন তারা। কোনো দুর্ঘটনা যাতে না হয় সেটা এককভাবে রেলের ওপরে না দিয়ে যৌথভাবে কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি, সেই ব্যবস্থা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। বাইরে থেকে যেন কোনোকিছু রেল চলার পথে অনিরাপদ করতে না পারে।
তিনি আরও বলেন, খুলনার সঙ্গে মোংলার রেল যোগাযোগ ছিল না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মোংলার পোর্টের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রেলওয়ের মহাপরিচালক ডি এন মজুমদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মঞ্জুরুল আলম, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দীকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বক্তব্য রাখেন।
দুপুরে মন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।
জাতীয়
‘ঢাকা থেকে শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হবে’

ঢাকা শহর থেকে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
সোমবার (১ আগস্ট) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে, তাতে দেশের সব শিশুদের টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করব। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হয়েছে। স্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করে টিকার পরিমাণ জানালে আমরা স্কুলে গিয়ে টিকা দিয়ে আসব। এটা বিশেষ টিকা, চাইলেই সবসময় পাওয়া যায় না।
তবে শিশুদের টিকাদান বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান তিনি।