banglanewspaper

ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করা ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশনা অনুযায়ী আড়াইশো লিঙ্ক অপসারণ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত এসব লিঙ্ক (ব্লক) অপসারণ করা হয়েছে বলে করেছেন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই রাকিব। তবে পরবর্তী আপডেট রাত ১২টার পর জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন পরদিন হাইকোর্টের নজরে এনে ভিডিওটি অপসারণের নির্দেশনা চান।

রিটকারী আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকলে সমাজে এর ইফেক্ট (প্রভাব) পড়বে।’

এরপর হাইকোর্টের একটি ভার্চুয়াল দ্বৈত বেঞ্চ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিওর লিঙ্ক অপসারণ ও রুলসহ স্বপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন। এছাড়া গণমাধ্যমে ওই ভিডিও প্রচারে ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

মহসিন খানের একমাত্র ছেলে দেশের বাইরে এবং মেয়ে মডেল মুশফিকার স্বামী চলচ্চিত্র অভিনেতা রিয়াজের সঙ্গে ঢাকায় থাকেন।

এর আগে (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যবসায়ী আবু মহসিন খানের (৫৮) ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘটনার ভিডিও তার অ্যাকাউন্টসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আদেশ পাওয়ার ছয় ঘণ্টার মধ্যে ওই ভিডিও সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনসহ (বিটিআরসি) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে ওই ভিডিওটি যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ও অন্য সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অতি জরুরি হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে পদক্ষেপ জানিয়ে তিন কার্যদিবসের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিটিআরসির পক্ষে খন্দকার রেজা-ই রাকিব শুনানিতে ছিলেন।

এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে আবু মহসিন খানের আত্মহত্যার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ।

তিনি বলেন, ওই ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যে কারণে ভিডিও অবিলম্বে অপসারণ করা প্রয়োজন।

আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ বলেন, এর পর ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে ওই ভিডিও অপসারণ করতে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ওই ভিডিও অপসারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, তথ্যসচিব, বিটিআরসিসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৯টার দিকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর সড়কে নিজ ফ্ল্যাটে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন আবু মহসিন খান। এ ঘটনার ভিডিও দ্রুতই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আবু মহসিন খান চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর ও মডেল মুশফিকা তিনার বাবা।

মহসিন খানের আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আবু মহসিন খান। রাত ৯টার দিকে নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন তিনি।

ফেসবুকে লাইভে এসে আত্মহত্যা করার আগে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন আবু মহসিন খান। এসময় তিনি জীবনের নানা হতাশা ও দুঃখের কথা তুলে ধরেন।

এরই মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন।

সিআইডি ফরেনসিক ল্যাবের বিশেষ পুলিশ সুপার রুমানা আক্তার জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আবু মহসিন খান একাই ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন বলে টাইপ করা সুইসাইড নোটে লিখে গেছেন তিনি। এছাড়া দরজার সামনে লেখা ছিল, ‘মামা দরজা খোলা হাতলের হ্যান্ডেল চাপ দিয়ে ভিতরে ঢুক’। সুইসাইড নোটগুলো ধানমন্ডি ক্রাইম টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সিআইডির কাছে রয়েছে।

এ আত্মহত্যার ঘটনায় মহসিন খানের পরিবারের এক সদস্য বুধবার রাতেই ধানমন্ডি থানায় অপমৃত্যু মামলার করেছেন। পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে তখন পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে ছিল মরদেহ।

ট্যাগ: লাইভে

আইন-আদালত
প্রেগনেন্সি : আদালতে আসনেনি পরীমণি, পেছাল সাক্ষ্য

banglanewspaper

প্রেগনেন্সির কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় পরীমণির মালমায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিন আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়েছে।

সোমবার (১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন আগামী ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) জানান, প্রেগনেন্সির কারণে পরীমণি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করলে আদালত ২৯ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। ওই দিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

এরপর চলতি বছরের ১৮ মে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

ট্যাগ:

আইন-আদালত
শপথ নিলেন নতুন ১১ অতিরিক্ত বিচারপতি

banglanewspaper

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।

রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১ জন নতুন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

নতুন নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত বিচারপতিরা হলেন-জেলা ও দায়রা জজ (পি আর এল ভোগরত) মো. শওকত আলী চৌধুরী, কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আলী রেজা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ, টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদ হোসেন দোলন এবং অ্যাডভোকেট এ কে এম রবিউল হাসান।

শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল।

ট্যাগ:

আইন-আদালত
বিচারকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আইনমন্ত্রী

banglanewspaper

সরকারের পক্ষ থেকে সব সুবিধা দেওয়া হবে জানিয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে বিচারকদের প্রতি গুরুত্বারোপও করে তিনি বলেন, মামলার বিচার করতে দেরি হলে ন্যায়বিচার শব্দের ‘ন্যায়’ কথাটি আস্তে আস্তে অনেক ঝাপসা হয়ে যায়।

শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডির জিনজিয়ান রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গোলাম সারওয়ারকে আইন ও বিচার বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সচিব হিসেবে পদায়ন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আনিসুল হক বলেন, ‘মামলার বিচার করতে দেরি হলে ন্যায়বিচার শব্দের ‘ন্যায়’ কথাটি আস্তে আস্তে অনেক ঝাপসা হয়ে যায়। এই ঝাপসাটা হতে দেবেন না। যখন পরিষ্কার থাকে তখনই যাতে মামলাটা শেষ হয়, সেই কাজটা আপনারা করবেন। সেই সাথে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াবেন। আমি জনগণের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাছে এটুকু অনুরোধ করছি। আইনজীবীদের সাথে বিচারদের সুসম্পর্ক থাকলে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে এবং বিচার বিভাগ শক্তিশালী হবে।’

মন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, বিচার বিভাগের স্বার্থে আপনারা সরকারের কাছে বা রাষ্ট্রের কাছে যেটাই চাবেন, সেটা দিয়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে দ্রুত ন্যায়বিচার চাই্। তিনি বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করার পর আমরা দেখেছি, কোনো বিচার হয়নি। এসব হত্যার বিচার না হওয়াটা আমাদের মনে ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। জনগণের এই রক্তক্ষরণ আপনারা বন্ধ করবেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, জনগণের টাকা-পয়সায় দেশ চলে, তাদের পরিশ্রমে, তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করার কারণে আমরা এই অবস্থানে আছি। তাই তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করতে হবে।

‘আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ হলো নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সেতুবন্ধন। এই সেতুবন্ধন যাতে আরও দৃঢ় হয়, বিচারকদের যাতে কোনো অসুবিধা না থাকে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে’, বলেন আইনমন্ত্রী।

ট্যাগ:

আইন-আদালত
মানবতাবিরোধী অপরাধ : খুলনার ৬ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

banglanewspaper

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার ছয় রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

মামলার আসামিরা হলেন আমজাদ হোসেন হাওলাদার (৭৫), সহর আলী সরদার (৬৫), আতিয়ার রহমান শেখ (৭০), মোতাসিন বিল্লাহ (৮০) ও কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬) ও নজরুল ইসলাম (পলাতক)।

আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি শুনানি করেন।

এর আগে গত ২২ মে মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখে ট্রাইব্যুনাল।

চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

অভিযোগগুলো হলো-

১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করে আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার।

১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর আসামিরা বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার থেকে ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে আসামিরা।

১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে এই আসামিরা।

২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই আমজাদ হোসেন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ট্যাগ:

আইন-আদালত
বিচার বিভাগের সম্মানে দেশের সম্মান বাড়বে : আইনমন্ত্রী

banglanewspaper

বিচার বিভাগের সম্মান বাড়লে, বাংলাদেশেরও সম্মান বাড়বে বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। নিতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে জনগণ সম্মান দেবে তখন, যখন বিচার বিভাগের অফিসাররা তাদের নিজের সম্মান স্থাপন করবে। এক্ষেত্রে আমি শুধু সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আনিসুল হক বলেন, অনেক সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে আমরা এ বাংলাদেশ পেয়েছি। অনেক মানুষ এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের সময় দীর্ঘ নয় মাস মা-বাবা ও ভাইকে ছাড়া ছিলেন। তাই এ দেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, সলিসিটর রুনা নাহিদ, উপসচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব প্রমুখ আইনমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ: