
জায়েদ খানের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিমের কাছে প্রায় ২০ বার ‘সরি’ বলে ক্ষমা চেয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। রবিবার (৬ মার্চ) চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিতের পরে চেম্বার আদালতের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চেম্বার আদালত থেকে বের হয়ে নিপুণের সঙ্গে আসা একজন চলচ্চিত্র পরিচালক বলতে থাকেন, নিপুণ আজ থেকে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন। তার এ কথা জায়েদ খানের আইনজীবী আহসানুল করিম শুনতে পান।
তখন আইনজীবী আহসানুল করিম তাকে বলেন, আদালতের আদেশের ভুল ব্যাখ্যা কেন করছেন? এ সময় আইনজীবীর সঙ্গে তর্কে জড়ান ওই পরিচালক। তখন আহসানুল করিম বলেন, স্টুপিড। আপনার এত সাহস। এ সময় নিপুণ বার বার জায়েদ খানের আইনজীবীর কাছে সরি বলে ক্ষমা চান। নিপুণ বার বার বলেন, মামলা তো আমার। আমি আপনাকে ‘সরি’ বলছি।
এর আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। পাশাপাশি এই চার সপ্তাহের মধ্যে নিপুণকে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত আপিল দায়ের করতে বলেন আপিল বিভাগ।
রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে এ আদেশ দেন। আগামী ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগে এ বিষয়ে শুনানির দিনও ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপর প্রার্থী নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
ট্যাগ: নিপুন
আইন-আদালত
প্রেগনেন্সি : আদালতে আসনেনি পরীমণি, পেছাল সাক্ষ্য

প্রেগনেন্সির কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় পরীমণির মালমায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিন আসামির সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানো হয়েছে।
সোমবার (১ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন আগামী ২৯ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত (সুরভী) জানান, প্রেগনেন্সির কারণে পরীমণি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করলে আদালত ২৯ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৪ জুন সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমণি। ওই দিনই নাসির উদ্দিনসহ পাঁচজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে গত ৬ সেপ্টেম্বর নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি এবং শহিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এরপর চলতি বছরের ১৮ মে একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আইন-আদালত
শপথ নিলেন নতুন ১১ অতিরিক্ত বিচারপতি

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ নিয়েছেন।
রোববার (৩১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্ট জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১১ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১১ জন নতুন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নতুন নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত বিচারপতিরা হলেন-জেলা ও দায়রা জজ (পি আর এল ভোগরত) মো. শওকত আলী চৌধুরী, কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আলী রেজা, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. বজলুর রহমান, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ, টাঙ্গাইল জেলা ও দায়রা জজ ফাহমিদা কাদের, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এস এম মাসুদ হোসেন দোলন এবং অ্যাডভোকেট এ কে এম রবিউল হাসান।
শপথ অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল।
আইন-আদালত
বিচারকদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আইনমন্ত্রী

সরকারের পক্ষ থেকে সব সুবিধা দেওয়া হবে জানিয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জনগণকে দ্রুত ন্যায়বিচার দিতে বিচারকদের প্রতি গুরুত্বারোপও করে তিনি বলেন, মামলার বিচার করতে দেরি হলে ন্যায়বিচার শব্দের ‘ন্যায়’ কথাটি আস্তে আস্তে অনেক ঝাপসা হয়ে যায়।
শনিবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডির জিনজিয়ান রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারকে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গোলাম সারওয়ারকে আইন ও বিচার বিভাগে পূর্ণাঙ্গ সচিব হিসেবে পদায়ন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, ‘মামলার বিচার করতে দেরি হলে ন্যায়বিচার শব্দের ‘ন্যায়’ কথাটি আস্তে আস্তে অনেক ঝাপসা হয়ে যায়। এই ঝাপসাটা হতে দেবেন না। যখন পরিষ্কার থাকে তখনই যাতে মামলাটা শেষ হয়, সেই কাজটা আপনারা করবেন। সেই সাথে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াবেন। আমি জনগণের একজন প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের কাছে এটুকু অনুরোধ করছি। আইনজীবীদের সাথে বিচারদের সুসম্পর্ক থাকলে মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়বে এবং বিচার বিভাগ শক্তিশালী হবে।’
মন্ত্রী বিচারকদের উদ্দেশে বলেন, বিচার বিভাগের স্বার্থে আপনারা সরকারের কাছে বা রাষ্ট্রের কাছে যেটাই চাবেন, সেটা দিয়ে দেওয়া হবে। বিনিময়ে দ্রুত ন্যায়বিচার চাই্। তিনি বলেন, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করার পর আমরা দেখেছি, কোনো বিচার হয়নি। এসব হত্যার বিচার না হওয়াটা আমাদের মনে ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। জনগণের এই রক্তক্ষরণ আপনারা বন্ধ করবেন।
আনিসুল হক আরও বলেন, জনগণের টাকা-পয়সায় দেশ চলে, তাদের পরিশ্রমে, তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করার কারণে আমরা এই অবস্থানে আছি। তাই তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করতে হবে।
‘আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ হলো নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সেতুবন্ধন। এই সেতুবন্ধন যাতে আরও দৃঢ় হয়, বিচারকদের যাতে কোনো অসুবিধা না থাকে, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে’, বলেন আইনমন্ত্রী।
আইন-আদালত
মানবতাবিরোধী অপরাধ : খুলনার ৬ রাজাকারের মৃত্যুদণ্ড

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার বটিয়াঘাটার ছয় রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
মামলার আসামিরা হলেন আমজাদ হোসেন হাওলাদার (৭৫), সহর আলী সরদার (৬৫), আতিয়ার রহমান শেখ (৭০), মোতাসিন বিল্লাহ (৮০) ও কামাল উদ্দিন গোলদার (৬৬) ও নজরুল ইসলাম (পলাতক)।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান এবং রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি শুনানি করেন।
এর আগে গত ২২ মে মামলাটি রায়ের জন্য সিএভি (অপেক্ষমাণ) রাখে ট্রাইব্যুনাল।
চারটি অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অভিযোগগুলো হলো-
১৯৭১ সালের ১০ আগস্ট বটিয়াঘাটার মাছালিয়া গ্রামের শান্তি লতা মণ্ডলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিনোদ মণ্ডলকে অবৈধভাবে আটক-নির্যাতন, অপহরণ ও গুলি করে হত্যা করে আমজাদ হোসেন হাওলাদারসহ চার-পাঁচজন রাজাকার।
১৯৭১ সালের ১৫ অক্টোবর আসামিরা বটিয়াঘাটার পূর্বহালিয়া গ্রামের চাপরাশী বাড়িতে হামলা চালিয়ে নিরস্ত্র হরিদাস মজুমদারকে আটক, নির্যাতন ও গুলি করে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের ২১ অক্টোবর হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করতে বটিয়াঘাটার সুখদাড়া গ্রামে হামলা চালিয়ে নিরীহ নিরস্ত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের চারজনকে হত্যা, চার থেকে ছয়টি বাড়ির মালামাল লুট এবং অগ্নিসংযোগ করে আসামিরা।
১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধা জ্যোতিষ মণ্ডল এবং আব্দুল আজিজকে গুলি করে হত্যা করে এই আসামিরা।
২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৭ পাতার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা। প্রতিবেদনে উল্লেখিত চারটি অপরাধেই আমজাদ হোসেন হাওলাদারকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আইন-আদালত
বিচার বিভাগের সম্মানে দেশের সম্মান বাড়বে : আইনমন্ত্রী

বিচার বিভাগের সম্মান বাড়লে, বাংলাদেশেরও সম্মান বাড়বে বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। নিতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে জনগণ সম্মান দেবে তখন, যখন বিচার বিভাগের অফিসাররা তাদের নিজের সম্মান স্থাপন করবে। এক্ষেত্রে আমি শুধু সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে আইন ও বিচার বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, অনেক সংগ্রাম ও যুদ্ধ করে আমরা এ বাংলাদেশ পেয়েছি। অনেক মানুষ এই দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের সময় দীর্ঘ নয় মাস মা-বাবা ও ভাইকে ছাড়া ছিলেন। তাই এ দেশকে আমাদের রক্ষা করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর এ স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, সলিসিটর রুনা নাহিদ, উপসচিব ড. শেখ গোলাম মাহবুব প্রমুখ আইনমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইন ও বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।